আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাহান্নামে সবচেয়ে নিম্নমানের শাস্তির ধরন ও জান্নাতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মর্যাদা

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।
জাহান্নামে সবচেয়ে নিম্নমানের শাস্তির ধরন হাদীসে এসেছে সাহাবী নুমান ইবনে বশীর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: জাহান্নামীদের মধ্যে যার সবচেয়ে হাল্কা শাস্তি হবে তার শাস্তির ধরনটা এমন হবে যে, তার পায়ে আগুনের দুটো জুতা থাকবে ও আগুনের দুটো ফিতা থাকবে। এর আগুনের তাপে তার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে যেমন ডেগের মধ্যে পানি ফুটতে থাকে। লোকেরা তার অবস্থা দেখে মনে করবে এর চেয়ে বড় শাস্তি আর কিছু নেই। অথচ এ শাস্তিটা হল সবচেয়ে হাল্কা শাস্তি।

(বর্ণনায় : মুসলিম) জাহান্নামে শাস্তির বিভিন্ন স্তর হাদীসে এসেছে- সামুরা ইবনে জুনদাব রা. থেকে বর্ণিত যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: জাহান্নামীদের কারো পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত আগুনে স্পর্ষ করবে। করো হাটু পর্যন্ত আগুনে স্পর্ষ করবে। কারো কোমর পর্যন্ত আবার কারো কণ্ঠ পর্যন্ত আগুন স্পর্ষ করবে। (বর্ণনায় : মুসলিম) জান্নাতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মর্যাদা হাদীসে এসেছে- মুগীরা ইবনে শোবা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: মুসা আলাইহিস সালাম তার প্রতিপালককে জিজ্ঞেস করলেন, জান্নাতবাসীদের মধ্যে সর্বনিম্ন মর্যাদার লোকটি মর্যাদা কি রকম হবে? আল্লাহ তাআলা বললেন: সে হল এমন এক ব্যক্তি, জান্নাতের অধিবাসীদের জান্নাতে প্রবেশ করানোর পর আমি তাকে বলবো, তুমি জান্নাতে প্রবেশ করো। সে বলবে, হে প্রভূ! কিভাবে আমি জান্নাতে প্রবেশ করবো যখন সকলকে নিজ নিজ মর্যাদা অনুযায়ী স্থান নিয়ে গেছে এবং তাদের পাওনাগুলো গ্রহণ করেছে? তখন তাকে বলা হবে, দুনিয়ার সম্রাটদের মত একজন সম্রাটের যা থাকে তোমাকে সে পরিমাণ দেয়া হলে তুমি কি সন্তুষ্ট হবে? সে উত্তরে বলবে হে প্রভূ, আমি সন্তুষ্ট হবো।

আল্লাহ তাআলা বলবেন: তোমাকে সে পরিমাণ দেয়া হবে, তারপরও সে পরিমাণ আবার দেয়া হবে, তারপরও সে পরিমাণ আবার দেয়া হবে তারপর আবার সে পরিমাণ দেয়া হবে। পঞ্চমবার সে বলবে, হে প্রভু আমি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম। আল্লাহ তাআলা বলবেন, তাহলে এ পরিমাণ তোমার সাথে এর আরো দশগুণ তোমাকে দেয়া হলো। আর তোমার জন্য রয়েছে যা তোমার মন কামনা করে আর যা তোমার চোখ দেখতে চায়। সে বলবে, হে প্রভু আমি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম।

তারপর মুসা আলাইহিস সালাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আর সবচেয়ে উচ্চ মর্যাদাবান ব্যক্তির স্থান কেমন হবে? আল্লাহ তাআলা বললেন: তারা হলো. যাদের মর্যাদার বীজ আমি নিজ হাতে বপন করেছি এবং তার উপর সীলমোহর এঁটে দিয়েছি। কাজেই সেখানের মর্যাদা ও সুখ-শান্তি এমন যা কোনদিন কোন চোখ দেখেনি। কোন কান শোনেনি। কোন মানুষের অন্তর তার কল্পনা করেনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: এর সত্যতা তোমরা আল্লাহ তাআলার এ বাণীতে পেতে পারো যেখানে তিনি বলেছেন : فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ অতএব কোন ব্যক্তি জানে না চোখ জুড়ানো কি জিনিষ তাদের জন্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

(বর্ণনায় : মুসলিম) হাদীসে আরো এসেছে- আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তাআলা বলেন: আমি আমার সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য এমন বস্তু প্রস্তুত করে রেখেছি যা কোন চোখ দেখেনি। আর যা কোন কান শোনেনি। এবং কোন মানুষের অন্তর তা কল্পনা করতে সক্ষম হয়নি। আবু হুরাইরা রা. বলেন: তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পারো : فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ অতএব কোন ব্যক্তি জানে না চোখ জুড়ানো কি জিনিষ তাদের জন্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে। (বর্ণনায় : বুখারী ও মুসলিম) সুত্রঃ কেয়ামতের ভয়াবহতা ও তারপর আব্দুল মালেক আলী আল-কুলাইব অনুবাদ: আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.