আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বিচারে কাপ্তাই লেকের মাছ নিধন

বন্ধ মৌসুমে কঠোর নিরাপত্তা মধ্যেও নির্বিচারে চলছে রাঙামাটি কাপ্তাই লেকের মাছ নিধন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চলছে মাছ শিকার। বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। তাছাড়া চোরা কারবারিদের সহায়তায় এক শ্রেনীর অসাধু জেলে হ্রদে প্রতিনিয়ত এসব অবৈধ মাছ শিকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাজারে প্রকাশ্য বিক্রি হচ্ছে ডিমওয়ালা মা মাছসহ সব ধরনের মাছ।

তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যোগসাজসে এক শ্রেনীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ী পুকুরের মাছের অনুমতিপত্রের আড়ালে প্রতিনিয়ত কাপ্তাই হ্রদের নিষিদ্ধ মাছ প্রকাশ্য বাজারে বিক্রিসহ অন্যত্র পাচার করছে। এছাড়া বিএফডিসি ঘোষিত কাপ্তাই হ্রদ এলাকার মৎস্ অভয়াশ্রমগুলো থেকে মাছের পোনা চুরি করে পাচার করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

সূত্র মতে, অসাধু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় কতিপয় জেলে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন এলাকায় ডিমওয়ালা মাছসহ জাল দিয়ে সব ধরনের মাছ শিকার করছে। এতে বেড়াজাল, কারেন্ট জাল ব্যবহৃত হচ্ছে।

পাশাপাশি শিকারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত মাছের আবাসস্থল ও অভয়াশ্রমে ডিম পাড়ার স্থান চিহ্নিত করে অক্সিজেন লাগিয়ে দক্ষ ডুবুরির ন্যায় হ্রদের পানির নিচ থেকে পোনা ধরে পাচারকারীদের নিকট বিক্রি করছে। এজন্য পাচারকারী চক্র অগ্রিম টাকাও দেয় শিকারীদের। বর্তমানে মৎস প্রজনেনর স্বার্থে সরকারিভাবে কাপ্তাই হ্রদে মৎস শিকার নিষিদ্ধ থাকলেও অবাধে চলছে অবৈধ মাছ শিকার। নিষেধাজ্ঞা থাকালেও এর পরও কি ভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা দিন রাত এসব মাছ শিকার ও প্রচার করছে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন  কর্পোরেশন (বিএফডিসি) সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদ বন্ধ কালিন সময়ে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন বৃদ্ধিও লক্ষ্যে প্রতিবছর হ্রদ হতে সকল প্রকার মৎস আহরন, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়।

তাছড়া রীতিমত বিএফডিসির প্রায় ৭শ' বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত বিশাল কাপ্তাই হ্রদ এলাকা পাহারা দেয়া হয়। যাতে অসাধু জেলেরা মাছ শিকার করতে না পারে। হাতে নাতে এসব অসাধু ব্যবসাযীরা ধরা পড়লে জরিমানাসহ কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.