আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুলনার নির্দলীয় গণমঞ্চের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ১ মার্চ গল্লামারী বধ্যভূমিতে মহাসমাবেশ, এখন থেকে প্রতি শনিবার শিববাড়ি মোড়ে জমায়েত

ধর্ম যার যার , বাংলাদেশ সবার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে খুলনার নির্দলীয় গণমঞ্চ থেকে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিববাড়ি মোড়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্দলীয় গণমঞ্চের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাপ্পী। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় গল্লামারী বধ্যভূমিতে মহাসমাবেশ, ৮মার্চ চুকনগর বধ্যভূমিতে বিকেল সাড়ে ৩টায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এখন থেকে প্রতি শনিবার বিকেল ৩টা থেকে শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি ও জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা. থানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহল্লায় মোড়ে মোড়ে গ্রামে গ্রামে নির্দলীয় গণমঞ্চের গণসংযোগ কর্মসূচি চলতে থাকবে। গত ১৮ দিন ধরে শিববাড়ি মোড়ে অব্যাহত চলা নির্দলীয় গণমঞ্চের অবস্থান গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে সমাপ্ত হয়। শিববাড়ি মোড়ের আন্দোলন সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিসমূহ হচ্ছে- জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগ ও শহীদ মিনার ভাঙচুরের জন্য দায়ী জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রেফতার, আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালকে ২৫ মার্চের মধ্যে স্থায়ী ঘোষণা, বাদী পক্ষের যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ দলিলাদি ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন, আপিল বিভাগ দ্রুততার সাথে রায় নিশ্চিত করা এবং ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র পক্ষের সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা রহিতকরণ, ২৫ মার্চের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামায়াত-শিবির এবং তাদের অঙ্গ সংগঠন ও মুখপত্র গণমাধ্যম নিষিদ্ধ, ২৮ মার্চের মধ্যে রাজীব হায়দার ও জাফর মুন্সী হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা ও যথাযথ শাস্তি প্রদান, দেশের বাইরে অবস্থানরত যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কুটনৈতিক তৎপরতা এবং দেশে থাকা যুদ্ধাপরাধীরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা, জামায়াত-শিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, ফোকাস রেটিনা কোচিংসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দেশী-বিদেশী আয়ের উৎস খুঁজে বের করে তা’ নিষিদ্ধ করতে হবে, দেশের যে সমস্ত ভবন, সড়ক ও স্থাপনা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের নামে পরিচিত অবিলম্বে সেগুলোর নাম পরিবর্তন করে ঐতিহাসিক ও জাতীয় গৌরবময় বিষয়বস্তুর সাথে সঙ্গতি রেখে নতুন নামকরণ করা, যে সকল গণমাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য সমগ্র জাতির এই গণজাগরণকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হিসেবে অসত্য ভুল ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তার বিপক্ষে সরকারিভাবে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণসহ আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জ্ঞাপন করতে হবে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।