আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিবিরের সড়ক অবরোধে ঈদযাত্রীদের ভোগান্তি

রাত পৌনে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের কয়েকটি স্থানে শিবিরকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। বিজিবি নামানোর পর পরিস্থিতি শান্ত হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাড়ি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
ঈদের দুদিন আগে দেশের ব্যস্ততম সড়কে সাড়ে তিন ঘণ্টা পথ বন্ধ থাকায় সীতাকুণ্ডের দুই পাশে কয়েকশ’ বাস আটকে ছিল। রাতের বেলায় এই ভোগান্তি ছিল হাজার হাজার মানুষের।
রাত সোয়া ১২টার দিকে গাড়ি চলাচল পুনরায় শুরু হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সীতাকুণ্ড সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইকবাল হাসান।


এর ঘণ্টাখানেক আগে ওই এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।
গাড়ি চলাচল শুরু হলেও দুই পাশে বহু গাড়ি জমে যাওয়ায় যানজট লেগে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ইউএনও বলেন, সোয়া ১২টার দিকে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে।    
পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল বলেন, শিবিরকর্মীরা অবরোধের সময় ১০ থেকে ১২টি গাড়ি ভাংচুর করেছে।


উপজেলা সদরে শিবিরকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন উপপরিদর্শক এবং দুজন সহকারী উপপরিদর্শকসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান ইকবাল।
সংঘর্ষে একজন জামায়াতকর্মী নিহত হয়েছে। দলের নেতারা দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতে আবু বকর পারভেজ নামে ওই ব্যক্তি মারা যান।
 
অবরোধ ও সংঘর্ষের পর সীতাকুণ্ড উপজেলা সদরসহ মহাসড়কে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে র‌্যাবও টহলে নেমেছে।  
ঘটনার সূত্রপাত হয় সন্ধ্যার দিকে আব্দুল্লাহ আল রাসেল বাবু (২৮) নামে ওই যুবককে আরো কয়েকজন যুবকের মারধরের পর।


রাসেল সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর ফেদাইনগর গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে। তিনি এক সময় শিবিরের সাথী ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি সামিউল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বড় দারোগার হাটে সন্ধ্যায় রাসেলকে মারধরের পর তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
রাসেলকে রাত পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কী কারণে রাসেল হামলার শিকার হয়েছেন- সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারেনি।

চমেক হাসপাতালের নিবন্ধন খাতায় লেখা হয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারধরে রাসেল গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, রাসেলের মৃত্যুর খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে শিবিরকর্মীরা উপজেলা সদরে প্রথমে মিছিল বের করে। আগুন দেয় দুটি মোটর সাইকেল ও তিনটি অটো রিকশায়।
শিবিরকর্মীরা কয়েকটি দোকান ভাংচুর করলে পৌর সদরের ব্যবসায়ীরা ঈদে শেষ মুহূর্তের বিক্রি বাদ দিয়ে তাদের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
এরপর শিবিরকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে।


স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, কয়েকটি স্থানে অবরোধ করায় রাস্তা পরিষ্কার করতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.