আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলাম ধ্বংসের কাজে ব্যস্ত সরকার : চরমোনাই পীর



ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের এদেশে সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দেয়া, ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার উদ্যোগসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়, ইসলাম ধ্বংসের নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে সরকারের একটি মহল। সন্ত্রাস, দুর্নীতি বৃদ্ধি, বিদ্যুত্, পানি ও গ্যাস সঙ্কট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ জনগণের নানা দুর্ভোগের সমাধানে সরকারের কোনো চিন্তা নেই। অথচ দেশ থেকে ইসলামকে কীভাবে ধ্বংস করা যায় সেই কাজে তারা ব্যস্ত। এরই মধ্যে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার রিমান্ডেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খারাপ কাজে এ সরকার চ্যাম্পিয়ন।

তিনি সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তা আমাদের জীবন থাকতে বাস্তবায়ন হতে দেব না। তিনি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির অপসারণ, ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধসহ ৬ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। গতকাল রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে সংবিধানের মূলনীতি থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দেয়ার অপচেষ্টা, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে ইসলাম উত্খাতের ষড়যন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা, বোরকাবিরোধী আইনসহ সব ধরনের ইসলামবিরোধী কার্যক্রম বন্ধ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি নির্মূল করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং ইফা ডিজির অপসারণ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজি, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, নগর সভাপতি এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল জিরো পয়েন্ট ও পল্টন মোড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে রওনা হলে হাইকোর্ট মোড়ে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় ইসলামী আন্দোলন নেতাকর্মীরা পল্টন থেকে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তা প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় পাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য আলোচনা করেও ব্যর্থ হয়। সেখান থেকে দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে ৬ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

পরে বেলা দেড়টার দিকে চরমোনাই পীরের অনুরোধে রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেন নেতাকর্মীরা। চরমোনাই পীর বলেন, আমরা মিছিল, সমাবেশ ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে বারবার সরকারকে তাদের ইসলাম ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আসছি। কিন্তু সরকারের তেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। হয়তো তাদের কান পর্যন্ত আমাদের কথা পৌঁছায়নি। তাই লিখিত স্মারকলিপির মাধ্যমে আমাদের কথা তাদের কানে পৌঁছাতে চাই।

তিনি বলেন, ভারত, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ দেশে যদি ইসলামী রাজনীতি থাকতে পারে, ৯০ শতাংশ মুসলমানের এদেশে থাকবে না—এটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না? তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আরও বলেন, আপনার বাবা যে কুদরত-ই-খুদা শিক্ষানীতি আলমারিতে তুলে রেখেছিলেন, আপনি তা খুলেছেন। এটার পক্ষে অবস্থান নেবেন না। তিনি বলেন, সরকার হাইকোর্টের মাধ্যমে ফরজ বিধান পর্দার ওপর হাত দিয়েছে। আলেম-ওলামাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডে সারাদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ।

সূত্র আমার দেশ

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.