আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাহাজী

চাই বদলাতে...সব কিছুই

এই গ্রুপে এটা আমার প্রথম লেখা। তাই, বেশী কিছু না লিখে আমার আনারী হাতে লেখা একটা কবিতা এখানে দিয়ে দিলাম। এখানে কবিতাটা দেখার একটা কারণ আছে; তা হল, আমিও স্রোতের বিরুদ্ধে চলা এক জাহাজী। আপনারা কষ্ট করে পরলে ভালো লাগবে...। ।

তীরে ফেরা ঝাপসা হয়ে আসে নাবিকের দৃষ্টি; চোখে পরেনা কোনো কিনারা, তবুও মরিচীকা বলে, আর একটু এগুলেই তীর! ঝড়ে ভেঙ্গে পরতে চায় মাস্তুল তবুও যেন ভ্রক্ষেপ নেই তার! বুক চিরে বেরিয়ে আসা রক্ত যেন আজ থামতেই চায়না। কলমের কালিও যেন আজ লাল হয়ে ঝরে; সবকিছু ছেড়ে-ছুঁড়ে আজ বসে ভাবতে, তবেকি শেষ হয়নি এখনও যাত্রা! শেষ হতে থাকে সিগারেট-একের পর এক; চায়ের কাপে ওঠে ঝড়, তাতে কি আসে যায় ঝড়যে আজ তার মনেও! স্বপ্নগুলো যেন ডানাকাটা পরী...উরবার ক্ষমতাটুকু নেই... একলাফে যদি পাড়ি দিত সময়টা, তবুও হয়ত বেঁচে যেত; সময়যে আজ বড্ড শান্ত-ধীর। লেখার খাতাটা টেনেই বসে লিখতে কি পেতে চায় আজও? তারপর, যা হবার তাই হল, বেরিয়ে এল শত শত রাতের চাপানো লাভা! চেনা শহর, চেনা রাস্তা ফেলে এগিয়ে যাওয়া...এইতো জীবন । তবু কেন পিছে ফিরে দেখা !! "আরও একবার ফিরে পেতে চাই, শাটল ট্রেনে চেপে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে সহজেই চলে যাবার সেইসব দিনগুলো। কখনওবা, চায়ের কাপে ভিজিয়ে বিস্কিট; উত্তাল ঝড়ের মতই আড্ডা-বিতর্ক| কখনো চে, কখনো পাবলো,রাসপুটিন,কাস্ত্র! আবার কানামাছি-গোল্লাছুট-ডাংগুলি সর্ষে ক্ষেতের আইল দিয়ে ছূটে চলা, ছেঁড়া ঘুড়ি-কথায় কথায় আড়ি| ফিরে পেতে চাই, তোমার একখন্ড হাসি; শ্বাশত সত্যের সেই হাসি।

ফিরে যেতে চাই মায়ের কোলে; ঝড়ে আম কূড়ানো-কলাপাতার ভেলা ভাসানো, ডুব সাঁতার দিয়ে যদি অতীতে যাওয়া যেত!" হায়রে বোকা নাবিক; সে জানেনা, যা ভাবছে তা হবার নয়। যেই দুনিয়া সে ফেলে এসেছে আজ তা নিরস-নিষ্ঠুর; আজ আর কেউ কলার ভেলা ভাসায়না, ভাসায় ভঙ্গুর নৌকো। চলেনা আর শাটল ট্রেন-উরে চলে মাগলেভ। খায়না কেউ চা-এখন চলে কফি! কারণ সেই একটাই, বদলাতে হবে যুগের সাথে। হয়না আর সেই ক্ষুরধার আড্ডাবাজি চলে শুধুই ইভ্-টিজিং; আসক্তি।

আর কেউ উড়ায়না নাবিকের সেই ঘুড়ি আজ আকাশেও যে জায়গা নেই, এতটুকুও! ওড়েনা কোনোও শকুন-চিল। আজ কেউ ভাবেনা রাসপুটিন-কাস্ত্রদের; অত সময় কোথায়! এখনযে পা মাড়িয়ে সাফল্যের হাতছানি। আজ আর সর্ষে ক্ষেতে কোন পোকাও ওড়েনা কৃত্তিমতায় ভরপুর চারদিক। পুকুরে ডুব দেয়না পা্নকৌড়ি তাদের হয়ত আজ আর কেউ চেনেওনা। ওসব মনে রেখে হবেটা কি! কোনও ভর্তি পরীক্ষাতে তো আর আসবেনা, বিসিএস এ তো কখনই নয়।

জানতে হয়, বুশের মেয়ের কুকুকের নামটা কি- কতবার বাংলাদেশে সংবিধান পরিবর্তন হল! নেতার সাথে পরিচয় হলেতো কথাই নেই, কেল্লা-ফতে, শিওর সাকসেস! দালানগুলি আজ আকাশ ছোঁয়া নিশ্বাস নেবার জায়গাটুকু নেই। আজ আর জাহাজ বানানো হয়না শুরু হয়েছে জাহাজ ভাঙ্গার পালা। তবে আজও আছে, ছিন্নমূল শিশুদের আহাজারি আহাজারি আজ কৃ্ষকের মনেও। তবুও বোঝেনা কেউ,সবাই আজ নিস্বার। আবেগ-অনূভুতির নেই আজ কোনো দামটাও! আজও আছে ভালোবাসা, তবে সে শুধু স্বার্থের।

স্বার্থ শেষ হলেই আল্লাহ্ হাফেজ! শ্বাসত ভালোবাসাটা আবার কি? এটাকি রোমিও-ফরহাদের যুগ? আজও পরে বৃষ্টি ঠিকই, ভেসে যায় রাস্তা-ঘাট, চোখে পরে যান-জট। পরেনা চোখে টিনের সেই বাড়ি, শোনা যায়না টাপুর-টুপর শব্দ। বানের জলে ভেসে যায় সবকিছুই তবুও মোছেনা মনের গ্লানি! আর মা-বাবা ? তারাতো আজ বৃ্দ্ধাশ্রমে, বসে বসে কাঁদে; খবর রাখেনা কেউ-কখনো। আজ আর কেউ শোনেনা লালন তাতে পাশ্চাত্তের যে অপমান হয়! সাবধান হে সাহসী নাবিক, হে পাঞ্জেরী এসোনা কূলে, পারবেনা ফিরে যেতে! কাতরাতে কাতরাতে পরবে ঢলে, তোমার বুক চিঁরে বেরোনো রক্ত আজ মূল্যহীন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.