আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থাইল্যান্ড যদি যেতে চান

আল বিদা

বাংলাদেশ থেকে যে কয়টি দেশে সহজেই যাওয়া যায় তার মধ্যে থাইল্যান্ড একটি। সবকিছু মিলিয়ে থাইল্যান্ড যাওয়া অনেক আনন্দের। আমি গিয়েছিলাম ৩ দিনের এক ছুটিতে। আর যারা যেতে চায় তাদের জন্য এখানে কিছু তথ্য দেয়ার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে জুলভার্নের এই পোস্টে (Click This Link) অনেক ইনফো আছে।

থাইল্যান্ডের ভিসা দেয়া হয় গুলশান স্টার সেন্টারে ভিএফএসের মাধ্যমে। প্রথমে পাসপোর্ট ছাড়া শুধুমাত্র যে কাগজপত্র জমা দিতে হয় তা হচ্ছে - ১. ভিসা অফিসারকে এড্রেস করে একটি ফরওয়ার্ডিং। ২. পাসপোর্টের ফটোকপি (৫ পাতা) ৩. ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ৪. অফিস/ন্যাশনাল আইডি ৫. অফিস থেকে নেয়া NOC ৬. টিকেটের কপি এই কাগজ জমা দেয়ার ৩/৪ দিন পর আবার খবর নিতে হবে এগুলো ভেরিফিকেশন হয়ে এসেছে কিনা। তারপর মূল পাসপোর্ট ফিসহ জমা দিতে হবে। আপাতত ভিসা ফি নিচ্ছে না (এম্বাসী ভাল)।

এখন বিমান, জিএমজি ও থাই এয়ার শুধুমাত্র ব্যাংকক যাচ্ছে। বিমানের ভাড়া কমবেশী ২৬০০০/- এবং থাইয়ের ভাড়া ৩২০০০/-। জিএমজির ভাড়া আরও কম তবে ফ্লাইট সিডিউল নিয়ে কিছু কমপ্লেইন আছে। যারা পাতায়া যেতে চান তারা যদি দুপুরের মধ্যে ব্যাংকক পৌছান তবে সরাসরি চলে যেতে পারেন। সুবর্নভূমি এয়ারপোর্টের বেজমেন্ট থেকে পাতায়াগামী বাস ছাড়ে যার ভাড়া ১১৩ বাথ।

পাতায়া বাস থেকে নেমে পিকআপ টেম্পুতে করে বীচরোডে গেলে প্রচুর হোটেল পাওয়া যাবে। সবগুলোর মান প্রায় একই। এসটিনি গ্রুপেরই বেশকটি হোটেল আছে। আমি ছিলাম সুই (রোড) ৭ এর এসটিনি ৭ (৬৬৩৮৪১৬২৭২-৯)। ভাড়া প্রায় ১০০০-১২০০ বাথ।

ব্যাংককে এসে সুকুমভিট এলাকায় থাকা যেতে পারে। এই এলাকাতেই প্রায় সবকিছু আছে। বামরুনগ্রাদ হসপিটালও এই এলাকায়। এম্বাসেডর, গ্রেস, প্লাজা নানা আরও অনেক রকম হোটেল আছে। যাতায়াতের জন্য ট্যাক্সির উপরই নির্ভর করতে হয়।

এক্ষেত্রে হাইওয়ে রুট ব্যবহার করলে কিছু খরচ বেশী হলেও ভাল। এখান থেকে এয়ারপোর্ট যেতে মাত্র ৩০ মিনিট লাগে। ভাড়া লাগে ৩০০ বাথ (টোল সহ)। ট্যাক্সি ড্রাইভারদের নিয়ে আমার কোন কমপ্লেইন নেই। রিটার্ন কনফার্ম করার জন্য একবার বিমানের থাইল্যান্ড অফিসে ফোন করতে পারেন যদি বিমানে ভ্রমন করেন।

অফিসের নম্বর ০২-২৩৫-৭৬৪৩/৪ এবং ০২-২৩৩-৩৮৯৬/৭/৮। আমি একলা একটা বোরিং ছুটি কাটিয়েছি বলে এর বেশী আর কোন ইনফো দিতে পারছি না। আপনাদেরও বলছি একলা থাইল্যান্ড না যেতে। আর থাইল্যান্ড কামাক্ষ্যা নয় - এই কথাটা মনে রাখতে হবে। পরে কখনও কিছু জানতে চাইলে নক করবেন।

আপনার যাত্রা আনন্দময় হোক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।