আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অলিম্পিক স্বর্ণজয়ের স্বপ্ন পাহাড়ি শিশুদের

আতাউর রহমান কাবুল

আতাউর রহমান কাবুল বান্দরবানের লামার দুর্গম পাহাড়ের চারশত পাহাড়ি বাঙালি শিক্ষার্থীর সামনে এখন নতুন স্বপ্ন—‘অলিম্পিকে সোনা আমরা জিতবই’। অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ের লক্ষ্য সামনে রেখে এসব শিক্ষার্থীর জন্য তৈরি করা হয়েছে লামা উপজেলার গহীন অরণ্যে দেশের সবচেয়ে উঁচু মাঠ ‘গ্রাউন্ড অলিম্পিয়ান’। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা প্রায় হাজার ফুট। এ মাঠ উদ্বোধন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এ মাঠের ক্রীড়াবিদ ও খেলোয়াড়দের কাছ থেকে শুধু একটা গোল্ডমেডেল না, প্রতিবারই ৫/১০টা গোল্ড মেডেল আসবে বলে বিশ্বাস করি।

কারণ, এখানকার শিশুরা স্বপ্ন দেখছে এবং স্বপ্নের মধ্যে বিশ্বাস আছে, কষ্ট করার সাহস আছে আর অনুশীলন করার মাঠ আছে। কাজেই এখান থেকে আমরা অনেক গোল্ডমেডেল পাবো। ’ তিনি বলেন, ‘অলিম্পিক থেকে আমি গোল্ডমেডেল আনবই’—এ বিশ্বাস যদি কোনো শিশুর মধ্যে সত্যি সত্যি জাগে তাহলে সে আনবেই। কারণ মানুষ যা ভাবতে পারে, সে তা-ই করে, তা-ই হয়। জানা যায়, সমতল ভূমির ক্রীড়াবিদদের চেয়ে পাহাড়ি বা উঁচু স্থানে প্রশিক্ষণ পাওয়া ক্রীড়াবিদদের দম বা স্ট্যামিনা বেশি থাকে।

ফলে অ্যাথলেটিকসের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং নানা ধরনের খেলায় তাদের পারদর্শিতা অনেক বৃদ্ধি পায়। চীনের ক্রীড়াবিদদের পারদর্শিতারও অন্যতম রহস্য উঁচুমাঠে প্রশিক্ষণ। এ সূত্রকে সামনে রেখেই তৈরি করা হয়েছে গ্রাউন্ড অলিম্পিয়ান। এ মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণের ফলে শিশুদের স্ট্যামিনা অন্য যে কোনো অঞ্চলের শিশুদের তুলনায় বেশি হবে। পাশাপাশি যথাযথ প্রশিক্ষণ তাদের ক্রমাগত দক্ষ করে তুলবে।

টিলার গায়ে ধাপে ধাপে নির্মিত হয়েছে কোয়ান্টাম শিশুকাননের নতুন স্কুলভবন। এর কাছেই আরেকটি টিলার উপরিভাগে অবস্থিত এবড়োথেবড়ো আনারস ক্ষেত সমতল করে এ মাঠ তৈরি করা হয়। পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে নির্মিত এ মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকেও দারুণ মনোরম। উল্লেখ্য, গত সাত বছর ধরে কোয়ান্টাম শিশুকাননের শিক্ষার্থীরা লামা উপজেলা পর্যায়ে এবং বান্দরবান জেলা পর্যায়ে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের প্যারেড ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অধিকার করে আসছে। গত বছর প্রথমবারের মতো তারা বিভাগীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম এসেই প্যারেড ও ডিসপ্লেতে প্রথম স্থান অধিকার করাসহ প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসে জাতীয় পর্যায়ে আন্তঃস্কুল খো খো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়।

তবে এতদিন কোনো মাঠ না থাকায় তাদের খেলার অনুশীলন করতে হয়েছিল পুরান স্কুলভবনের আঙ্গিনায়, প্যারেড করতে হয়েছে রাস্তায়। এতদিন তারা ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল বা এ ধরনের কোনো খেলায় অংশ নিতে পারেনি। এমনকি অ্যাথলেটিকসের ট্র্যাক বা ফিল্ড ইভেন্টের কোনো কিছুও চর্চা করার সুযোগ পায়নি। নতুন এ মাঠ তাদের জন্য নতুন অনেক কিছু চর্চা করার সুযোগ এনে দিয়েছে। আর তাই এখন তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে অলিম্পিকে সোনা জয়ের।

সূত্র: Click This Link


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.