আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিসর

আরব ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে যে গণআন্দোলন শুরু হয়েছিল তার ছাপ লেগেছিল মিসরে। কিন্তু টানা ৩০ বছর জরুরি অবস্থা জনগণকে ঠেলে দিয়েছে আরেকটি বিপ্লবের। দুর্নীতি কলুষিত প্রশাসন, অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থা ও বেকারত্বের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে মিসরের সাধারণ মানুষ এই নির্যাতন, নিপীড়ন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত প্রার্থী মুরসি ৫১.৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। স্বৈরশাসনে জর্জরিত দেশটির গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পর জনগণের মনে অনেক আশার সঞ্চারিত হয় এবং প্রেসিডেন্ট মুরসির সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ চলে আসে।

অথচ মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বদানকারী ও মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুরসি নিজের ক্ষমতাকে সুসংহত করার জন্য গত বছর ২২ নভেম্বর এক ডিক্রি জারি করেন এবং তিনি ঘোষণা করেন নতুন সংবিধান প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত এ ডিক্রি অব্যাহত থাকবে। মুরসি বলেছিলেন, মিসরের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও মোবারক ও তার সহযোগীদের বিচারের জন্য এ ডিক্রি জারি করা হয়েছে। কিন্তু এ ডিক্রি জারির ফলে মিসরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে গত ৩ জুলাই মিসরে সামরিক অভ্যুত্থানে মুরসি সরকারের পতন ঘটে। মিসরের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে রাতের গভীরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

সেনাবাহিনী মিসরে নতুন সংবিধান স্থগিত করে ভেঙে দেয় সংসদ। সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছে, প্রধান বিচারপতি মিসরের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। একটি নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সংবিধান স্থগিত থাকবে। পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দাঙ্গায় নিহত হচ্ছে সাধারণ লোক। অনেকের মতে, বিক্ষোভের পেছনে মুরসির পশ্চিমাবিরোধী মনোভাবই আসল।

তারপরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার কথা বলেছেন। এতেও থামছে না রক্তের স্রোত। মিসর এখন বিপ্লব আর সংঘর্ষের দেশ।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.