আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ষাটজন মিসকিনকে এক সাথে খাদ্য দান কি জরুরী ? নিজ পরিবারভুক্তদের কাফ্ফারার খাদ্য দেয়া যাবে কি ?

পড়ো, তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাটবদ্ধ রক্ত হতে। পড়ো, আর তোমার প্রতিপালক মহিমান্বিত, যিনি কলমের দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। (আল-কুরআন, সূরা-আলাক, আয়াত ১-৫)

আল-হামদুল্লিল্লাহ “বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সহবাস ব্যতীত অন্য কোন কারণে রমজানে ইফতার করলে কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় না।

বরং জরুরী হচ্ছে তাওবা করা ও যেদিন ইফতার হয়েছে, তার কাজা করা। আর যদি সহবাসের কারণে ইফতার হয়, তবে তাতে তাওবা এবং কাজা উভয় জরুরী। কাফ্ফারা হচ্ছে একজন মুমিন গোলাম আযাদ করা। যদি তাতে অক্ষম হয়, লাগাতার দু’মাস সিয়াম পালন করা। যদি তাতে অক্ষম হয় তবে ষাটজন মিসকিনকে খাদ্য দান করা।

যদি গোলাম আযাদ বা লাগাতার ষাটটি সিয়াম পালন করতে অক্ষম হয়, তখন ষাটজন মিসকিনকে একসাথে খাদ্য দান করা যাবে, আবার সাধ্যমত কয়েকধাপেও খাদ্য দান করা যাবে। তবে ষাটের সংখ্যা পুরো করা জরুরী। উর্ধ্বস্তন কিংবা অধস্তন নিজ বংশের কাউকে তা প্রদান করা বৈধ নয়। উর্ধ্বস্তন যেমন : পিতা-মাতা, দাদা-দাদী। অধস্তন যেমন : নিজ সন্তান, সন্তানের সন্তান পুরুষ কিংবা নারী।

” সূত্র : ফতোয়া লাজনায়ে দায়েমা শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল¬াহ বিন বায শায়খ সালেহ আল-ফাওজান শায়খ আব্দুল আযীয আলে শায়খ শায়খ আবুবকর আবু জায়েদ ফতোয়া লাজনায়ে দায়েমা : দ্বিতীয় ভলিউম : (৯/২২১)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।