আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ল্যাপটপের যত্ন-আত্তি

© এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের। তাই লেখকের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোন প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে ব্যবহার না করার অনুরোধ রইল...

ল্যাপটপের জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে। আমাদের দেশেও এর ব্যবহার আগের যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ল্যাপটপের সার্র্ভিস এবং আয়ু অনেকাংশে নির্ভর করে আপনি ল্যাপটপের যত্ন করছেন কত-তার উপর। আপনার জন্য কিছু টিপস দিলাম, হয়তো আপনার কাজে আসতে পারে... ১।

ল্যাপটপের লিড প্রয়োজন ছাড়া বেশি খোলাখুলি করা উচিত না। খোলা এবং বন্ধ করার সময় আস্তে আস্তে যত্ন সহকারে খুলবেন। ২। কোনভাবেই যাতে ধুলিবালি না পড়ে। হালকা নরম কাপড় দিয়ে সবসময় পরিস্কার রাখা উচিত।

৩। ডিসপ্লেতে সাধারণত একটা আলগা প্লাস্টিক লাগানো থাকে। যদদিন পারেন ওই কাভারটা খুলবেন না। কাভারের উপরে ময়লা পড়লে তা হালকা ভাবে নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিবেন। মূল ডিসপ্লে তে যেন চাপ না লাগে।

কোন প্রকার কেমিক্যালস ব্যবহার না করাই ভাল। ৪। কি-বোর্ড পরিস্কার করার জন্য রংয়ের ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন কী-গার্ড ও। এতে কি-বোর্ড এ ধুলো-ময়লা পড়বেনা।

বাজারে খুঁজলেই কী-গার্ড পাবেন, দাম-১০০-২০০ টাকার মধ্যে। ৫। ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় কখনোই কি-বোর্ড এর উপর কলম, পেন-ড্রাইভ, মডেম, মাউচ বা অন্য কোন টুকিটাকি জিনিস রাখবেন না। কারণ একবার এসব রেখে ভুল করে ঢাকনা লাগিয়ে দিলেই ডিসপ্লে শেষ!!! ৬। ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় পানি, চা, কফির গ্লাস/মগ খুব সতর্ককতার সাথে ব্যবহার করবেন।

৭। ল্যাপটপ ব্যবহারের পর চেষ্টা করবেন সম্পূর্ণ ঠান্ডা হবার পর প্যাক আপ করতে বা ব্যাগে ভরতে। ৮। টাচ-প্যাড ব্যবহারের পাশাপাশি এক্সটারনাল/ইউএসবি মাউচ ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন। ৯।

ল্যাপটপের সিডি রম/অপটিক্যাল ড্রাইভ খুব সেনসিটিভ। যত কম সম্ভব ব্যবহার করা উচিত এবং কোনভাবেই নিম্নমানের, স্ক্র্যাচ পড়া, ময়লা সিডি ব্যবহার করা উচিত না। ১০। বাসায় ব্যবহারের সময় চেষ্টা করবেন একটি এক্সটারনাল কুলিংপ্যাড ব্যবহার করতে এবং কোনভাবেই বিছানায় এমনভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না যাতে কুলিং ফ্যানের বাতাস বের হতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। পর্যাপ্ত ভ্যান্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

১১। আপনার আদরের সোনামনির নিষ্পাপ হাত থেকে ল্যাপটপকে দূরে রাখুন। ১২। গেমস খেলার সময় উত্তেজনার চাপে যেন কি-বোর্ড এর বারোটা না বাজে সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজন হলে এক্সটারনাল কি-বোর্ড ব্যবহার করতে পারেন।

১৩। চেষ্টা করবেন ব্যাটারী ব্যক-আপে চালাতে। অর্থাৎ ফূল-চার্জড হবার পর ইলেক্ট্রিক প্লাগ খুলে রাখবেন। আবার যখন চার্জ ২০% এর নিচে নেমে আসবে তখন চার্জে দিন। মাসে অন্তত একবার ব্যাটারী ৫% এর নিচে নামিয়ে আনবেন।

এতে দীর্ঘদিন ব্যাটারী ভাল থাকবে। সারাক্ষণ চার্জে দিয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করা ব্যাটারীরর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ১৪। নেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই লাইসেন্সড এন্টি-ভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। তা সম্ভব না হলে আজে-বাজে এবং অপরিচিত ওয়েব-সাইটে প্রবেশ না করাই ভাল।

একটু সতর্ক থাকলে ফ্রী-ভার্সন এন্টি ভাইরাস দিয়েও ল্যাপটপকে ভাইরাসমুক্ত রাখা যায়। ১৫। পেন-ড্রাইভ বা যেকোন ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহারের পূর্বে স্ক্যান করে নিন। ১৬। চার্জ দেবার জন্য উন্নতমানের ক্যাবলযুক্ত থ্রি-প্রন (অবশ্যই গ্রাউন্ড কানেকশান সহ) সকেট ব্যবহার করুন, এতে বজ্রপাত বা অন্য কোন ইলেক্ট্রিক সার্জ থেকে ল্যাপটপ নিরাপদ থাকবে।

১৭। সর্বোপরি আপনার ল্যাপটপটি যে ব্র্যান্ডের, সবক্ষেত্রে চেষ্টা করতে ওই কোম্পানীর পরামর্শমত মত এক্সেসসরীজ ব্যবহার করতে। ১৮। কোন ত্রুটি দিলে অভিজ্ঞ টেকনিশয়ান বা এ বিষয়ে যে জানে তার পরামর্শ নিন। ১৯।

সব সময় আসল ডিলার, আমদানিকারকের কাছ থেকে ল্যাপটপ কিনুন। তৃতীয় কোন মাধ্যমের কাছ থেকে নয়। অবশ্যই বিশ্বস্ত মাধ্যম বা ব্যক্তি ছাড়া অপরিচিত কারো কাছ থেকে সেকেন্ড-হ্যান্ড নয়। ২০। সর্বশেষ, কখনো সার্ভিসে দিলে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং বিশেষ করে "গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত একান্ত মুহূর্তের ভিডিও বা ছবিগুলো" সরিয়ে ফেলুন।

কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিন্তু সাভিসিং এর জায়গা থেকেই এসব জিনিস ইন্টানেটে ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং অনাকাংখিতভাবে নায়ক হওয়া থেকে নিরাপদ থাকুন!!!! ল্যাপটপ কোন চাইনিজ মোবাইল না যে যেন-তেন কোম্পানী তৈরী করবে। একেকজনের চাহিদা, প্রয়োজন, বাজেট এবং পছন্দের ভিত্তিতে একেকজন একেক ব্র্যান্ডের ল্যপটপ ব্যবহার করে থাবেন। কিন্তু একটু যত্ন আর সতর্কতার সাথে ব্যবহার করলে আপনার এই মূল্যবান এবং প্রয়োজনীয় জিনিসটি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।