আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হোটেল কক্ষে প্রেমিক যুগলদের গোপন অভিসার পুলিশের হানা, ঘুষ বাণিজ্য অতঃপর বিয়ে করিয়ে দিলো উৎসুক জনতা



দেলদুয়ারের ফুলতারা গ্রামের আরজ আলীর পুত্র আরমান আলী (৪০), তার সৌদি প্রবাসী বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে উঠেছিলেন শহরের ভিক্টোরিয়া রোডের মুন লাইট গেস্ট হাউজের একটি কক্ষে। পাশের কক্ষেই মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা ভাড়রা গ্রামের লতিফ খানের ছেলে আরিফ খান (২৭) এসেছিলেন তার প্রেমিকাকে নিয়ে। কক্ষ দুটিতে প্রেমিক যুগলেরা যখন গোপন অভিসারে লিপ্ত তখন পুলিশ এসে হানা দেয় সেখানে। অনেক নাটকীয়তা আর ঘুষ বিনিময়ের মধ্যদিয়ে পুলিশ ছেড়ে দেয় তাদের। পরে অবশ্য উৎসুক লোকজন কাজী ডেকে আরিফ খানকে তার প্রেমিকার সাথে বিয়ে করিয়ে দেয়।

প্রকাশ্যে ঘুষ নিয়ে প্রেমিক যুগলদের ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই রমজান আলী ও এএসআই আনোয়ার হোসেন দুপুর সাড়ে বারটার দিকে উক্ত দুই প্রেমিক যুগলকে আটক করে। এসময় আটক প্রেমিক আরমান আলী দেলদুয়ার উপজেলা বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক তার আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। এসআই রমজান আলী মোবাইল ফোনে আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আরমান কে যোগাযোগ করিয়ে দেন। কিছুক্ষনের মধ্যেই রাজ্জাক এসে পুলিশের সাথে হোটেলের একটি কক্ষে বৈঠকে মিলিত হন।

সেখান থেকে বের হওয়ার পর পরই রাজ্জাকের জিম্মায় আরমান ও তার ভাবীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপর প্রেমিক আরিফ ও তার প্রেমিকাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে উভয়ের পরিবারের লোকজন টাঙ্গাইল থানায় উপস্থিত হয়। এসময় প্রেমিকার অভিভাবকেরা আরিফের সাথে বিয়ে করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু আরিফের পরিবারের লোকজন বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান।

সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে জানান, এসময় পুলিশের এসআই রমজান আরিফের অভিভাবকদের কাছে ত্রিশ হাজার টাকা দাবি করেন। তারা নগদ পনের হাজার টাকা প্রদান করেন। আরিফের মামাতো ভাই মাহবুবুল পুলিশকে ওইদিনই বাকী টাকা পৌছে দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেয়। পরে পুলিশ আরিফ ও তার প্রেমিকাকে ছেড়ে দেয়। ঘুষ নিয়ে এই দেন দরবারের সময় অনেক উৎসুক লোক থানার সামনে জড়ো হয়।

আরিফ থানা থেকে বের হওয়ার পর উৎসুক লোকজন তাকে ধরে মেইন রোডের শুভ পেপার হাউজে নিয়ে যায়। সেখানেই কাজী ডেকে এনে আরিফকে তার ওই প্রেমিকার সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.