আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেশমার ফেরার অপেক্ষায় গ্রামবাসীর

শুক্রবার বিকাল থেকেই শত শত গ্রামবাসী-স্বজন-সরকারি কর্মকর্তা-স্থানীয় জনপ্রতিনিধি-রাজনৈতিক কর্মী-গণমাধ্যমকর্মী ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের কশিগাড়ী গ্রামে তাদের বাড়ি এসে রেশমার খোঁজ নিচ্ছেন।
রেশমা কেমন আছেন, কবে বাড়ি ফিরবেন জানতে চাচ্ছেন আবেগাপ্লুত মানুষেরা।
দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রেশমা। তাদের বাবা নেই। সবার বড় বোন আসমাও চার বছর ধরে ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করছেন।


রেশামর দুই ভাই কাজের কারণে বাড়ির বাইরে থাকেন। গ্রামের একচালা বাড়িতে থাকেন রেশমার মা জোবেদা খাতুন ও স্বামীসহ মেজো বোন ফাতেমা খাতুন।
গত ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রেশমা। স্মরণকালের ভয়াবহতম এ ভবন ধসের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ১১শ’ ছাড়িয়েছে।
ঘটনার দুদিন পরেই রেশমার মা জোবেদা খাতুন মেয়ের খোঁজে সাভার চলে যান।

ঘটনার পর থেকেই বাড়িতে যেন নিস্তব্ধতা ভর করেছিল। আশপাশের প্রতিবেশীরা ছাড়া কেউ তেমন কোন খোঁজও নেয়নি।
কিন্তু ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমার বেরিয়ে আসার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর পরই শত শত নারী-পুরুষ রেশমার বাড়িতে ছুটে আসতে থাকে বলে জানান বোন ফাতেমা খাতুন।
শনিবার গ্রামে রেশমার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য (দিনাজপুর-৬) আজিজুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাকসুদা বেগম সিদ্দিকা, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শুভ রহমান চৌধুরীসহ রেশমার বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।


আগেবাপ্লুত ফাতেমা বলেন, “রেশমাকে জীবিত ফিরে পাবার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। বোনের লাশ পাবার আশায় প্রতিদিনই টেলিভিশনে উদ্ধার কাজ দেখতাম। ”
রেশমার জীবিত উদ্ধারের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা ও উদ্ধারকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান ফাতেমা।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.