আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরীবের কথা বাসী হলেও ফলে! ট্রানজিট রুটের জন্য ভারতীয় ঋণে ভারতীয় দ্রব্যাদি-ঠিকাদার,সুদ প্রাপ্তি ভারতেরই, এই না হলে হাসিনা মূখ্যমন্ত্রী

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

এ বছরের জানুয়ারীতে লিখেছিলাম; মূখ্যমন্ত্রী হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবেন নাতো বাংলাদেশের উপকার করবেন? চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্টের ষড়যন্ত্র হচ্ছে! Click This Link সে যাই হৌক শেখ হাসিনা মহা আনন্দের সঙ্গে ভারতের সাথে তথাকথিত ট্রানজিট যা বাস্তবে করিডোর চুক্তি সই করেছেন। বাংলাদেশের অভিন্ন নদ-নদীর পানির সুষম বন্টন, সীমান্ত-ছিট মহল, সমুদ্র সীমা-তালপট্টি, বাণিজ্যিক বৈষম্য, বিএসএফ এর নির্বিচারে বাংলাদেশীদের হত্যা ইত্যাদি সুরাহা না করে, বাংলাদেশের জনগণকে অন্ধকারে রেখে এবং সংসদে আইন পাশ না করাতো দূর আলোচনা না করেই এই ট্রানজিট চুক্তি করা হয়। আওয়ামিলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে চাণক্যতা স্বরুপ বলা হয় আন্তর্জাতিক যোগাযোগ-বাণিজ্য পথ(সড়ক-রেল), যৌথ সন্ত্রাস দমন বাহিনী ইত্যাদি করা হবে। আসলে মূলত ভারতকে এক তরফা করিডোর এবং সুবিধাকে ঢাকার জন্যই মূখরোচক বুলি দিয়ে দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। কারণ ভারত চীনকে তার দেশের উপর দিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যাবহার করতে দেওয়া দূর নেপাল ও ভুটানকেও এই সুবিধা দিতে রাজি নয়।

হাসিনা ভারত সফর করে জানান তার সফর ১০০% সফল। আর গলাবাজি করলেন যে ভারত নেপালও ও ভুটানকে ট্রানজিট দেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছে। তারপর বাংলাদেশকে নাকি শতাধিক পণ্যের শুল্ক মূক্ত প্রবেশাধিকারের কথা বলেছে। এই লেখা যে উদ্দেশ্যে লিখছি বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ভারতের জন্য করিডোর কাঠামো নির্মাণে যে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হবে, এখন জানা যাচ্ছে যে তার পূর্ণ শর্ত হচ্ছে রাস্তা-ব্রিজ বানানোর সরঞ্জাম এবং ঠিকাদার প্রায় ষোল আনাই ভারতীয় হতে হবে। বাকী ১৫% সরঞ্জাম ভারতীয় ঠিকাদারের পরামর্শে তাও নিশ্চিত করে বলা যায় সেগুলোও ভারতীয় হবে।

অর্থাৎ ভারতীয় কোম্পানী গুলিই লাভবান হবে এবং উপরন্ত সে দেশের ব্যাংক সুদও পাবে। বাংলাদেশ সরকার বলছে যে এই শর্ত নাকি ৭ই আগষ্টের চুক্তিতে ছিল না। আর রাস্তা-ঘাটের জন্য ভারতীয় সরঞ্জাম পৃথিবীর অন্যতম নিম্ন মানের। Click This Link বাংলাদেশ যেখানে সড়ক পথের জন্য চীন-কোরিয়া, জাপান সহ উন্নত দেশের ভাল মানের সামগ্রী ব্যাবহার করে সেখানে এ ক্ষেত্রে ভারতীয় দ্রব্যাদি গুণগত মানের দিক দিয়ে ধারের কাছেও নেই। বাংলাদেশের এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এ সমস্ত নিম্নমানের ভারতীয় দ্রব্য দিয়ে রাস্তা-ব্রিজ বানালে খুব তাড়াতাড়িই ভেঙ্গে পড়বে।

এখন দেখা যাচ্ছে যে ঋণ নিয়ে হাসিনা ও বাকশালী গং ফালাফালি করেছিল, তা এখন জানা যাচে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই। তার উপর কয়েক মাস আগে নৌ-ট্রানজিটের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইদুর-বিড়াল খেলা তথা ভারতের থেকে লেভী আদায় করার অনড় ভাবের নাটক শেষমেশ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। তাই আমার আশংকা এই করিডোরে বিনিময়ে বাংলাদেশ ন্যায্য লাভ পাবে না। কারণ আলীগের দালালি মনোভাবই এর জন্য দ্বায়ী। যারা দেশবাসীকে অন্ধকারে রাখে এবং সংসদের ধার ধারে না তাদের থেকে একমাত্র বোকারাই বাংলাদেশের জন্য ভাল কিছু আশা করতে পারে।

এর জন্যই বিএনপি বলেছিল ২০০৮ এর নির্বাচন হল দেশ বাচাও মানুষ বাচাও। কিন্তু মইন ইউ ভারতকে বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আলীগ ও হাসিনা ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ক্ষতিকর চুক্তি করবে বলেই নির্বাচনে এত বিপুল ভাবে জয়ী হয়। তার জন্যই হাসিনা ও বাকশালীদের এই ইদুর-বিড়াল তথা প্রতারণার খেলা। নতুবা কেন এই সততা ও আন্তরিকতার অভাব? চারদলীয় জোটকে আওয়ামী-বাকশালী গং গালাগালি ও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিথ্যা অপবাদ দেয়।

অথচ ২০০১-০৬ সালে বাংলাদেশ ভারতের প্রবল চাপ সত্ত্বেও কোন অসম চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। জোট সরকারের ছিল সাফ কথা ভারত এক তরফা সুবিধা পাবে না বরং উভয় পক্ষেরই ন্যায্য লাভবান হতে হবে। সহজ অর্থেই যূগৎপৎ বিনিময় এক হাতে নিবেন তো অন্য হাতে দিতে হবে তা লিখিত চুক্তি অনুসারে। কোনমতেই মহা BAL জোট সরকারের মত নয় যে এই নেপাল-ভুটানের ব্যাপারেও ভারত হতে মৌখিক আশ্বাস পেয়েছি। ১৯৭২ হতে আলীগ যতবরাই ক্ষমতায় এসেছে ভারত হতে বাংলাদেশ তেমন কোন লাভবান হতে পারে নি।

ফারাক্কা বাধের পরীক্ষা মূলক চালুর অনুমতি, তিন বিঘা পুরোপুরি না পাওয়া সহ সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী ক্ষতিকারক চুক্তি হয়েছে। তারপরেও স্রেফ মিডিয়ার জোড়ে এবং আলীগ পন্থী বুদ্ধিজীবিদের গলাবাজি, ভারত আমাদের পরম মিত্র, এর বিরোধীতাকারীরা রাজাকার ইত্যাদি। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীনই হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান হতে আরও উন্নত হওয়ার জন্য। অর্থনৈতিক মূক্তিই সর্বাগ্রে। এবার এই মহা BAL জোট সরকার এমন চুক্তি করে ও ভারতকে সুবিধা দিয়ে যাবে যাতে ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও কিছুই করতে পারবে না।

আর তখন আওয়ামী-বাকশালী গং হিজড়াদের মতন টিটকারী দিবে পারলে চুক্তি বাতিল কর। তাই দূর্বার সংগঠিত গণ-আন্দোলন করা ছাড়া এই সমস্ত দেশ বিরোধী চুক্তি ঠেকানো যাবে না। তাই ভবিষ্যত বড়ই অনিশ্চিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।