আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমুক এবং তার পরীক্ষা

পরীক্ষা শুরু হৈলেই অমুকের ঘুম বাইড়া যায় । দিন যায় অমুকের ঘুম যায় বেড়ে টাইপের অবস্থা আর কি । প্রতিটা পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরেই মাথায় একটাই চিন্তা আসে যে এইটা কোনোরকমভাবে যাউক পরেরটায় খুব ভালো মতো পড়বেন তিনি । কিন্তু হেইয়া কি আর অর কপালে আছে । পরীক্ষার আগের রাইত ছাড়া পড়তেই বসা যায় না ।

এইটাই অভ্যাস হৈয়া দাড়াইছে এমুন অবস্থা । পরীক্ষা দিবার গেলে প্রশ্ন লওয়ার আগেই কইলজার পানি হুগায়া যায় । এই পানিশুন্যতা বা ডি-হাইড্রেশন থাইকা বাঁচতে হইলে কলিজাকে নিয়মিত বি.টি.ভি দেখান তিনি কারণ ঐ জায়গায় ডিসকোভারির চাইতেও কঠিন কায়দায় দেহে পানির অভাব কাটানোর উপায় দেখায় । সিটে বসার আগেই যদিও অমুক সামনে-পিছে সবগুলারে তেল মাইজাই রাখে যাতে অমুক নিজে যেকুনো স্যারের গার্ড তথা পরীক্ষাকালীন দূর্যোগ মোকাবিলা করতে পারে । অরাও সেইরকম হেল্পফুল ।

তয় দুই এক সময় শতবার ডাকার পরেও কেউ শুইনাও না শুনার ভান ধরলে তারে কলম দিয়া কোপাইতে মন চায় অমুকের । স্যারদের সন্মান দিতে অমুক চরম ওস্তাদ । তয় এইটাও অনেকের কাছে তেল মনে হইতে পারে । ওনাদের যতো সন্মান দেওয়া যায় ততোই নিজের কাছে ভাল্লাগে । তয় দুই একজনের ব্যপারটা আলাদা ।

যার পরিচিত স্যার গার্ডে পরেন তার তো অবস্থা দুই রকমের হয়, বেশি ভালো নাইলে বেশি খারাপ । কিছু না কইলে তো ভালো । যদি কিছু কয় তাইলে তো আতংকের উপরেই যায় অমুকের । স্যাররাও কিন্তু সশস্ত্র বাহিনীর লোকের মতোই,তারাও হলের ভিতরে দুই এক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ধারা জারী করে । but অমুক কো পাকারনা মুশকিল হি নেহি ,না মুমকিন হে...........দুই এক সময় স্যারগো রাডারে ধরা পড়লে মাঝে মাঝে নিজের রাবার,পেন্সিল,কলম গুলারে অন্যের দাবী কইরা ঐটা আমদানি-রপ্তানি'র ছুতা তো আছেই ।

এইডাই কমন ব্যপার । গ.সা.গু. টাইপের জিনিস আরকি । কলমের মুখ বন্ধুর মুথে তথা মাথায় ছুইড়া মাইরা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বেশ খ্যাত । এবং স্যারদের দিকে অমায়িক দৃষ্টিতে তাকাইয়া আইন শিথিল করার চেষ্টায় অমুক বরাবরই সুনামখ্যাত । তয় যখন কোনো কিছুতেই কাজ হয় না তখন কলমের পিছনের ভাগ মুখে দিয়া ঐটা ঢুকানো আর বের করার পাশাপাশি নিকটবর্তী সাহায্যকারী কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করা বেকুব সদা অব্যাহত রাখতে বাধিত থাকে ।

অমুকের হঠাত্‍ হঠাত্‍ লেখা থামাইয়া দিয়া জানালার দিকে তাকাইয়া জ্ঞান অর্জনের অভ্যাসও আছে । এইটা নিয়াও অমুকের বিচক্ষণ বন্ধুরা আলোচনা করে । অমুক তার সমালোচনা আর প্রশংসা, এই দুইটার কোনোটাই কোনোদিন ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা কমই করছে তাই সে এইগুলাকে উপভোগ করাই শ্রেয় মনে করে । অনেক সময় যখন হলে রুল জারি করে যে, যে দেখাবে তার এবং যে দেখবে দুজনেরই শাস্তি হবে । এরপর যখন কেউ কারো দিকে সাময়িকভাবে তাকায় না এমতাবস্থায় অমুক ভাইয়ের আফসুছ ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা ।

তয় অমুকের চোখে কি-জানি আছে, কে-জানি বলছিলো । অমুকের চোখের দিকে তাকাইলে নাকি সবারই মায়া লাগে । যাই হোক এক সময় যখন স্যার কোনো সুযোগ দেন না এবং অমুকের চোখেরও কোনো এফেক্ট্ স্যারের উপর পরেনা তখন অমুক বলে , "আপনের এইরকম ঘাড় তেড়ামি নেহি সহ্য করমু আমি, জাব তাক হেই জান,জাব তাক হেই জান , যখন আমি বহু আশা লইয়া একটু সুযোগের আশায় থাকি আর আপনি ঐটা দেন না ঐডি আমি ভুলুম না, জাব তাক হেই জান,জাব তাক হেই জান । , পড়ের পরীক্ষায় এইরকম সিচুয়েশন তৈরী হইতে আমি দিমুনা, জাব তাক হেই জান , জাব তাক হেই জান" । পরের পরীক্ষা গুলাও এইভাবেই অমুক কাটাইয়া দেয় ।

তার ঠিক মতো কোনো কিছুই কোনোদিন করা হয় না । আসলে; ঘুমিয়ে আছে সব পরীক্ষার্থী , অমুক ভাইয়ের অন্তরে । [ বানান,অন্যান্য দোষ ত্রুটি ও উপরোক্ত কিছু যদি কারো সাথে মিলে যায় এবং সেটা তার খারাপ লাগে তবে আন্তরিকভাবে দুঃখিত ] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।