আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মূখ্যমন্ত্রী হাসিনার গ্রীন সিগনাল পেয়েই সৌভিক ঘোষাল বাবুরা বলতে পারেন বাংলাদেশ ভারতভুক্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাথে মিশে একটি বাঙ্গালী রাজ্য হয়ে উঠলে সত্যি ভালো হয়, তাই না ?

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
২. ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০০ সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বাংলাদেশ ভারতভুক্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাথে মিশে একটি বাঙ্গালী রাজ্য হয়ে উঠলে সত্যি ভালো হয়, তাই না ? ধর্মের ব্যবধানটা উপেক্ষা করতে পারে না মানুষ, এটা খারাপ লাগে। ভারতে মুসলিমরা বা বাংলাদেশ/পাকিস্থানে হিন্দুরা আতঙ্কে থাকেন, এটা এক দেশ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে মানসিক বাধা হবেই অনেকের। কিন্তু বড় দেশ নানা কারণেই ভালো, অবশ্যই আঞ্চলিক সায়ত্তশাসন স্বাধিকার (ভাষা ধর্মের) পূর্ণমাত্রায় বজায় রেখে। বড় দেশ সীমান্ত সমস্যা, ব্যয় কমায়, জনস্বার্থে ব্যয় বেশি হতে পারে। আন্তর্জাতিক দরকষাকষিতে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।

কিন্তু পুঁজিবাদ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে বিরোধিতা কিছুতেই কমতে দেয় না, যন্ত্রণা হয় সেই ইপ্সিত মিলিত ভূখণ্ড কতদূর বা আদৌ বাস্তব কিনা তা ভেবে। Click This Link ********************** ব্লগারগণ আমি মোটেও সৌঘো বাবুকে দোষ দিব না। ঠিক যেমন রবার্ট ক্লাইভকে দোষ দেওয়া যায় না। যে দেশে মীর জাফর, ভারতীয় তাবেদার থাকে সেই দেশের কপালে দুঃখই থাকে। জাতি হিসেবে আমরা থাকি বিভ্রান্ত, অনৈক্য-বিভেদে।

সেই ৭১ এর দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী যত চুক্তি হয়েছে তার বেশীর ভাগ আলীগ এবং এরশাদ করেছে। যখনই এর বিরোধীতা করা হয়েছে তখনই দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীরা রাজাকার ও পাকি পন্থী খেতাব দেওয়া হয়। অথচ একটা কিন্ডারগার্টেনের শিশুও জানে ১২০০ মাইলের ভারত টপকে এ দেশকে পুনরায় পাকিস্তান ভূক্তি সম্ভব নয়। কিছুদিন আগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান বলেছিলেন যারা ভারতের বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা রাজাকার এবং স্বাধীনতা বিরোধী। এর জন্যই ট্রানজিট চুক্তি দেশবাসী এবং সংসদকে না জানিয়ে করা হয়েছে।

টিপাই মুখ বাধ সমন্ধে ভারত প্রদত্ত তথ্য উপাত্ত না জানানো এর সব গুলি থেকে একটি সত্যিই বেড়িয়ে আসে ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিল সিলেকশন। বাংলাদেশের নিজস্ব সতন্ত্রতা, সার্বভৌমত্ব এই নির্বাচনের মাধ্যমে চরম ভাবে হুমকির মধ্যে পরেছে। আমাদের র্দূভাগ্য অখন্ড ভারতের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা রবীন্দ্রর গানকে আমাদের জাতীয় সংগীত করা হয়েছে। রবীন্দ্র নাথ স্বাধীন এই ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের বাংলাদেশ দূর অখন্ড বাংলা স্বাধীন দেশ হৌক তা তিনি চাননি। এই গান গাওয়া উচিত পশ্চিম বাংলার অধিবাসীদের কারণ এটা তারা আক্ষেপ করতেই পারে যে বাংলার খন্ডন হয়েছে।

শেকসপিয়ার ইংরেজী সাহিত্যের সম্রাট হলেও সে আমেরিকান জাতীয়তাবাদের জন্য কিছু নয়। আমেরিকার স্বতন্ত্রতার জন্য আমেরিকান স্থানীয় কবি সাহিত্যিকদের রচিত কবিতা ও সাহিত্যই সেই দেশের জাতীয়তাবাদের প্রেরণা। এই সোনার বাংলা গানকে আমাদের জাতীয় সংগীত করে বাংলাদেশকে চিরদিন ভারতের অনুগত রাখার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। কথায় কথায় বাঙালি সংস্কৃতির নামে দেশের সিংহভাগ বাংলাদেশী মুসলমানদের উপর পৌত্তলিক সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয় আমাদের কৃষ্টি কালচারের সাথে পশ্চিমবঙ্গের কোন পার্থক্য নেই।

বাংলাদেশ নাকি স্বাধীন হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনায়। অথচ ১৭/০৪/১৯৭১ প্রবাসী মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়েছিল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। আর একদল আওয়ামী বুদ্ধিজীবি বলেন রবীন্দ্রকে পুরোপুরি অনুসরণ না করলে নাকি বাঙালী হওয়া যায় না। অথচ রবীন্দ্র নাথ সহ তৎকালীন হিন্দুরা কেউই এই অঞ্চলের মুসলমানদের বাঙালীই বলত না। অর্থাৎ পৌত্তলিক সংস্কৃতি অনুসরণ না করলে সে বাঙালী নয়।

আর দেশে এখন সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা চালু করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের ৯০% জনগণ মুসলমান ৫ম সংশোধনীর প্রতি সমর্থন আছে সেখানে জোড় পূর্বক ধর্মনিরপেক্ষতা এনে ভবিষ্যতে বলা হবে ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ ভুল ছিল। আমরা অখন্ড ভারতে ফিরে যাই। এর জন্যই ২০০০ সালে হাসিনা কোলকাতার বই মেলায় যেয়ে সিদুর এবং মূখ্যমন্ত্রীর ডাক শুনেও প্রতিবাদ করেনি। আর এটাও বলতে চাই বিগত জোট সরকারের নীতি নির্ধারকদের তীব্র ধিক্কার ব্রুট মেজরিটি থাকা সত্ত্বেও কেন রবীন্দ্র রচিত জাতীয় সংগীত পাল্টে এমন জাতীয় সংগীত নির্ধারণ করা হল না কেন যেখানে বাংলাদেশ কথাটি থাকে? রবীন্দ্রর বাংলা বলতে বোঝায় পশ্চিমবঙ্গ+বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গ হল ভারত বর্ষ এবং বাংলাদেশ হল একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ।

রাশিয়া ও ফ্রান্স একাধিক বার তাদের জাতীয় সংগীত বদলেছে। তাতে কি তারা তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খুইয়েছে? বরং তাদের জাতীয়তাবাদ আরও শক্তিশালী হয়েছে। হাসিনা ও তার আওয়ামী-বাকশালী গং দেশের নীতি নির্ধারণে সম্পূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারত ভিত্তিক যা প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশকে ভারত হতে উল্লেখযোগ্য ভাবে আলাদা করা যায় না। এ গুলোর প্রভাব একদিনে পরে না। এই কারণেই সৌভিক ঘোষাল বাবুরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে আমাদেরকে ভারতে অঙ্গীভুত হওয়ার কথা বলতে সাহস পান।

আর হাসিনা ও তার দল কখনই ভারতীয়দের এই আব্দারে প্রতিবাদতো দূর উল্টো হেসে মৌন সম্মতি দেন। এদেরই কয়েকজন কবির চৌধুরী, মুনতাসির মামুন, প্রয়াত ওয়াহিদুল হক চান না বাংলাদেশের নিজস্ব সামরিক বাহিনী থাকুক। তারা ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগে খুবই দু্ঃখিত। তাই সময় এসেছে ভারতের পশ্চিবঙ্গ হতে নিজেদের ধর্ম, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, চাল চলন যে আলাদা তা সমন্ধে সচেতন থাকা। নতুবা এই ঘোষাল বাবুদের সংখ্যা হাজার নয় কোটি কোটি হবে এসো ওপার বাংলা আমরা মিশে যাই।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.