আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষাক্ত শকুনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে নিশ্বাস

ফেসবুক আইডি:নাই
কত বেশি নির্বাচিত আর কত রকমে নির্যাতিত—এমন দুই তুল্যদণ্ডের যোগফলে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চাইতে ওপরে আর কোনো সমসাময়িক রাজনীতিবিদ নেই। টানা আটাশ বছর ধরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকে তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সংসদীয় আসনে বিজয়, নিরাপস সংগ্রামে দুটি ফৌজি শাসনকে (’৮২-’৯০, ২০০৭-’০৮) বিদায় দেওয়ার অসামান্য কৃতিত্ব যে তাঁর, পাশাপাশি তাঁকে সইতে হয়েছে ও হচ্ছে অচিন্তনীয় অমানবিক নির্যাতন। সশস্ত্র হুমকিতেও দেশ ছেড়ে যাননি স্রেফ বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকার জন্যে। কী জবাব দেব আমরা জিয়া পরিবারের কাছে, স্বাধীনতার ঘোষক অমর দেশনায়ক শহীদ জিয়ার আত্মার কাছে? রাজনৈতিক জিঘাংসার শিকার হয়ে তারেক ও আরাফাত রহমান যে বাড়ি থেকে অপহৃত, নির্যাতিত ও দেশত্যাগে বাধ্য, তারা একদিন দেশে ফিরবেনই; অসুস্থ তারেক রহমান হয়তো লাঠিতে ভর করে, হয়তো আরাফাত রহমান হুইল চেয়ারে। কিন্তু কোথায় তাদের সেই স্মৃতিবিজড়িত স্বপ্নের বাড়ি? প্রবাসে তাদের প্রচণ্ড অন্তর্দহনে যোগ হলো আরেক বিয়োগ-ব্যথা।

নন্দিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রায় চার দশক ধরে যে বাড়িতে স্মৃতির মিনার গড়ে তুলেছেন, সূর্যকে আলো ছড়াতে দেখেছেন, বিকেলের সূর্যকে পাটের পথে দেখেছেন গাছগাছালির ফাঁকে—শহীদ মইনুল রোডের সেই ৬ নম্বর বাড়িটি আজ তাঁর থেকেও নেই। শুক্রবার থেকে সুবেহ সাদেকে সেই বাড়ি থেকে দেওয়া আজানে শহীদ মইনুল রোড আর জাগবে না। কয়েকদিন আগে তিনি বলছিলেন এই বাড়ি ঘিরে তাঁর স্মৃতির কথা, ‘এটি আমাদের মনে গাঁথা এক বাড়ি। আমাদের জীবনেরই অংশ। জিয়া সেনাপ্রধান হয়েছেন, রাষ্ট্রপতি হয়েছেন; আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি।

কত বড় ও বিলাসবহুল বাড়িতে থাকতে পারতাম, কিন্তু যাইনি। এই বাড়ি তো কোনো সাধারণ বাড়ি নয়। ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লবের তথা জিয়ার উত্থান এখান থেকেই। ’ আনমনেই কথাগুলো বলছিলেন বেগম জিয়া। ‘বললেন, কত গাছ লাগিয়েছি এখানে।

বিদেশ থেকে অনেক ধরনের ফুলের গাছ এনেছি। এখানে অযত্ন হবে বলে কিছু কিছু রাষ্ট্রীয় ভবনগুলোতে দিয়েছি। ’ সেদিন বেগম জিয়াকে ততটা উদ্বিগ্ন মনে হয়নি। বরঞ্চ দেশের সমস্যা ও মানুষের সঙ্কটই ছিল তার কাছে মুখ্য। কারণ বাড়িটি তাঁর—এই আত্মবিশ্বাস তাঁর প্রবল।

আর সরকার বাড়ি নিয়ে যে এত নোংরামিতে যাবে, তিনি হয়তো ভাবতে পারেননি। বেগম জিয়া তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দশবারের মতো গৃহবন্দি ছিলেন সেখানে। বর্তমান সরকারের আমলেও অনেকটা সে রকম ছিলেন। আত্মীয়-স্বজনও দেখা করতে পারতেন না। চিঠিপত্র যেত না।

তাও মেনে নিয়েছিলেন। গণতান্ত্রিক উদারতা দেখিয়ে নীল-নকশার নির্বাচনে জেতা মহাজোট সরকারকে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মূল থেকে বিদ্বেষ-বিরোধের ঝাঁঝ পুরোটাই উবিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বেগম জিয়া। কিন্তু শেখ হাসিনা ততটাই নিষ্ঠুর হয়েছেন, যতটা খালেদা জিয়া উদারতা দেখিয়েছেন। ১/১১-এর বর্বর সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের সময় অশালীন আপত্তিকর আচরণ করেছিল।

বেগম খালেদা জিয়া তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন তার। নিয়তির পরিহাস—শেখ হাসিনা নিজেই অবতীর্ণ হলেন সেই স্বৈরাচারী ভূমিকায়। বেশি ভোট আর বেশি চোটের জীবনানুভবে তৈরি অসামান্য এই নেত্রীর মধ্যে আজ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অপমান আর স্মৃতির প্রচণ্ড মন্থন প্রবল। রবীন্দ্রনাথ তিন জন্মভূমির কথা বলেছিলেন—পৃথিবী, স্মৃতিলোক ও জন্মস্থান। অতীতের কাহিনী নিয়ে মানুষ কালের নীড় তৈরি করেছে।

এই স্মৃতিলোকেই বিশ্বমানবের অবস্থান। আত্মভূমি এবং বস্তুভূমি এইভাবে দুই প্রান্তে টান করে ধরে, তার মধ্যবর্তী যোগের পথ তৈরি রাখে লোকস্মৃতি। মইনুল রোডের এই বাড়ি, শহীদ জিয়া, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘিরে গল্পময়, জীবনময় উপাখ্যান, গণতন্ত্রের প্রতি দৃপ্ত অঙ্গীকার, বাংলাদেশকে আপন শক্তিতে দাঁড় করানোর উজ্জ্বল কাহিনী, খালকাটা, ফসলে ফসলে ভরিয়ে দেওয়া, শিক্ষা বিস্তার, তৃণমূলের মানুষদের জাগানোর কাজ—কী স্মৃতিলোকই না নির্মাণ করেছে। সব কি মুছে যাবে? নাহ! বেগম জিয়ার মতো একজন একা-মানুষের বেঁচে থাকার আনন্দ-দুঃখকে সমষ্টির অন্তর্গত করে নিয়ে আসল মানুষটাকে বাতিল করে দেয়ার প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি যে জনগণ মানে না, শনিবার বিকেল থেকে ফাঁকা রাস্তা ও রোববারের ঈদপূর্ব হরতাল সে সাক্ষ্যই দেয়। বেগম জিয়ার কষ্টকে আজ জনগণ ভাগাভাগি করে নিতে উন্মুখ।

ইংরেজিতে একটা কথা আছে : 'One man plus truth makes a majority.' ওই বাড়ি শহীদ জিয়ার—বেগম জিয়া তা প্রমাণ করেছেন এবং তারেক রহমান তা পূর্ণ প্রমাণের অপেক্ষায়। অথচ শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি কখনও উত্সারিত হয়নি; হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রাজনীতি। স্বাধীনতার ঘোষণা, যুদ্ধ এবং সাত নভেম্বরের চেতনার ব্লাস্ট ফার্নেসে জন্ম নেওয়া শহীদ জিয়ার ইতিবাচক রাজনীতির ধারা বেগম জিয়া বয়ে চলেছেন। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত শহীদ জিয়া এখান থেকেই নিয়েছেন। সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তন ও কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা চালুর দাবি বেগম জিয়া পূরণ করেছেন তার গণতান্ত্রিক ঔদার্য বলে।

আজকের প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালে গণভবন ছেড়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকারের সিদ্ধান্তে। বেগম জিয়া তাকে বহিষ্কার করেননি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা এই বাড়ি ছাড়ার জন্য বেগম জিয়াকে নোটিশ দিয়েছিলেন। ‘আমি তো পারতাম সেনানিবাসে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের নামে তৈরি জাদুঘর ভেঙে ফেলতে। আমি তো করিনি’—কথোপকথনের ফাঁকে ফাঁকে বেগম জিয়া বলছিলেন আমাকে।

আসলে হিংসাত্মক ও ভুল-বোঝানো রাজনীতির বিস্তার দিয়ে শেখ হাসিনা যে বেগম জিয়াকে ক্রমাগত অসহায়ত্বে ঠেলে দিতে চাইছেন বা রাজনীতি থেকে বাতিল করতে চাইছেন, শত আদালত ঘুরিয়ে তা আইনসিদ্ধ করলেও জনগণ তা মেনে নেবে না। খালেদা জিয়ার পক্ষে আজ আইন আছে কিনা—সে প্রশ্নের চাইতেও বড় সত্য হচ্ছে শেখ হাসিনার ঝুলিতে প্রচুর গণধিক্কার জমেছে। ঈদের আগে কেন হরতাল, এ প্রশ্নের চাইতে বড় আলোচ্য হচ্ছে—ঈদের আগে সরকারের এই অসভ্যতা কেন? ঈদের আগে বেগম জিয়াকে বর্বরভাবে বাস্তুচ্যুত করায় জাতির বিরক্তি ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া বিদেশি এক সরকারপ্রধানের সফরের প্রাক্কালে বিরোধী নেত্রীকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের অমানবিক পথ মানুষকে অবাক করেছে। অন্যদিকে একশ্রেণীর তাঁবেদার, গোয়েন্দা-পছন্দ সাংবাদিকদের দিয়ে ‘খালেদা জিয়া আজ বাড়ি ছাড়বেন’—এ ধরনের আষাঢ়ে গল্প ছড়িয়ে আড়ালে বেগম জিয়াকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার কৌশল নািসবাদকেও হার মানায়।

শনিবার মানুষের জিজ্ঞাস্য ছিল যিনি বাড়ি ছাড়বেন বলে বলা হচ্ছে, তার বক্তব্য কোথায়? তিনি কি বলেছেন তিনি বাড়ি ছাড়বেন? আর তিনি যদি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছাড়েন, তবে পুলিশ কেন সেখানে গেল? সাংবাদিকদের কাজে এ আত্মজিজ্ঞাসা জরুরি ছিল। আইএসপিআরের শয্যাসঙ্গী (এমবেডেড) সাংবাদিকদের একদিন হয়তো এসবের জবাব দিতে হতে পারে। মানবাধিকার : আজ সভ্যতা থমকে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে। ব্যক্তি-অধিকার আজ হিংস্র সরকারের রোষানলে। ন্যাচারাল রাইটের ভিত্তিতে ন্যাচারাল ল—এটাই হচ্ছে মানবাধিকারের অন্তর-কথা।

দার্শনিক জনলক এবং জ্যঁ জ্যাক রুশো মানুষের যে তিনটি অধিকারকে সর্বজনীন বলেছিলেন তা হচ্ছে, আত্মরক্ষার অধিকার, ২. সম্পত্তি রক্ষার অধিকার, ৩. স্বাধীনতা (লিবার্টি) রক্ষার অধিকার। অধিকারসংক্রান্ত চিন্তার বিবর্তনে ফরাসি বিপ্লবের পাশাপাশি আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধও এক জরুরি পর্ব। ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম রাষ্ট্র-পিতা টমাস জেফারসনের ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘এই সত্য স্বতঃপ্রকাশ বলে আমরা গ্রহণ করি : সব মানুষই সৃষ্টিলগ্নে সমান এবং সৃষ্টিকর্তার হাত থেকেই তারা অপরিত্যাজ্য অধিকার অর্জন করেছে; এইসব অধিকারের মধ্যে আছে জীবন, স্বাধীনতা ও সুখের সন্ধানের অধিকার। ’ সুখের সন্ধান শব্দটি এসেছে সম্পত্তি রক্ষার অধিকারকে বিস্তৃত করে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ ও ৪২ অনুচ্ছেদে যে এর প্রতিফলন ঘটেনি তা নয়।

৩১ ও ৪২ বলছে, এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে। প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর ও বিলি-ব্যবস্থা করবার অধিকার থাকবে এবং আইনের কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো সম্পত্তি বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত ও দখল করা যাবে না। অথচ বেগম জিয়াকে দেওয়া সংসদ ও সরকারের সিদ্ধান্তের বাড়ি, যা তিনি ভোগদখলে আছেন খাজনা দিয়ে, তাকে বলপূর্বক দখল করা হলো। আর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে এখনও মামলাটির নিষ্পত্তি ঘটেনি। শনিবারের এই ন্যক্কারজনক ঘটনা সম্পর্কে বাংলাদেশস্থ মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতি দিয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির ঝোঁক বুঝতে আমেরিকানরা অক্ষম নয়, এ বিবৃতি তারই প্রমাণ। বর্তমান বাংলাদেশে মানবাধিকারের বিপর্যয় সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চুপ থাকতে পারে না, যদিও মানবাধিকারকে তারা আপন স্বার্থের আয়নায় বিবেচনা করে বলে অভিযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সাবেক প্রার্থী জন ম্যাককেইন কিছুদিন আগে বলেছেন : 'For tyranny's victims, even the smallest gestures from outside the world sustain their strength to endure...The United States should engage with any government if it serves our interests to do so but we should not pay for that pleasure by muzzling our criticisms of their abusive behavior, or silencing our support for the just aspirations of their people. Repressive regimes will ask us to make that choice, but it is a false choice, and ultimately unnecessary. There is nothing wrong with engaging oppressive regimes to further our interests, but the United States should use this engagement to further all of our interests–not just our security or economic interests, but our moral interests, our interest in human rights.' (The Brown Journal of World Affairs, Issue-2, 2010) অর্থাত্, স্বৈরতন্ত্রের শিকার যারা তারা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন অত্যাচার-অবিচার সহ্য করার ক্ষমতা তাদের থাকে...। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করে এমন সব দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের খেয়াল দেয়া উচিত। তবে অন্যায়-অবিচার করে এমন কোনো দেশের সমালোচনা উপেক্ষা করে তাদের কাজে সায় দেয়া বা সেদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা উচিত নয়।

অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী আমাদেরকে তাদের কাজকে সমর্থন দেয়ার জন্য বলবে, কিন্তু এই ধরনের কাজকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে ভুল এবং অপ্রয়োজনীয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার জন্য অত্যাচারী শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করা অন্যায় নয়। তবে সেটা হওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে। শুধু আমাদের নিরাপত্তা অথবা অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্যই নয়, আমাদের নৈতিক স্বার্থ, আমাদের মানবাধিকারসংক্রান্ত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদিসহ যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কাজ করা যেতে পারে। বেগম খালেদা জিয়ার ওপর যে আঘাত করা হয়েছে, তা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বেরই ওপর আঘাত।

তাঁর অশ্রুফোঁটা দেশপ্রেমিক জনগণকে সাহসী, প্রত্যয়ী করে তুলবে—লাখো শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের মাটি কখনোই স্বৈরশাসন ও তাঁবেদারি মেনে নেবে না।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.