আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"সমকাম : দুটি বিকৃত মস্তিকের ঘৃণীত কর্ম " ও "নিন্দিত বা নন্দিত হুমায়ন আহমেদ"



হুমায়ন আহমেদ, বাংলা সাহিত্যের একজন নিন্দিত বা নন্দিত সাহিত্যিক। একজন মুসলমান (নামে, কারন যতদুর শোনা যায়, তিনি নিজেকে নাস্তিক ভাবতে পচ্ছন্দ করেন)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় এর রসায়নের প্রাক্তন শিক্ষক। শিক্ষকতার মহান পেশা ছেড়ে যোগ দিলেন সাহিত্য অঙ্গণে, সম্ভবত জাতি গড়ার মহান পেশা থেকে আপনার যশ-খ্যাতি তার কাছে প্রধান্য পেয়েছিলো। অত্যন্ত প্রতিভাময় এই হুমায়ন আহমেদ, কারন সাহিত্য অঙ্গণেও তিনি তার মেধার পরিচয় দিয়েছেন।

রচনা করেছেন বেশকিছু চমৎকার উপন্যাস, নাটক, চলচিত্র। কথিত আছে, খ্যাতিমানদের জীবনে নাকি নারী নিয়ে কিছু কুখ্যাতি থাকে। তার জন্যও বাতিক্রম হয়নি। বিয়ে করেছেন মেয়ের বান্ধবীকে, আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে যা দৃষ্টিকটু। তবে এটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।

এই হুমায়ন আহমেদ নতুন চলচিত্র নির্মাণ করছেন যার নাম "ঘেটুপুত্র কমলা"। নতুন কিছুনা....... মানে তার চলচিত্র নির্মাণ। নতুন যেটা, সেটা হল "ঘেটুপুত্র কমলা"। না, আমি ঘেটুপুত্র কমলার বলছি যেটা সেটা হল, ছবিটার থিম বা কাহিনী বা মেস্যজ যেটা আমাদের সমাজ পাবে। ছবিটার কাহিনী হল এই............. "প্রায় দেড়শ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন সঙ্গীত ধারা সৃষ্টি হয়েছিল।

মেয়ের পোশাক পরে কিছু রূপবান কিশোর নাচগান করত। এদের নামই ঘেটু। গান হতো প্রচলিত সুরে, কিন্তু সেখানে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। অতি জনপ্রিয় এই সঙ্গীতধারায় নারী বেশধারী কিশোরদের উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। বিত্তবানরা এইসব কিশোরকে যৌনসঙ্গী হিসেবে পাবার জন্যে লালায়িত হতে শুরু করেন।

একসময় সামাজিকভাবে বিষয়টা স্বীকৃতি পেয়ে যায়। হাওর অঞ্চলের শৌখিন মানুষ জলবন্দি সময়টায় কিছুদিনের জন্যে হলেও ঘেটুপুত্র নিজের কাছে রাখবেন এই বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে বিবেচিত হতে থাকে। শৌখিনদার মানুষের স্ত্রীরা ঘেটুপুত্রকে দেখতেন সতীন হিসেবে। " (ব্লগের এক লেখকের কাছ থেকে নেয়া) তাহলে আমরা কি দেখছি..., আমরা এই ছবি থেকে কি মেস্যজ পেলাম...., সমকামিতা মন্দ কিছুনা। বাঙালি জাতি চাইলেই এটা নিজের সংস্কৃতির অংশ করে নিতএ পারে তার হাজার বছরের ঐতিহ্য মুছেফেলে।

মুসলমান, হিন্দু সব ধর্মের লোক তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ বিসর্জন দিক.। লক্ষ্য করলাম , আমাদের সমাজের দুই শ্রেনীর লোক , যারা মস্তিকের বিকৃত যন্ত্রণায় কাতর আর যারা এসব নোংরামিকে অবলম্বন করে বেচে থাকে, তারা এই অদ্ভুত পাগলামিকে সমর্থন দিচ্ছে। তাদের খোড়া যুক্তি , এতে নাকি মানুষ সচেতন হবে, হাস্যকর যুক্তি , এতে দেশে আধুনিক হচ্ছে ........!!!!! হায়রে ভাই, মদ খেয়ে কি আর হার্টের চিকিৎসা হয়..? অনেকে আবার বলছেন , অনেক দেশ নাকি সমকামিতা ভুরিভুরি ছবি বানায়। তারা বানায় দেখে আমাদেরও বানাতে হবে কেমন কথা.? এক পাগলএ বিষ্ঠা খায়, তাই বলে আমাদেরও বিষ্ঠা গিলতে হবে..? হ্যা, গিলতে পারে, যারা ঔ পাগলের সাগরেদ, তারা পারে...। আর যারা সমকামিতাকে আধুনিক ফ্যাশন বলেন, তারা জেনে রাখুন হযরত লুত (আ) এর গোএ এরলোক সমকামিতার জন্যই ধংস হয়েছিল।

এ ধরনের থিম নিয়ে সিনেমা কখনো সমকামিতা দুর করতে পারে না....বরং সমকামিতার প্রচলন করবে। একটি শিশু যদি এই ছবি দেখে তখন সে তার মনে বিকার ঘটবে, সে তা অনুকরন করবে, কারন শিশুরা অনুকরন প্রিয়। সাধারন ভাবে দেখুন, যখন দেশে সুস্হ সিনেমা নির্মান হতো তখন দেশে এতো খুন ধর্ষণ হতো না....যতই দিন যেতে থাকল অসুস্হ ছবি নির্মান বাড়ল দেশে খুন ধর্ষণ বাড়তে থাকল... পশ্চিমারা এধরনের ছবি বানতেই পারে , কারন এটা তাদের কালচার। অবাধ যৌনাচার, লিভটুগেদার, হোমোসেকচুয়েলিটি এসব তাদের কাছে সকালের চা-নাস্তা। কিন্তূ আমাদের ধর্মবোধ, সমাজ , সংস্কৃতির উপর এটা একটা বিড়াট আঘাত।

ছবি নির্মান করার জন্য তো আরো থিম আছে.... যেসব দিয়ে ভালো ম্যসেজ দেয়া যায়। আমরা ইরানি ছবি গুলো লক্ষ্য করি....তারা কত সুন্দর করে ছবি বানায়..সেখানে নারীরাও সমানতালে অভিনয় করছে...তাদের ছবিতে একটা ম্যসেজ থাকে..। এসব ছবি আন্তর্জাতিক খ্যাতিও পায়.। জহির রায়হান, সত্যজিত রায়... এরা তো অনেক ভালো ছবি বানাতেন..। কই, ওনারা তো সমকামিতা নিয়ে ছবি বানাননি... নাকি নাস্তিক ভাইরা বলবেন যে তখন সমকামিতা ছিলনা..।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।