আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার্কিন সেনাবাহিনির প্রতি ৩ জন নারী সেনার ১ জন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়



প্রতি তিনজন মার্কিন মহিলা সেনার মধ্যে একজন যৌন হয়রানির শিকার হন। এ ছাড়া মার্কিন সেনাবাহিনীতে মহিলা সেনা ধর্ষণের অসংখ্য ঘটনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জানানো হয় না এবং ধর্ষণকারীদের সাধারণতঃ কোনো বিচার হয় না বলে জানিয়েছে 'কোডপিংক' নামের মার্কিন যুদ্ধবিরোধী একটি সংগঠন। 'কোডপিংক'এর সহ প্রতিষ্ঠাতা মেডেয়া বেঞ্জামিন বলেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনীতে প্রতি তিনজন মহিলা সেনার মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হন এটা জেনে তিনি প্রচণ্ডভাবে মানসিক অস্বস্তিতে পড়েছেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত এ সব সেনাকেই আফগানিস্তান ও ইরাকের মতো জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা সেখানে তাদের একই ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রাখবেই। গ্লোবাল এক্সচেঞ্জ নামের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকও মেডেয়া বেঞ্জামিন।

ইরাক এবং আফগানিস্তানের জনগণের সঙ্গে মার্কিন সেনারা যে সব আচরণ করেছে সে বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। যৌন নির্যাতন চালানোর দায়ে অভিযুক্ত মার্কিন সেনাদের মধ্যে কেবল হাতে গোণা কয়েকজনের বিচার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের হিসাব থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে তিন হাজার ২৩০টি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০০৯ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে ১১ শতাংশ। মেডেয়া বেনঞ্জামিন জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত মার্কিন সেনাদের বিদেশে মোতায়েনের সময় সাধারণ গ্রামাঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

সেখানে দায়িত্ব পালনের নামে এসব সেনা কি করছে তা তেমন দেখা হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত সেনাদের সাধারণ বিচার হয় না একইভাবে বিদেশে মোতায়েনের সময় যে সব সেনা নারী ধর্ষণের ঘটনার মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদেরও বিচার করা হয় না বললেই চলে। ২০১০ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে ধর্ষণের ঘটনা ৬৪ শতাংশ বেড়েছে বলে পেন্টাগনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীতে সংগঠিত যৌন অপরাধের ঘটনার সঠিক সংখ্যা প্রকাশ না করায় ডিসেম্বরে পেন্টাগনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আমেরিকান সিভিল ইউনিয়নসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। মার্কিন সেনাবাহিনীতে যৌন হেনস্তার ঘটনা সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নথিপত্র এবং এ ধরণের ঘটনার পর কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করতে পেন্টাগন অব্যাহতভাবে অস্বীকার করে আসছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.