আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামি লিগের বগলে সন্ত্রাসি পালন। ফলাফল নানকের নতুন হুমকি !

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল
২০০৫ সালে ৫ই জুন আওয়ামি লিগ আহুত হরতালের ঠিক আগের সন্ধ্যায়, ঢাকা শেরাটনের সামনে হরতালের সমর্থনে যুবলিগ মিছিল বের করেছিল। এবং সেই মিছিল থেকেই গান পাউডার দিয়ে একটি বি আর টিসি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। যাতে ১১ জন নিরীহ বাসযাত্রি আগুনে পুড়ে মারা যান। সে ঘটনায় যার নাম উঠে এসেছিল, তার নাম জাহাঙ্গির কবির নানক। সাথে আরেক সন্ত্রাসি মীর্জা আযমের নামও ছিল।

সংশয়বাদিরা নীচের লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারেন। ১ম পর্ব Click This Link ২য় পর্ব Click This Link আগের এই পোস্টে সন্ত্রাসি নানক ও আযমকে মনোনয়ন দেবার বিরোধীতা করেছিলাম বলে, অন্ধ আ লিগের সমর্থকরা নানাভাবে সমালোচনা করেছিলেন। অথচ ফলাফল দেখুন। বাকি সব কিছুর কথা বাদই দিলাম, পিলখানা হত্যাকান্ডে নানক আযমদের সংক্লিস্টতার কথা তো নতুন করে বলবার কিছু নেই। শেরাটনের সামনে বাস পুড়িয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার কথা হাসিনা জানতেন।

এর পরেও যখন নানক আর আযমকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তার মানে তিনি জেনে শুনেই সন্ত্রাসি লালন করছেন। নানক যে এলাকার এম পি সেখানকার লোকেরা তো ভয়ে এলাকার সমস্যা উচ্চারন করতেও ভয় পাচ্ছে। সেটাই স্বাভাবিক। রাস্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায় যখন সন্ত্রাসিদের পালন ও রাজনীতিতে পুর্নবাসন করে রাস্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করা হয়, তখন তাদের বিরুদ্ধাচারন করে কার সাধ্যি? সেজন্যই রাস্ট্রিয় সন্ত্রাস অবসানে ১৯৭৫ সালের ১৫আগস্টের বিপ্লবে সাধারণ মানুষের পুর্ণ সমর্থন ছিল। গতকাল পুরানো ঢাকার চকবাজারে আওয়ামি লিগের উদ্যোগে হরতাল বিরোধি এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে বক্তৃতা করেন সন্ত্রাসি নানক আর এডঃ কামরুল ইসলাম। রাজাকারের ছোট ভাই কামরুল স্বাধীনতার সময়ে প্রমোদবালকরুপে কার মনোরঞ্জন করেছিলেন, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আঃ লিগে যোগদান করে তিনি খাটি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গিয়েছেন। (তিনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, এ প্রশ্ন করার আগে দুবার ভেবে নিবেন। সেটা সঙ্গত কারণেই।

) যাই হোক কামরুল গতানুগতিকভাবেই বলেছে, বি এন পির হরতাল নাকি যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতেই দেয়া হয়েছে। তবে যুদ্ধাপরাধিদের নামের তালিকা তার নিজের নাম বা বড় ভাইয়ের নাম থাকলে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে এত লম্বা লম্বা কথা বলতে পারতেন কিনা সন্দেহ। ওদিকে তার ছাগলের মত কর্কশ কন্ঠে বড় বড় বুলির মাজেজা হচ্ছে, তিনি মামলা প্রত্যাহার নিয়ে ব্যাবসায় নিয়োজিত। নইলে শীর্ষ সন্ত্রাসি শাহাদাতের নামে মামলা কোন বিবেচনায় প্রত্যাহার হলো? আফসোস, বিরোধী দলের কেউ টাকা দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের সুযোগটি নিচ্ছেন না। আওয়ামি লিগের সন্ত্রাসি লালন ও পালনের এর চেয়ে উন্মুক্ত প্রমান আর কি হতে পারে? কথা হচ্ছিল সন্ত্রাসি নানককে নিয়ে।

ওই একই সভায়, নানক বলেছে যে, ক্যান্টমেন্টের বাড়ি তো ভালো, গুলশানের বাড়ি থেকেও খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করা হবে। অন্যান্য ফ্যাক্টরগুলি না হয় বাদই দিলাম। রাস্ট্রিয় প্রোটকল হিসেবে এম পি নানকের চেয়ে খালেদা জিয়া অবস্থান তো অনেক উপরে। কোন পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে, একজন সন্ত্রাসি প্রকাশ্যে এমন হুমকি দিতে পারে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে কি? বগলে শয়ে শয়ে সন্ত্রাসি লালন করে, উড়ো চিঠির ভিত্তিতে তথাকথিত হুজি-লস্কর-জে এম বি -আল কায়দা এদের নিয়ে আঃ লিগ সরকারের কি দারূন মাথা ব্যাথা! ক্রমাগত সন্ত্রাস, দখলবাজি, ধর্ষনবাজি ইত্যাদিতে জনগণ বিতশৃদ্ধ হয়েই কিন্তু আছে। তাই আরেকটি রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে এই সন্ত্রাসিরা নিশ্চিহ্ন হলে, তাতে জনতার মৌন সমর্থন থাকবে, সন্দেহ নেই।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.