আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমূহ

মধ্যপ্রাচ্য হলো এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যবর্তী একটি অঞ্চল। সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যে শুস্ক ও গরম জলবায়ু বিদ্যমান । মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ পারস্য উপসাগর তীরে অবস্থিত এবং প্রচুর অশোধিত পেট্রোলিয়াম জ্বালানী তেল সম্পদে ভরপুর । কুয়েত রাজ্য একটি ছোট তেল সমৃদ্ধ, দক্ষিণে সৌদি আরব ও উত্তরে ইরাক বেষ্টিত রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কুয়েতের জনগণের প্রায় ৮৫% ভাব মৌখিক আদান-প্রদানের জন্য উপসাগরীয় আরবি ভাষা ব্যবহার করেন।

২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইরাক যুদ্ধ। অবশেষে ২০১১ সালে মধ্যপ্রাচ্যসহ আরব বিশ্ব ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ গণবিক্ষোভে ফেটে পড়ে। লিবিয়া, মিশর, সিরিয়া, ইয়েমেন, তিউনিশিয়া সহ সকল দেশের এই গণবিক্ষোভের পেছনে রয়েছে ওবামা ও মার্কিন প্রশাসনের জোর সমর্থন। লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি দীর্ঘ ৪২ বছর ক্ষমতায় আছেন। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও তিনিই লিবিয়াকে অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক অগ্রসর মান করতে পেরেছিলেন।

লিবিয়ার অস্ত্র সংগ্রহের প্রধান উৎস রাশিয়া। দুবাই আরব আমিরাতের সাতটি প্রদেশের মধ্যে একটি প্রদেশ। ১৮৩৩ সাল থেকে দুবাই শাসন করে আসছে আল মাকতুম পারিবার। দুবাইয়ের প্রধান রাজস্ব আয় হচ্ছে পর্যটন ,রিয়েল এস্টেট এবং অর্থনৈতিক সেবা। সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি।

এই মরুভূমি আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত। মিশর, মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, চাদ, সুদান, নাইজার, মালি প্রভৃতি দেশ পর্যন্ত সাহারা মরূভুমি বিস্তৃত। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০ সেমি-র বেশী হবে না। দিনে প্রচন্ড গরম ও রাতে ঠান্ডা। কখনো কখনো পাহাড়ের চূড়ায় বরফও জমে থাকতে দেখা যায়।

১০,০০০ বছর আগে সাহারার আবহাওয়া অনেক ভালো ছিলো, হ্রদ ও ছোট নদী ছিলো। এই এলাকায় হাতি জিরাফ ও অন্যান্য প্রাণী বাস করত। কাতার পারস্য উপসাগরের একটি দেশ। ১৯শ শতকের শেষভাগ থেকে আল-থানি গোত্রের লোকেরা কাতার অঞ্চলটিকে একটি আমিরাত হিসেবে শাসন করে আসছে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দেশটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে।

১৯৭১ সালে এটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। হামাদ বিন খালিফা আল সানি ১৯৯৫ সাল থেকে দেশটির বর্তমান আমীর। ওমানের পশ্চিমে ইয়েমেন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত, পূর্বে আরব সাগর, উত্তরে ওমান উপসাগর। পারস্য উপসাগরে ওমানের কয়েক কিলোমিটার তটরেখা আছে। মাসকাত ওমানের রাজধানী এবং বৃহত্তম নগর।

ওমান আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব চতুর্থাংশে অবস্থিত। ওমানের শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি এলাকা মরুভূমি, ১৫% পর্বত এবং মাত্র ৩% উপকূলীয় সমভূমি। বেশির ভাগ লোকালয় সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গুহা মাজলিস আল জিন এখানে অবস্থিত। ওমানে বহু বিদেশীর বাস।

এখানকার ৩০ লক্ষ লোকের মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ লোক ওমানি নাগরিক নন, মূলত ভারত, পাকিস্তান ও ইরান থেকে আগত বিদেশী কর্মী। ইরান বিশ্বের সবচেয়ে পর্বতময় দেশগুলির একটি; এখানে হিমালয়ের পরেই এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দামভান্দ অবস্থিত। ইরান নামটি এই এলাকায় বসতি স্থাপনকারী আর্য গোত্রের নাম থেকে নেয়া। ইরান পৃথিবীর প্রাচীনতম কাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত অস্তিত্বশীল বৃহৎ সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইরানের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের যার সূচনা হিসেবে বলা যায় ইরানী প্লেট-এ অবস্থিতআজারবাইজানের Mannaean সভ্যতা।

সৌদি আরবের পর ইরান মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। দেশটির মোট আয়তন ১,৬৪৮,০০০ বর্গকিলোমিটার। লেবানন এশিয়ার মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র। লেবানন ধর্ম ও গোষ্ঠীগতভাবে বিভক্ত একটি রাষ্ট্র। এখানে খ্রিস্টান, সুন্নী মুসলমান ও শিয়া মুসলমানেরা একত্রে বাস করেন।

আরবি ভাষা লেবাননের সরকারী ভাষা। দেশটির ৯০%-এরও বেশি লোক আরবি ভাষাতে কথা বলে। ( ইউকিপিডিয়া থেকে ) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.