আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারদলীয় ক্যাডারদের লালসার শিকার হয়ে যৌনকর্মী হলো লাবণী



পুলিশ কি না পারে! নারায়ণগঞ্জে সরকারদলীয় ক্যাডারদের গণধর্ষণের শিকার হয়ে এক গার্মেন্ট কর্মী পুলিশের খাতায় এখন যৌনকর্মী। পুলিশের অসহযোগিতা ও ধর্ষকদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ধর্ষিতার পরিবার। পুলিশ গতকাল ওই গার্মেন্ট কর্মীকে পতিতা আখ্যায়িত করে আদালতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। এদিকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করা হলে এসিড দিয়ে মুখ জ্বালিয়ে দেয়া হবে বলে ধর্ষিতা ও তার বোনকে হুমকি দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে ফতুল্লার লালপুর এলাকায়। এলাকাবাসীর সূত্রমতে, ফতুল্লার শাহ ফতুল্লা টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক লাবণী (১৬) স্থানীয় রেলস্টেশন এলাকায় চাচাত বোন রেশমার সঙ্গে ভাড়া থাকত। বুধবার রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে লালপুর পৌষা পুকুর পাড়ে রেশমার অপর বোনের বাসায় যাচ্ছিল লাবণী। সোয়া ৮টার দিকে ফতুল্লা ডিআইটি মাঠের সামনে লাবণীর পথ আটকে দাঁড়ায় সরকারদলীয় ক্যাডার কানা সুমন ও মিঠু চৌধুরী। তারা লাবণীকে জোরপূর্বক ধরে লালপুর এলাকায় জনৈক আবু বকর সিদ্দিকের পরিত্যক্ত বাসায় নিয়ে যায়।

সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছিল সন্ত্রাসী রনি ও আবুল ওরফে ডাকাত আবুল। লাবণী জানায়, ওই বাসায় রনি, কানা সুমন, ডাকাত আবুল ও মিঠু তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এদিকে ধর্ষিতার চিত্কার শুনে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে গিয়ে মিঠু চৌধুরীকে আটক করে। কিন্তু পুলিশের সামনে দিয়েই কানা সুমন, রনি, ডাকাত আবুল নিরাপদে সটকে পড়ে।

পরে পুলিশ রাতেই ধর্ষিতা লাবণী ও ধর্ষক মিঠু চৌধুরীকে থানায় নিয়ে আসে। এরপর শুরু হয় রনি, কানা সুমন ও ডাকাত আবুলের পক্ষে দেন-দরবার। রেশমা জানায়, আমি থানায় বিচার চেয়েও পাইনি। আমার কোনো অভিযোগ পুলিশ শোনেনি। এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার এসআই জাহাঙ্গীর জানান, মিঠু চৌধুরী ও লাবণী অসামাজিক কার্যকলাপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

তাদের হাতেনাতে ধরা হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি জীবন কান্তি সরকার জানান, মেয়েটিকে টাকা দিয়ে কুকর্ম করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আমি শুনেছি। গ্রেফতারকৃত দু’জনকে ২৯০ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.