http://www.facebook.com/ruman125
আজকে প্রথম আলোর একটি রির্পোট ছিলো: সকালে কান্না দুপুরে হাসি অতঃপর বিয়ে।
রির্পোট থেকে জানা যায় বখাটেদের উৎপাতে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাভার ব্যাংক কলোনির বাসিন্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রশীদ। কিন্তু বিয়ের এক দিন আগে গত বৃহস্পতিবার অন্তত ৩০ জন সন্ত্রাসী ওই বাসায় হানা দিয়ে আবদুর রশীদের মেয়ে সাহিরা শাওলিন শৈলীকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ আসায় রক্ষা পান তিনি। রাতে বরপক্ষের লোকজন এসে কনের গায়ে হলুদেও অংশ নেয়।
কথা ছিল শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হবে।
উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকেই বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কনের বাড়িতে আসতে থাকে আত্মীয়স্বজন। বিয়ের আসর সাজিয়ে রান্নাবান্নার আয়োজন করা হয়। কিন্তু দুপুর ১২টায় বরের পরিবার থেকে বিয়েতে অপারগতা প্রকাশ করায় সব বন্ধ হয়ে যায়।
বিয়েবাড়িতে শুরু হয় কান্নার রোল।
খবর পেয়ে বেলা দুইটায় কনের বাড়িতে উপস্থিত হন প্রথম আলো প্রতিবেদক। তখনো কান্না থামেনি। ভয়ে কনের বাড়ির পক্ষ থেকে ঘটনার বর্ণনা দিতেও রাজি হচ্ছিলেন না কেউ। পরে এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে সব জেনে এ প্রতিবেদক বিষয়টি জানান সাভারের সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদকে।
সঙ্গে সঙ্গে সাড়া পাওয়া যায় তাঁর কাছ থেকে। সাংসদের নির্দেশে একে একে কনের বাসায় উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সাভার থানার একাধিক কর্মকর্তা। গ্রেপ্তার করা হয় বখাটে যুবক সোহাগের বাবা মজিবর রহমানকে।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার সব ঘটনা শুনে কথা বলেন বর শফিকুল ইসলামের ভগ্নিপতি মনির হোসেনের সঙ্গে। এ সময় সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
তাঁদের কাছ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বিয়েতে রাজি হন মনির হোসেন। বিয়েতে কনের উকিল বাবা হন আওয়ামী লীগের নেতা আলী হায়দার।
শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় জার্মানি যাওয়ার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ছয়টায় কনের বাসায় উপস্থিত হন সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদ। এর পরপরই উপস্থিত হন বর শফিকুল ইসলামসহ বরের আত্মীয়স্বজন। ডেকে আনা হয় কাজী ইসরাফিল হোসেনকে।
এরপর আনন্দঘন পরিবেশে শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তিন লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করে কাজি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। বিয়ের পর বরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে দেন সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদ।
অনুষ্ঠান শেষে সাংসদ বলেন, ‘প্রথম আলোর প্রতিবেদকের ফোন পেয়েই আমি যেকোনো মূল্যে এ বিয়ে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিই। সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করে বিয়ে ভেঙে যাবে, আমি বেঁচে থাকতে তা হতে পারে না।
সাভারে সন্ত্রাসী ও ইভ টিজারদের কোনো স্থান নেই। ’
কাজটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
কিন্তু প্রশ্ন হল:
স্কুল ছাত্রী বয়স কি ১৮ হয়েছিলো?
বখাটেদের উৎপাতে নারী শিক্ষা কি এভাবে ব্যহত হবে?
নাবালক মেয়েদের বিয়েই কি বখাটেদের উৎপাত থেকে বাচার একমাত্র উপায়?
বখাটেদের উৎপাত রোধে কি কোন আইন হবে না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।