আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাগুরার শালিখায় বৃক্ষ হত্যাকারীসহ দেশের সকল বৃক্ষ হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি


বৃক্ষহত্যা একটি সামাজিক ব্যাধি হিসেবে রূপ নিয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থে ছাড়াও অন্যান্য নানা কারণে নির্বিচারে বৃক্ষ হত্যা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সারাবিশ্বে জলবাযু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্নতা বাড়ছে এবং এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে বিপুল কার্বন নির্গমণ এবং তা শোষণের প্রধান মাধ্যম বৃক্ষ নিধনকে দায়ী করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ রা এবং বেঁচে থাকার তাগিদে তাই বৃরোপনকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও বৃরোপনে উৎসাহিত করার সাথে সাথে নানা ভাবে এর প্রচারিভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

ঠিক এমনি সময়ে সম্প্রতি মাগুরা জেলার, শালিখা থানার, কুয়াতপুর গ্রামের ৪০০ শত গাছ রাতের আধারে কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও কুমিল্লার রাস্তার দু’পাশের হাজার হাজার বৃক্ষ হত্যা করা হয়েছে। বৃক্ষের মতো নিরপেক্ষ হিতকারীর ধ্বংশ যারা করে তারা গোটা মানবজাতির শক্র। এদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। যাতে আর কেউ এমন ধৃষ্টতা দেখাতে না পারে।

আজ ০৯ নভেম্বর ২০১০ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের সামনের আমতলায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে “মাগুরার শালিখায় বৃক্ষ হত্যা-সকল বৃ হত্যাকারীদের শাস্তি চাই” দাবীতে মানববন্ধনে বক্তাগণ এ কথা বলেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, পবার সহ-সম্পাদক তৌফিকুর রহমান সেন্টু গাজী লুৎফুল কবির সুমন, নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি হাজী আনসার আলী, সাংবাদিক স্বপন ভূইয়া। মাগুরা থেকে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মী পলাশ ঘোষ, সুকুমার দাস কাজল, এনামূল কবির, শিল্পী খোকন, ব্যবসায়ী সিজু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পবা’র প্রোগ্রাম অফিসার আতিক মোর্শেদ। বাংলাদেশের নানা প্রান্তের পাহাড়, সমতলভূমিসহ বনাঞ্চললের বৃও রা পাচ্ছেনা বৃ হত্যাকারীদের ভয়াল/হিংস্র থাবা থেকে।

পরিবেশ বিধবংশী এ কার্যক্রমে যারা জড়িত তাদের বিরোদ্ধে এখনি সরকারের কঠোর পদপে নেওয়া উচিত। অবিলম্বে মাগুড়ার বৃক্ষ হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। সেই সাথে যে সকল গোষ্ঠী, ব্যক্তি বৃক্ষ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিহত করার জন্য স্থানীয় সরকার পদ্ধতিতে একটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।