আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হোটেল রোয়ান্ডা

মহল্লায় ঘুরি, মহল্লায় ফিরি

১৯৯৪ সালে রোয়ান্ডাতে হুতু আর টুসি গোত্রের মধ্যে জাতিগত যুদ্ধের লোমহর্ষক কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই মুভি। মৃত্যুকে কত কাছ থেকে দেখে ফিরে আসা যায় জীবনে তার কিছুটা অনুভূতি পাওয়া যেতে পারে এই মুভিতে। মুভির শুরুটা একটা রেডিও ষ্টেশন দিয়ে যেখানে প্রচারিত হচ্ছে- তুসি বিরোধী বক্তব্য, তাদেরকে বলা হচ্ছে তেলাপোকা, খুনি ইত্যাদি। গৃহযুদ্ধের মধ্যে এই ধরনের প্রচারনা পরিস্তিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে। পল ও তার বউ এরই মধ্যে ভালমত জীবন ধারন করছে তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে।

দেশের একমাত্র স্বনামধন্য হোটেলের ম্যানেজার পল। দেশের উচ্চপদস্ত সব কর্তাব্যাক্তি, বিদেশী ভিজিটরদেরকে নিয়ে পল তার হোটেল ব্যবসা ভাল চললেও - যুদ্ধ শহরের দিকে আসায় পলের টেনশন ক্রমাগত বাড়তেই থাকে। মুভির শুরুর দিকে পল তার বন্ধু এক্সট্রিমিষ্ট হুতু, দলের ডেপুটি জর্জকে দেখতে যায়। পল জানে তাদের জন্য খুব খারাপ দিনগুলো অপেক্ষা করছে- এই চিন্তাকে কিছুটা কমিয়ে দেয় এই ভেবে যে প্রেসিডেন্ট ও ইউএন এর মধ্যকার শান্তি চুক্তি। হঠৎই পল খবর পায় প্রসিডেন্টকে হত্যা করেছে- তুসি এক্সট্রিমিষ্ট।

সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পরে গৃহযুদ্ধ- দাবানলের মত। পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হলে ইউএন শান্তিরক্ষা বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়। সেনাবাহিনী হোটেলের দখল নিতে এলে অনেক চেষ্টার পরে তা থেকে মুক্তি পায় পল। এরই মধ্য দিয়ে মুভির কাহিনী আরও অনকে দুর এগিয়ে যায়। বাকীটা না হয় নিজেই দেখুন।

মুভির পরের অংশঃ [পল ১২৬৮ জন হুতু ও তুসি শরনার্থীকে রক্ষা করে। পল ও তার পরিবার বর্তমানে বেলজিয়ামে বসবাস করছে। ২০০২ সালে জর্জ ও সেনাবাহিনীর প্রধানকে গ্রেপ্তার করে যুদ্ধাপরাধ আইনে বিচার করে ফাঁসি দেওয়া হয়]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.