আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রায় পার্বত্য জেলাসহ সর্বত্র তামাক চাষ নিষিদ্ধ করুন খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট



খাদ্যের জমি ধ্বংস ও তিকর খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ করায় জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, জীববৈচিত্র মারাত্মকভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া তামাক চাষ খাদ্য সংকটকে বাড়িয়ে তুলছে। তামাক চাষ কৃষি জমিকে ক্রমশ ধবংশ করছে। জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এ কারণে তামাক কোম্পানিগুলো নতুন নতুন এলাকায় উর্বর খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ করানোর জন্য নানারকম প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দরিদ্র ও নিরর কৃষকদের তামাক চাষে ধাবিত করছে।

তাই অবিলম্বে খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং দরিদ্র ও নিরর কৃষকদের তামাক চাষে ধাবিত করার জন্য তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট কর্তৃক আয়োজিত আজ ২৩ অক্টোবর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসকাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তারা উপরোক্ত দাবি জানান। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন উবিনীগ এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, সিটিজেন রাইটস মুভমেন্ট এর মহাসচিব তুষার রেহমান, জাতীয় যা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম খলিল উল্ল্যাহ, মানবিক এর অর্থ সম্পাদক আফরোজা খানম, একলাবের কর্মকর্তা এমদাদুল হক প্রমুখ। কর্মসূচী পরিচালনা করেন নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইবনুল সাইদ রানা।

ফরিদা আখতার বলেন, তামাক চাষের জন্য জমি তৈরি, চারা রোপন, পাতা তোলা ও তামাক গাছ উৎপাদন ইত্যাদির জন্য আগষ্ট থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৮ মাস সময় লাগে। তামাক চাষের কারণে বছরের প্রধান তিনটি মৌসুমের ফসলই নষ্ট হয়। তামাক চাষের কারণে আলু, বেগুন, টমেটো, মূলা, বাদাম, কপি, মিষ্টি কুমড়া, সরিষা, গম, নানারকম ডাল, পেয়াজ, তরমুজ সহ সকল রবিশষ্য ও ঢেড়শ, বরবটি, করলা, ঝিঙ্গা, পালংশাক, পুইশাক, ডাটা, পাটশাকসহ শীতকালীন সব সব্জি চাষ তিগ্রস্ত হয়। এছাড়া সময়ের মারপ্যাচে আমন ধান ও বোরো ধান চাষ করা যায় না তামাক চাষের জমিতে, যে কারণে খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন। সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে, সে জমিগুলোতে খাদ্য চাষ করলে বাংলাদেশে খাদ্য সংকট দূর করা সম্ভব।

তামাক চাষ বেড়ে যাওয়ায় গোখাদ্য সংকট, শিশু-কিশোরদের শিা ব্যহত, তামাকজনিত রোগ ও মানুষের মৃত্যু বৃদ্ধিসহ পারিবারিক ও সামাজিক সংকট বেড়ে যাচ্ছে। বান্দরবানসহ পার্বত্য জেলাগুলোতে তামাক কোম্পানিগুলোর আগ্রাসন বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র সবই হুমকির সম্মুখীন। তাই পার্বত্য জেলাসহ সর্বত্রই খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা দরকার। বক্তারা আরো বলেন, দেশের কৃষি জমি ও বনভূমি রা, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, খাদ্যসংকট মোকাবেলায় কৃষি জমিতে তামাক চাষ বন্ধ করা, বনায়নের নামে তামাক কোম্পানিগুলোর বৃরোপনের নামে বিদেশী গাছ লাগানো নিষিদ্ধ করা এবং দরিদ্র কৃষকদের দরিদ্রতার চক্রে ধাবিত করা ও তামাক চাষে ধাবিত করায় তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। অবস্থান কর্মসূচীতে নয়াকৃষি আন্দোলন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, তামাক বিরোধী নারী জোট, সম্মিলিত জলাধার রা আন্দোলন, মানব উন্নয়ন সংস্থা, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটি, সমতা, সারডা, সিএসডিসি, এসডিও, সেভ, অগ্রদূত বাংলাদেশ, নবাব সমাজকল্যাণ সংগঠন, পিএসএস, গ্রীণ বেল্ট, জনাঅধিকার ফাউন্ডেশন, উবিনীগ, প্রত্যাশা, সিটিজেন রাইটস মুভমেন্ট, নিরাপদ, নাটাব, একলাব, এইড, টিডাব্লিউসিসহ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.