আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌর নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার জরুরী

mojnu@ymail.com

পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্রধারী দাগি সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। আবার সরকারি দলের ছত্রছায়ায় এসব সন্ত্রাসীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জোর তদবীর করছেন বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। জানাগেছে, কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামি ১৮ জানুয়ারী। এ নির্বাচনকে ঘিরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বিভিন্ন তৎপরতায় এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

জানাগেছে, ২০০৭ সালের ৪ ফেব্র“য়ারী বসুরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের জামায়াত ক্যাডার আবদুল করিম হেলাল প্রকাশ নিগ্রো হেলালকে দুটি পাইপগান, দুটি তাজা কার্টুজসহ এবং একই এলাকার বিএনপি কর্মী জাকের হোসেন সবুজকে একটি পাইপগানের বাটসহ আটক করে সেনাবাহিনী। পরে একই সালের ১০ ফেব্র“য়ারী রাতে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও বোমাসহ আটক হন ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ দলীয় পৌর কাউন্সিলর এবিএম ছিদ্দিক। এ ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক পৃথক মামলা হলে আদালত হেলালকে ১৭ বছর, সবুজকে ১০ বছর ও কাউন্সিলর এবিএম ছিদ্দিককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। পরে তিনজনই উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসলেও নিগ্রো হেলাল ডাকাতি মামলায় আবারও আটক হয়েছেন। অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এসব দাগি আসামি প্রকাশ্যে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধার সৃষ্টি হতে পরে বলে মন্তব্য করেছে সচেতন নাগরিকরা।

এদিকে জামিনপ্রাপ্ত কাউন্সিলর এবিএম ছিদ্দিক আসন্ন নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মতাসীন দলের মনোনয়নের জন্য জোর লবিং করছেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে নির্বাচন কমিশনার এম. সাখাওয়াত হোসেনের গত ৬ ডিসেম্বরের দেয়া বক্তব্যের ফলে তার নির্বাচন করা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এম. সাখাওয়াত বলেছেন, যাদের নিম্নে দুই বছরের সাজা রয়েছে, তারা জামিনে বা আপীলে থাকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র ওই মামলা বা সাজার উপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকলে ওই ব্যক্তি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, কাউন্সিলর এবিএম ছিদ্দিক অস্ত্র ও বোমাসহ আটক হওয়ার পর তার বাড়ি থেকে আরও বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনা বাহিনী।

তাছাড়া সা¤প্রতিক সময়ে ওই ওয়ার্ডের দু’স্থান থেকে চারটি বন্দুক ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ জনগন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, জরুরী ভিত্তিতে বসুরহাট পৌরসভায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ রা করা। উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মতাসীন মহাজোটের সমর্থন পেয়েছেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংসদ ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল কাদের মির্জা এবং চারদলীয় জোটের সমর্থন পেয়েছেন পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৫১০জন। (ফাইল ফটোঃ ১।

অস্ত্র ও বোমাসহ আটককৃত কাউন্সিলর এবিএম ছিদ্দিক, ২। অস্ত্রসহ আটককৃত সবুজ ও নিগ্রো হেলাল। )

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.