আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাভারে ১০ লাখ টাকার লোভে ভাগ্নেকে অপহরণ করে মামা ও মামী

স্ববিরোধিতা আমার পছন্দ নয়। সর্বদা স্রোতর পক্ষে চলা আমার স্বভাব নয়। সব পুরাতন বাতিল নয়। চলার পথে সহযাত্র্রীরা সম্পদ। পরামর্শের মত সাহায্য নেই।

সব চাইতে অসহায় সেই ব্যক্তি যার কোন ভ্রাতৃ-প্রতিম বন্ধু নেই। কিন্তু আরো অসহায় সেই ব্যক্তি যে এহেন বন্ধু পেয়ে হারায়

দৈনিক যুগান্তর ৬/১১/২০১০ থেকে পোস্ট সাভার প্রতিনিধি অবশেষে ৫১ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস উৎকণ্ঠার পর শিশুপুত্র ফয়সালকে বুকে ফিরে পেলেন মা কুলসুম আখতার। সব পাওয়ার আনন্দে ছল ছল করছিল তার চোখ। ৩য় শ্রেণীর ছাত্র ফয়সালকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে তারই মামা ও মামী। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।

কিন্তু র‌্যাবের অসাধারণ কর্মতৎপরতায় বেঁচে যায় শিশু ফয়সাল। মেজর শেখ তারেক আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে শিশু ফয়সালকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪ এর সদস্যরা। শুক্রবার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে শিশুকে তার মায়ের কোলে তুলে দেন এই র‌্যাব কমান্ডার। অপহরণ হওয়ার পর পুলিশ ও র‌্যাব এই শিশুটিকে উদ্ধারে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সাভার সেনানিবাসের ডিজিএফআই ইউনিট।

মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রাজধানীর বংশাল এলাকার একটি বাড়ি থেকে অপহূত শিশুটিকে উদ্ধার করে র‌্যাব। গ্রেফতার করা হয় অপহূত ফয়সালের মা কুলসুম আখতারের ফুফাতো ভাই সোহেল ও তার স্ত্রীকে। বুধবার সকাল ৭টার দিকে সাভার মর্নিং গে ারী স্কুলে যাওয়ার সময় সাভার সেনানিবাসসংলগ্ন ডেণ্ডাবর এলাকা থেকে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আবদুল াহ ফয়সালকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থান থেকে তার মা কুলসুম আখতারকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। কুলসুম প্রথমে আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দেন।

পরে র‌্যাব অফিসে যোগাযোগ করা হলে র‌্যাব কমান্ডার মেজর তারেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বেরিয়ে পড়েন অভিযানে। মেজর তারেক যুগান্তরকে জানান, একপর্যায়ে অপহরণকারী সোহেলের ভাই ইলিয়াসকে র‌্যাব আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতো বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় র‌্যাব ও ডিজিএফএফআই যৌথভাবে রাজধানীয় বংশালে অভিযান চালায়। ভোররাতে বংশালের নবাবপুর এলাকার কাজী আবদুল াহ লেনে মোঃ আশরাফউদ্দিনের ৮০/৩নং বাড়ির একটি কক্ষ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী সোহেল ও তার স্ত্রী ওই ঘরেই অবস্থান করছিল।

শিশু ফয়সালের মা কুলসুম আখতার বলেন, ছেলে অপহরণের খবর তিনি তার প্রবাসী স্বামীকে দিতে পারেননি। তার ভয় ছিল, এ খবর পেয়ে তার অসুস্থ স্বামী সৌদি আরবেই মারা যাবেন। তবে আনন্দের খবরটি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছে দেন স্বামীর কাছে। র‌্যাব কমান্ডার মেজর তারেক যুগান্তরকে বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে তুলে দিতে পেরে আনন্দবোধ করছি। এদিকে অপহরণকারী সোহেল জানায়, সে নিছক দুষ্টুমি করে ভাগ্নেকে অপহরণ করেছিল।

১০ লাখ টাকা কেন চাওয়া হল- এ প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, দুষ্টুমি করেই টাকা চেয়েছিলাম। র‌্যাব জানায়, অপহরণকারী সোহেল একটি অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত। সময় গড়ালে তাকে হত্যা করে ফেলা হতো। তাদের দলের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় র‌্যাব। 72228_1.jpg]


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।