আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিলবোর্ডের চেয়েও বড় চমক আসছে !!

দ্রিমু য্রখন ত্রখন স্রবট্রাতেই দ্রিমু

সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রচারে বিলবোর্ডের এসিড টেস্টে সবাই চমকিত। এখন এর চেয়েও বড় চমক আর কার্যকর অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এনালগ থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার যাবতীয় সব কলা-কৌশল নিয়ে তারা এ প্রচার যুদ্ধে নামছে। এ কাজে জড়িত রয়েছেন দেশের চলচ্চিত্র ও নাট্যজগতের বিখ্যাত অনেক ব্যক্তিত্ব। বিরোধীদের অপপ্রচার মোকাবেলার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন চিত্র জনমনে তুলে ধরতে চূড়ান্ত রণপ্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মূলত এ প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। টিভি বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে মোবাইলে এসএমএস (ক্ষুদে বার্তা), পাড়া মহল্লায় মিটিং, জনসভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন দেখানো, স্থিরচিত্র, ভিডিওগ্রাফি, গ্রাফিক্স ও এনিমেশনের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন ও আগামী দিনের পরিকল্পনা জনগণের কাছে তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে প্রচারের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে প্রচারের জন্য বিভিন্ন দৈর্ঘের ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ চলছে।

সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আর বিএনপি-জামায়াত- হেফাজতের বিভিন্ন নৈরাজ্যমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে তৈরি করা হচ্ছে এসব ডকুমেন্টারি। বিভিন্ন টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন আকারে এসব ভিডিওচিত্র প্রচার করা হবে বলে জানা গেছে। টেলিভিশন ছাড়াও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। এর বাইরে পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রচার কাজ অব্যাহত রাখা হবে। এগুলোকে আরো ব্যাপক পরিসরে করা হচ্ছে।

রাজধানী থেকে বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলা হলেও এখন পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শহর ও শহরতলীতে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে বিলবোর্ড লাগানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম দিয়ে এ কাজ শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। বিলবোর্ডে প্রচারণায় সফল হয়েছে বলেও মনে করছে আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হলেও আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ডাইরেক্ট কমিউনিকেন্সের (সরাসরি যোগাযোগ) এর ওপর। এ প্রক্রিয়ায় নেতাকর্মীরা সরাসরি মানুষে কাছে যাবেন।

তাদের সরকারের সফলতা ও বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের কথা তুলে ধরবেন। একই সঙ্গে বিগত বিএনপি আমলের উন্নয়নের সঙ্গে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের তুলনা করে বোঝাবেন, আগামীতে যেন আবারো আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করা হয়। তারা সরকারের বিরুদ্ধে থাকা বিভিন্ন অপপ্রচার সর্ম্পকেও জনগণকে সচেতন করবেন। মানুষের কাছে গিয়ে কিভাবে মানুষকে বোঝাতে হবে তার ওপর নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এক্ষেত্রে গণযোগাযোগে অভিজ্ঞদের কাজে লাগানো হবে।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার যুদ্ধের এ বিশাল কর্মযজ্ঞে কাজ করছেন এক ঝাঁক তরুণ ও মেধাবী তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তাদের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন দেশের বরেণ্য অনেক ব্যক্তিত্ব। এ কাজে অগ্রগামী দায়িত্ব পালন করছেন বাকের ভাই খ্যাত দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা, আবৃত্তি শিল্পী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রচার যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন যারা তারা হলেন, বিশিষ্ট সফটওয়্যার বিজ্ঞানী মোস্তফা জব্বার, নাট্যকার রামেন্দু মজুমদার, আলী যাকের, অভিনেতা সারা যাকের, চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, আবৃত্তি শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তারিক সুজাত, ত্রিশালের সংসদ সদস্য রেজা আলীসহ চলচ্চিত্র, নাট্য ও বিজ্ঞাপণ জগতের আরো অনেকে। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ক্রীড়া সম্পাদক দেওয়ান শরিফুল আরেফিন টুটুল, উপ দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিলসহ আরো অনেক নেতা যে যার দিক থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

পুরো কাজের তদারকি করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী আগস্টের শেষে অথবা সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকে প্রচার কাজে মাঠে ময়দানে নেমে পড়বেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। দেশব্যাপী সফর করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে আসল প্রচার কাজ শুরু হবে আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে। [বাংলানিউজ থেকে]


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।