আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়েছে- খালেদা

ভারতের দালাল আর পাকি রাজাকার দুইটারেই ঘৃনা........

খালেদা জিয়া বলেছেন, তাকে এক কাপড়ে জোর করে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজের গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, "আমাকে অপমান করা হয়েছে। যেভাবে বের করা হয়েছে, তাতে আমি লজ্জিত। " খালেদার আগে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনও অভিযোগ করেন, ঢাকা সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয়। যদিও সামরিক বাহিনী বলেছে, খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন।

বিকাল ৩টার সময় বিরোধীদলীয় নেতা সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার পর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর পরিচালক শাহীনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "হাইকোর্টের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছেন। এজন্য ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডও তাকে সম্মান জানিয়েছে। " খালেদা জিয়াকে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল সড়কের বাড়ি থেকে 'উৎখাতের' প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে হরতাল ডেকেছে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে দলীয় চেয়ারপার্সনের নয় মিনিট স্থায়ী বক্তব্যের সময় দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও কাঁদতে দেখা গেছে। খালেদা অভিযোগ করেন, তার বেড রুমের দরজা ভেঙে টেনে-হিঁচড়ে তার কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের ভাষ্য মিথ্যা, বানোয়াট ও অসত্য দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, "স্বেচ্ছায় নয়, আমাকে জোর করে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ওরা মিথ্যা কথা বলেছে যে, আমি নাকি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। এটা মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য। " সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তির আগেই তাকে 'জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে' উচ্চ আদালতের সম্মানকে সরকার পদদলিত করছে বলেও মন্তব্য করেন বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "আমাকে আজ সারাদিন যে অবস্থায় রাখা হয়েছে তা বলতে পারছি না।

সারাটা দিন আমি কিছু খেতে পারিনি। " এরপর আবারো খালেদা জিয়া রুমালে চোখ বুজে কাঁদতে থাকেন। তিনি বলেন, "তারা আমার বাড়ির গেইটের গ্রিল কেটে তালা ভেঙে প্রবেশ করে। বেডরুমের দরজা ভেঙে লাঠিসোটা নিয়ে কক্ষে ঢুকেছে। "তারা বলছে, উনি যদি না আসতে চায়- কোলে করে তুলে নিয়ে আসো।

" বাড়ির লোকজনের গায়েও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা হাত তুলেছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা। ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কে ৬ নং বাড়িটির সঙ্গে তার স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিময় সর্ম্পকের কথা স্মরণ করে খালেদা জিয়া বলেন, "৪০ বছরের বাড়ি থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমার মালামালও তালিকা করা হয়নি। "এই বাড়ির সঙ্গে আমার অনেক দুঃখ-বেদনা স্মৃতি রয়ে গেছে। আজ আমাকে বের করে দিয়ে সেই সর্ম্পককে ছিন্ন করে দেওয়া হলো।

" "মইনুল সড়কের বাড়িটি নিয়ে সরকার অহেতুক বির্তক সৃষ্টি করেছে," জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, "সরকারের বাড়ির ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্তটি বেআইনি ছিলো। এজন্যই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছিলাম। "কিন্তু সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে আমাকে বলপূর্বক অপমানজনকভাবে উচ্ছেদ করা হলো। কার কাছে আমি এই নির্যাতনের বিচার চাইব। এই বিচারের ভার আমি আল্লাহর কাছে জানাচ্ছি।

" এর আগে বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে তার নিজের নিশান পেট্রোল গাড়িতে করে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে গুলশানের কার্যালয়ে পৌঁছে দেয় পুলিশ-র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তার সঙ্গে দেখা করেন। খালেদা জিয়া বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হিসেবে অভিহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ,এম শামসুল ইসলাম, সারোয়ারি রহমান, আসম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিডিনিউজ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.