। ।
প্রথমে ,এই ফটোটা ভালভাবে দেখুন। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের পর পর পল্টন ময়দানে প্রকাশ্যে হাজার হাজার মানুষ ও দেশি বিদেশি সাংবাদিকদের সামনে রাজাকারদের বেয়নেট চার্জ করে নিজ হাতে হত্যা করছেন কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।
রাজাকারদের প্রতি কি রকম প্রচণ্ড আক্রোশ থাকলে এভাবে নিজ হাতে শাস্তি দেয়া যায়?
অথচ শাহবাগের জটলা থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এই বীর সেনানীকে 'নব্য রাজাকার' আখ্যা দেয়া হয়েছে!
অন্য সাইড থেকে তোলা ১৯৭১
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে 'কাদেরিয়া বাহিনী'
নামে সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গঠন করেন কাদের সিদ্দিকী।
যুদ্ধকালে এই ক্ষুদ্র অথচ লড়াকু বাহিনীটি সাহসিকতার জন্য
স্বাধীনতাকামী জনসাধারণের কাছে সুপরিচিতি লাভ
করে এবং নেতার
নামানুসারে কাদেরিয়া বাহিনী নামে খ্যাতি লাভ করে।
সে সময় কাদের সিদ্দিকী "বঙ্গবীর" এবং "বাঘা সিদ্দিকী"
নামে পরিচিত হন।
কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বর্তমান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে ৫০,০০০ বেসামরিক
ব্যক্তি নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করেন। এই
বাহিনীটি টাঙ্গাইল অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর
বিরুদ্ধে বহু গেরিলা যুদ্ধে জয় লাভ করে।
কাদের
সিদ্দিকী বাল্লা গ্রামের কাছে মাকরার যুদ্ধে আহত হন।
কাদেরিয়া বাহিনী ভুয়াপুরে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও
গোলাবারুদসহ একটি পাকিস্তানি জাহাজ নিজেদের
অধিকারে নিতে সক্ষম হয়। বাহিনীটি বেশ কিছু সাঁজোয়া ও
বুলেটপ্রতিরোধী যুদ্ধযানও আটক করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে কাদেরিয়া বাহিনী ভারতীয়
মিত্র বাহিনীর সাথে ঢাকায় প্রবেশ করে।
কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদান
সারেন্ডারের দিন নিয়াজিকে বাম হাতে একটা থাপ্পর দিসিলেন, 'বঙ্গবীর' এটা আমরা অনেকে জানিনা ,
অতপর
কাদের সিদ্দিকী রাজাকার’। তার 'বঙ্গবীর' উপাধি ফিরিয়ে নেওয়া হোক।
হাইরে বাংলাদেশ ,তোমার ইতিহাসের টিচারটা কে ,
তোমার ইতিহাস কারা লেখে ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।