আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুড়া বয়সে ভীমরতি ও হুমায়ুন আহমেদের পরিনতি



অর্থ কষ্টে হুমায়ূন আহমেদ নিজের একক বই মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, আপনারা বেশি বেশি করে আমার বই কিনবেন। আমি টাকার অভাবে আছি। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের দুদিন আগে থেকেই বইমেলার মাধ্যমে শুরু হয়েছে এ উৎসব। ১৩ নভেম্বর বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় এই লেখকের জন্মদিন। এ উপলক্ষে আজ জাতীয় গণগ্রন্থাগারের উন্মুক্ত চত্বরে ১৫টি প্রকাশনা সংস্থার পক্ষ থেকে শুধুমাত্র এই লেখকের বইয়ের সম্ভার নিয়ে আয়োজন করা হয় হুমায়ূন আহমেদের একক বইমেলা।

এই মেলায় লেখকের তিনটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি লেখকের সাড়ে তিন বছরের ছেলে নিষাদ। বই তিনটি হচ্ছে ম্যাজিক মুনশি, সংকলনগ্রন্থ সেরা হুমায়ূন ও হুমায়ূন রচনাবলী-৪। অনুষ্ঠানের সবচেয়ে মজার বিষয় ছিলো বাবা হুমায়ূন আহমেদ ও মা মেহের আফরোজ শাওনের কোলে চড়ে নিষাদের বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের চিত্রটি। নন্দিত নরকের মধ্যদিয়ে তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হুমায়ূন সাহিত্যের জগতে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন সেই ৭০ দশকে।

সে বইটি দিয়েই জিতেছিলেন লেখক শিবির পুরস্কার। সে সময়ই তার ভেতর সম্ভাবনার আলো দেখেছিলেন দেশের দিকপাল কবি শামসুর রাহমান। বলেছিলেন, হুমায়ূন দেশের একজন বড় লেখক হবেন। হয়েছেনও তাই। ধানমণ্ডির দখিন হাওয়ায় ১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদকে ঘিরে বসবে জন্মদিনের আনন্দ সম্মিলন।

তার আগেই আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ৬২তম জন্মদিনের প্রাক্কালে পাঠকের দোয়া চেয়ে হমায়ূন আহমেদ বলেন, লেখাটাই আমার জীবনের বিশ্রাম। লেখালেখি ছাড়া একটি মুহূর্তও চিন্তা করতে চাই না। আমি যতদিন ক্রিজে (বেঁচে) আছি, ততদিন রান করে (লেখালেখি) যেতে চাই। আমি বড় হয়ে লেখক হবো এটা তখন ভাবেনি।

তবে পড়াশোনা করতাম প্রচুর। তখন পাঠ্যবই ছাড়া অন্য বইপড়া (আউটবই) ছিল ভীষণ অপরাধ। আমি খাটের নিচে গিয়ে মোটা মোটা বই পড়তাম। তিনি আরো বলেন আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি। মাঝে মধ্যে ম্যাজিক দেখাতেও পছন্দ করি এবং ভ্রমণ করতে ভালবাসি।

দেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমি ভ্রমণ করি নাই। ইদানীং বেশি মানুষ দেখলেই অস্বস্তি লাগে আর কম লোক থাকলে হাস্যরস করি। আমি এখন গর্তজীবী হয়ে পড়েছি। গর্তে বাস করতে পছন্দ করি। আমার ঘরটাই এখন গর্ত।

সেখানেই থাকি। জনপ্রিয় কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদকে শতায়ু কামনা করে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী, কবি হাসান হাফিজ, রেজানুর রহমান, এমএ করিম, আহমেদ মাহফুজুল্লাহ, মাসুম রহমান ও হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। পরে তিনি একগুচ্ছ বর্ণিল বেলুন আকাশে উড়িয়ে পরিবারসহ নিজের বইয়ের মেলার উদ্বোধন করেন নিজেই। এখানেও তিনি রসিকতা করে বলেন, আমি লেখক হুমায়ূন হয়ে মেলা উদ্বোধন করতে অস্বস্তি বোধ করছি। তাই লেখক হিসেবে নয়, একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হয়ে মেলা উদ্বোধন করছি।

View this link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.