আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলাহাবাদ আদালতে শান্তির দাবীর কাছে ন্যায় বিচারের আত্মসমর্পন

ক্লিন'স অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ড

বিচার সবসময় ন্যায়ের পতাকা উড়াবে সেটাই প্রত্যাশা সাধারণের। বিচার হবে নিরাবেগ। কেবল উপস্থাপিত যুক্তি তর্কই হবে রায়ের পেছনের একমাত্র অনুঘটক- সেটাই বিচার ব্যবস্থার মূলনীতি। বিচারের এ মূলনীতিকে পদদলিত করেই বলতে গেলে ঘোষিত হলো বাবরি মসজিদ রায়। এ রায়ের দিকে পৃথিবীর অনেক মানুষেরই দৃষ্টি ছিলো।

এটা কোন সাধারণ মামলা নয়, এটা অনেকগুলো উত্তপ্ত ইস্যুকে সামনে নিয়ে একটি দেশের স্থিতি, সংহতি নির্ধারণী একটি মামলা ছিলো। এলাহাবাদ আদালত বোধকরি পৃথিবীর তাবত দেশের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করণীয় সে সম্বন্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। ন্যায় বিচার হলে রায় পুরোপুরিই মুসলমানদের পক্ষে যেতো সন্দেহ নেই। হিন্দুরা যে অভিযোগ করেছে তাতে ধর্মীয় উন্মাদনা যতোই থাকুক যুক্তি এবং প্রমাণ ছিলো না। এবং আদালত বলেই দিয়েছে, সম্রাট বাবর ওখানকার একটি রামমন্দির ভেঙে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, হিন্দুদের এ অভিযোগ মিথ্যা (অথবা প্রমাণিত হয় নি)।

আর রাম নিজেই কতটা বাস্তব আর কতটা বাল্মীকী কিংবা বশিষ্ঠ মুনির কল্পনা সেটা নিয়ে তো বিতর্কে যাওয়াই যেতে পারে। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্সাসের এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও অন্তত বাবরি মসজিদের জায়গাটিই যে রামের জন্মস্থান সে বিষয়টি প্রমাণ করা হিন্দুদের পক্ষে সম্ভব নয়। এখনো জানি না আদালত এ বিষয়ে কী বলেছে। যাইহোক, আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে তারা দেশে আরেকটি সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে মাত্র। ন্যায়বিচার করে নি।

ন্যায় বিচারের অর্থ যদি হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা তাহলে তাদের রায় ঠিকই আছে। বৃহত্তর স্থিতিশীলতার স্বার্থে ন্যায় বিচার বিসর্জন করার এটা একটা ভালো নজির হয়ে থাকবে পৃথিবীবাসীর কাছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।