আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কনোকো-ফিলিপস, শেভরন ও এশিয়া এনার্জির হয়ে বাংলাদেশকে মার্কিন চাপের মূল উইকি দলিল ও তার অনুবাদ


“আমার মনে হয় এতে আমাদের কোন সমস্যা হবে না কারণ (সে দেশের ) বেশির ভাগ মানুষ ইংরেজি পড়তে জানেনা । …….আর জেনে ভালো লাগছে যে এ ব্যাপারে (বাংলাদেশের উপর ) এই মাত্রায় চাপ আছেI “ ----- কথা গুলো এশিয়া এনার্জির এক “বিজ্ঞ” বিনোয়োগকারির। বাংলাদেশের উপর ফুলবাড়ির উন্মুক্ত খননের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থাকার খবর উইকিলিকস এ ফাস হওয়ার পর তার এই স্বান্তনাসূচক মন্তব্য। এশিয়া এনার্জির বিনিয়োগকারী সাহেবের অনুমান ভুল প্রমাণিত করে ইতিমধ্যেই পত্রপত্রিকার মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক মানুষ জেনে গেছে উইকিলিকস এর কথা, উন্মুক্ত খননের ব্যাপারে বাংলাদেশের উপর মার্কিন চাপ থাকার কথা। তবে উইকি লিকস এর ফাস হওযা বার্তাটি পড়লে দেখা যায় ফুলবাড়ির উন্মুক্ত খনন ছাড়াও আরো কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেই মার্কিন বার্তায় রয়েছে যেগুলো এখনও দেশের মানুষ জানেনা যেমন: মার্কিন কোম্পানি কনোকো ফিলিপস কে সাগরের গ্যাস ব্লক ইজারা দেয়ার ব্যাপারে চাপ কিংবা শেভরনকে পেট্রবাংলার খরচে কম্প্রেসার বসানোর অনুমতি প্রদান ইত্যাদি।

বাংলাদেশের জ্বালানি সম্পদের উপর বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানি ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মুনাফা নজরের বিষয়টি নতুন নয়, বাংলাদেশের শাসক বুর্জোয়াদের মার্কিন তাবেদারির খবরও আমরা জানি কিন্ত এই ধরণের বার্তাগুলো পড়লে বোঝা যায় সাম্রাজ্যবাদের সাথে শাসক বুর্জায়াদের সম্পর্ক কতটা গভীর এবং কতটা বিস্তৃত। কেবল ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টির পাঠানো এই একটি বার্তাতেই দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সমুদ্রের গ্যাস ব্লক, কয়লা উত্তোলণ পদ্ধতি, পাইপ লাইনে কম্প্রেসার বসানো, বিদ্যুত জ্বালানি ও অন্যান্য বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক, ভারতকে ট্রানজিট প্রদান ইত্যাদি বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কি অবলীলায় এবং সাবলিল ভাবে চাপ দিয়েছে কিংবা নসিহত করেছে এবং প্রভুভক্ত কুকুরের মতোই ল্যাজ নাড়াতে নাড়াতে এদেশীয় শাসক শ্রেণীর প্রতিনিধি জ্বালানী উপদেষ্টা প্রভুর চাপ সাদরে গ্রহন করেছে, সাড়া দিয়েছে এমনকি আগবাড়িয়ে পরামর্শও চেয়েছে। বার্তাটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সর্বাধিক প্রচারের লক্ষ্যে আমরা এখানে পুরো কেবলটি অনুবাদ করে প্রকাশ করছি: রেফারেন্স আইডি: 09DHAKA741 পাঠানোর তারিখ: ২৯-০৭-২০১০, ০৯:০৯ ফাস হওয়ার তারিখ: ২১-১২-২০১০, ২১:০৯ শ্রেণীবিভাগ: গোপনীয় উৎস: ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বিষয়: জ্বালানি সেক্টরের উন্নয়ণ তরান্বিত করার জন্য প্রধান মন্ত্রীর উপদেষ্টাকে (মার্কিন) রাষ্ট্রদূতের তাগাদা (ইউ)এটি একটি কার্য অনুরোধ। নীচের ৮ নং অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য। সারাংশ ১।

(সি) রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহি চৌধুরিকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূ মীমাংসা করার ব্যাপারে তাগাদা দেন যার মধ্যে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সাগরের গ্যাস ব্লকের অনুমোদন এবং কয়লাখনির অনুমোদন এর বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। উপেদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে কনোকো ফিলিপসকে সাগরের দুটি নির্বিরোধ গ্যাস ব্লক প্রদান করা হবে এবং শেভরনকে শীঘ্রই বাংলাদেশের প্রধান গ্যাস সরবরাহ লাইনের গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় তিনটি কম্প্রেসারের মধ্যে প্রথমটির কাজ শুরুর অনুমোদন দেয়া হবে। আর কয়লা ব্যাপারে (তৌফিক ইলাহি) চৌধুরি সাহেব ‌বিভিন্ন মাইনিং পদ্ধতির সাথে সম্পর্কিত কারগরি এবং পরিবেশগত সমস্যা নিরুপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরী সহায়তা কামানা করেছেন। রাষ্ট্রদূত এবং উপদেষ্টা একমত হয়েছেন যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহেযাগীতা গড়ে উঠলে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য তা মঙ্গলজনক হবে। গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য গ্যাসব্লক দেয়া ২।

(সি) গত ২৩ জুলাই এর এক মিটিং এর সময় জ্বালানি উপদেষ্টা কনোকো ফিলিপসকে সাগরের দুটি বিরোধহীন গ্যাস ব্লক ইজারা দেয়ার সম্ভাবনার কথা রাষ্ট্রদূতকে জানান। (নোট: এরপর ঐ দিনই, আরো পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য ক্যাবিনেট থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ, ভারত এবং বার্মার মধ্যে সমুদ্যসীমার ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। প্রথমে কনোকো ফিলিপস এর ৮টি গ্যাস ব্লকের আবেদন অনুমোদন করা হলেও প্রায় ১ বছর হতে চলল বিষয়টি স্থগিত আছে। কনোকো ফিলিপস যে ৮টি ব্লকের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলো একে একে তার সবকটিই বুঝে নিতে চায় কিন্ত শুরুতে বিরোধবিহীন ব্লক দিয়েই কাজ শুরু করতে আগ্রহী।

নোট শেষ) সরবরাহ বৃদ্ধি করা ৩। (এসবিইউ) রাষ্ট্রদূত বলেন চলমান জ্বালানি সংকট থেকে উত্তরণের একটা উপায় হতে পারে বাংলাদেশের প্রধান সরবরাহ লাইনে কম্প্রেসার যুক্ত করা, কম্প্রেসার যুক্ত করলে শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। (তৌফিক ইলাহি)চৌধুরি জবাবে জানান যে বাংলাদেশ শেভরনকে তিনটি কম্প্রেসারের মধ্যে একটি বসানোর অনুমোদন প্রদানের দ্বারপ্রান্তে পৌছেছে। (নোট: বাকি দুটি কম্প্রেসার বসানোর টেন্ডার ডাকা হয়েছে কিন্তু শেভরণ জানিয়েছে তারা বাকি দুটির ব্যাপারে বিডিং করতে আগ্রহী নয়। ) শেভরন প্রথমে নিজের খরচে কম্প্রেসার বসাবে পড়ে পাইপ লাইনে বাড়তি গ্যাস সরবরাহের ফলে পেট্রবাংলার(পাইপ লাইনের মালিক) যে মুনাফা হবে সেখান থেকে কম্প্রেসার বসানোর খরচ তুলে নিবে।

চৌধুরি আশংকা প্রকাশ করেন যে বাকি দুটি কম্প্রেসার বাসাতে সরকারের আরো অনেক দেরী হবে। কম্প্রেসারের দাম বেড়ে গেছে ফলে সরকারকে এডিবি’র কাছ থেকে বাড়তি ঋণ সহায়তা নিতে হবে। তাছাড়া এই ধরণের বড় আকারের কম্প্রসের সাধারণত অর্ডার দেয়ার পর তৈরী করা হয, ফলে অর্থ যোগাড় হওয়ার পর আরো অনেক সময় লাগবে এগুলো তৈরী করতে। সম্ভাব্য একটি সমাধান হতে পারে কয়লা ৪ । (সি) রাষ্ট্রদূত উল্ল্যেখ করেন বাংলাদেশের কয়লা মজুদ বিশাল এবং কয়লার মানও খুব উন্নত; ফলে কয়লার মাধ্যমে জ্বালানী সমস্যার পুরোপুরি না হলেও আংশিক সমাধান অন্তত করা সম্ভব।

চৌধুরি জবাবে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুদূষণের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ার কারণে নতুন কোন কয়লা খনি প্রকল্পে বহুপাক্ষিত দাতা সংস্থাগুলো বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। অবশ্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ক্লিন কোল টেকনোলজির ব্যাপারে জোর দেয়ার আহবান জানান। বাংলাদেশের জন্য কোন পদ্ধতিতে কয়লা তোলা সুবিধা জনক হবে এবং সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রতিক্রিয়া কেমন ভাবে মোকাবিলা করা যাবে এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারগরি সহায়তা চেয়েছেন। তিনি আরো জনান সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্বাসনের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে। রাষ্ট্রদূত মার্কিন সরকার কর্তৃক বাংলাদেশকে এ বিষয়ে সহায়তা প্রদানের উপায় খুজে বের করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সেই সাথে বলেন , ভূমি পুর্নরুদ্ধার সঠিক ভাবে করা হলে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলণ করাই সবচেয়ে ভালো উপায়।

৫ । (সি) ফুলবাড়ি এলাকার জমিতে দরিদ্র এবং ঐতিহাসিক ভাবে শোষিত উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর বসতি থাকার কারণে প্রস্তাবিত কয়লা খনি প্রকল্পটির সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ভাবে বেশ স্পর্শকাতর বলে জ্বালানী উপদেষ্টা মন্তব্য করেন। (মন্তব্য: বিরোধী দলে থাকার সময়ে আওয়ামী লীগ প্রকল্পটির ব্যাপারে জোর বিরোধীতা প্রকাশ করেছিল)। মন্তব্য শেষ) তিনি বলেন সরকার স্থানীয় সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার উপায় বের করবে এবং সংসদীয় পদ্ধতিতে প্রকল্পটির পক্ষে সমর্থন তৈরী করবে। (নো্ট: ফুলবাড়ি কয়লা খনির সাথে যুক্ত এশিয়া এনার্জি কোম্পানির মোট বিনিয়োগের ৬০% হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

২৯ জুলাই এশিয়া এনার্জির কর্মকর্তাগণ রাষ্ট্রদূতকে জানান যে তারা আগামি কয়েক মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের সরকারি অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতার সাথে আশাবাদ ব্যাক্ত করছে। মন্তব্য শেষ) চলমান আঞ্চলিক সহযোগিতা ৬ । (সি) রাষ্ট্রদূত এবং উপদেষ্টা ইউএসএইড এর দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক জ্বালানী উদ্যোগ(সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল ইনিটিয়েটিভ ফর এনার্জি বা এসএআরআই/ই)নিয়েও কথা বলেন(যা আন্ত:দেশীয় জ্বালানি বাণিজ্য, জ্বালানি বাজার এবং দূষণহীন জ্বালানি সর্বরাহের মাধ্যমে গোটা অঞ্চলের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে)। রাষ্ট্রদূত চলমান সহযোগীতা কার্যক্রম যেমন: জুলাই এর মাঝামাঝি বাংলাদেশের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিনিধি দলের ভারত গমন ইত্যাদিকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই মনে করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমেই তাদের জ্বালানি সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং ট্রানজিট ও আঞ্চলিক সহযোগীতার বিরোধীতাকারীদের বিরোধীতার পেছনে তেমন কোন শক্ত যুক্তি নেই।

তিনি আরো বলেন, দ্বিপাক্ষিক ভাবে বৈষম্য দূরকরার চেষ্টার চেয়ে আঞ্চলিক এনার্জি গ্রিড এ যুক্ত হওয়া রাজনৈতিক ভাবে অনেক বেশি সন্তোষজনক। উপদেষ্টা বলেন: যখনই সরকার ভারতের দিপাক্ষিক ভাবে কোন প্রকল্প হাতে নেয় তখনই বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি(বিএনপি)বলতে শুরু করে আওয়ামি লীগ দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে। মন্তব্য ৭। (সি)বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এজেন্ডার একটি কেন্দ্রীয় উপাদান হলো জ্বালানি সেক্টর।

প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোক তৌফিক ইলাহি চৌধুরির মতো একজন পোড় খাওয়া কূটনৈতিক কে জ্বালানি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ঘটনা থেকেই বোঝা যায় সরকার জ্বালানি সমস্যা সমাধানকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। পৃথক জ্বালানি মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে জ্বালানি সম্পর্কিত সকল বিষয়ে চৌধুরিই প্রধান কর্মকর্তা। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস আহরণ এবং ফুলবাড়ি অঞ্চলের বিপুল কয়লা উত্তোলণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি সেক্টরের সহযোগীতা বাণিজ্যিক ভাবে লাভজনক হয়ে উঠার সম্ভবনা রয়েছে। যা করা দরকার ৮।

(ইউ)কয়লা উত্তোলণের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং উন্মুক্ত ও অন্যান্য পদ্ধতির সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রতিক্রিয়া লাঘবের জন্য কারগরি সহযোগীতা প্রদানের ব্যাপারে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ওয়াশিংটনের এজেন্সিগুলোকে আহবান জানাচ্ছে। এ ব্যাপারে চৌধুরি জানিয়েছেন অতীতে মার্কিন কোম্পানিগুলো অমূল্য উপদেশ দিয়েছে; বাংলাদেশ সরকারের দক্ষতার অভাব আছে এমন ক্ষেত্রগুলোতে নৈর্ব্যাক্তিক ও নির্ভরযোগ্য উপদেশ পাওয়া যাবে এরকম কিছু কোম্পানি/পরামর্শকের নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দিতে পারে কি-না সে বিষয়ে খোজ খবর নেন। মরিয়ার্টি। সূত্র: এই গ্যাস ব্লক ও উন্মুক্ত খনি বিষয়ক বার্তাটির মূল কপি পাওয়া যাবে এখানে: Click This Link উইকিলিকস্ এর ঢাকা অ্যামবেসি কেবল এর অন্যান্য মূল কপিগুলো পাওয়া যাবে এখানে: http://213.251.145.96/origin/87_0.html
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.