আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্যদ্রব্যে বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি প্রমাণের পরীক্ষা

হ্যানিম্যান গুড় ও আইসক্রিমে যে বিষাক্ত মেটানিল ইয়োলো পদার্থের মিশ্রণ আছে সেটা সনাক্ত করার উপায় হল- কিছু পরিমাণ খাদ্য নমুণা এবং বেভারেজ পরীক্ষানলে সংগ্রহ করার পর পানি মিশিয়ে ভালভাবে ঝাকানো হয়। এই অবস্থায় কয়েক ফোঁটা লঘু HCl যোগ করা হয়। জলীয় অংশে ফেকাশে লাল রঙ এর আবির্ভাব পরিলক্ষিত হয়। এ থেকেই প্রমাণ করে খাদ্যে মেটানিল ইয়োলোর উপস্থিতি বর্তমান আছে। গুড় ও আইসক্রিমে যে বিষাক্ত স্যাকারিন পদার্থের মিশ্রণ আছে তা সনাক্ত করার উপায়- হয়।

মিষ্টি স্বাদ স্যাকারিনের উপস্থিতি প্রমাণ করে। দুই-তিন চা চামচ তরল খাদ্য নমুনা অথবা ৫-৬ গ্রাম কঠিন খাদ্য নমুনা অল্প পরিমাণ পানি সহযোগে একটি পরীক্ষা নলে নিয়ে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং ১০ মিলি লিটার ইথার দ্রাবক যোগ করে উত্তমরুপে ঝাকানো হয় এবং ইথার অপসারনের জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করা হয়। ইথার বাষ্পিভবনের পর সবশেষে একফোটা গরম পানি মিশিয়ে স্বাদ নেওয়া খাদ্যে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল নামক বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি কিভাবে প্রমাণ করবেন। আমরা জানি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল হচ্ছে পাতলা শ্বেত ধুসর রঙের এক প্রকার পাত যা ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিডে দ্রাব্য কিন্তু খাঁটি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ঘন যা ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিডে দ্রাব্য নয়। বেসনে পঙ্গুত্ব সৃষ্টিকারী মারাত্নক বিষ BOAA এর উপস্থিতি যা খেসারীর ডালে থাকে তা কিভাবে সনাক্ত করার উপায় ১০ গ্রাম বেসন নমুনা একটি বিকারে নিয়ে তাতে ৫০ মিলিলিটার হাইড্রোক্লোরিক এসিড মিশিয়ে বিকারটিকে সদ্য ফুটন্ত গরম পানিতে ১৫-২০ মিনিট রাখার পর যদি ফ্যাকাশে লাল রঙের সৃষ্টি হয় তাহলে বেসনে যে খেসারি ডালের মিশ্রণ আছে তা নিশ্চিতভাবে প্রমানিত হয়।

ঘি ও মাখনে যে বনস্পতি বা মার্জারিন নামক বিষাক্ত পদার্থের মিশ্রণ দেওয়া হয় তা কিভাবে প্রমাণ করবেন। একটি ছিপিযুক্ত পরীক্ষানলে এক চা চামুচ ঘি বা মাখন নিয়ে তাতে এক চামচ ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও অল্প পরিমান চিনি নিয়ে উত্তমরুপে এক মিনিট মিশানো হয় এবং ছয়-সাত মিনিট দ্রবণটিকে স্থির ভাবে রাখা হয়। পরীক্ষানলের নিচের স্তর গাঢ় নীল বর্ণ ধারণ করলে ঘি বা মাখনে বনস্পতি বা মার্জারির নিশ্চিতভাবে উপস্থিতি প্রমানিত হয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।