আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোরকা পরতে বাধ্য করা; বাচ্চাকে ঔষধ খাওয়ানোর উদাহরন

নিজেকে নিয়ে ভাবছি

হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে স্কুল কলেজে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না বলে সরকার প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। পরে আবার সিদ্ধান্ত হল যে কোথাও তাদের বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না । অনেক আলেমরা একে পর্দার প্রতি অবজ্ঞা ও তার প্রতি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে মনে করছেন। নেকাব, হিজাব মুসলিম মহিলাদের শালীনতা, ভদ্রতার একটি বহিঃপ্রকাশ। যদিও পুরা নারী জাতির জন্যই এটা অবশ্য দরকারী (অনেকে বোঝে না বা বুঝেও মানতে পারে না)।

পর্দার প্রয়োজনীয়তা ইদানিং আরো বেশি আলোচিত হচ্ছে কারন ‘ইভটিজিং’। এই মারাত্মক ব্যাধির সমাধান অনেকে দিচ্ছেন নেকাব, হিজাব। ইসলাম সব সময়ে মানুষের মন জয় করার মাধ্যমে কাজ সমাধা করতে চায়। জোর জবরদস্তির মাধ্যমে কোন কিছু স্থায়ী হয় না। অন্য ধর্ম বা আচার আচরনের প্রতি সবচাইতে শ্রদ্ধাশীল ধর্ম হল ইসলাম।

কিন্তু সবার জন্য যা কল্যানকর তা প্ততিষ্ঠিত করতে ইসলাম সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যায়। যার শেষ পর্যায় হিসাবে কিছুটা জোরজবরদস্তির দরকার বা প্রয়োজনীয়তা ইসলাম অনুভব করে। একটি উদাহর দিলে খুব ভালো বোঝা যাবে। । বাচ্চা যদি ঔষধ খেতে না চায় তাহলে বাবা মা জোর করে হলেও তা খাওয়ানোর চেষ্টা করেন, তবে তার আগে ভালো ভাবে তাকে বোঝান যে এটি তার জন্য উপকারী, তার অসুখ এর কারনে দূর হবে।

কিন্তু বাচ্চা যদি শেষ পর্যন্ত না খেতে চায় তাহলে তারা জোর করে খাইয়ে দেন। । এখন একবার চিন্তা করুন ! কেউ কি এই পরিস্থিতিতে বলবেন এটি ‘শিশুদের প্রতি হ্যা বলুন’ এই স্লোগান এর বিপক্ষে যায় তাই এটি করতে দেওয়া যাবে না? ও বাচ্চাকে জোর করা যাবে না এতে তার যে পরিনতিই (হতে পারে মৃত্যু) হোক না কেন !! মহিলাদের শালীনতা, ভদ্রতা ও তার শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে নেকাব, হিজাবের ভূমিকা যে কত জরুরী তা এখনও যারা বুঝতে পারেন না তাদের উচিত পাশ্চাত্য সমাজ ব্যবস্থার দিকে তাকানো। তাদের নৈতিকতা কোথায় গিয়ে পৌছেছে!!! বোরকাকে কটাক্ষ করে বেসরকারী টিভি চ্যানেল ‘দেশ টিভি’ কদিন আগে চলচ্চিএ প্রদর্শন করেছে। এতে আলেমরা সহ অনেকে একে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হিসাবে দেখে ওই চ্যানেলকে বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।

এসব ঘটনা কি আমাদের ফ্রান্সের(নেকাব নিষিদ্ধ করে বিল পাশ হয়েছে যেখানে)মত অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই না সেই পরিনতি। এজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।