আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংলাপ হতে পারে তবে...বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়াকে বিতাড়িত করার সংলাপ।

আমার আগের নিক হ্যাক হয়েছে কিনতু দ্বাবি একটাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চাই। ___________________ @সুলতান মির্জা পাকিবান্ধব বুদ্ধিজীবিদের পরে পশ্চিমাদের থেকে দ্বাবী উঠেছে দুই নেত্রীর সংলাপ হওয়া খুব জরুরী কি কারন ? ১.চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা এড়ানো ও ২.সবার কাছে গ্রহনযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য। জাতিসংঘ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত পশ্চিমা দেশের রাষ্টদুতেরা কার পালস বুঝে দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসানোর জন্য দৌড়ঝাপ পারতেছে এটা একটা প্রশ্ন ? বাংলাদেশ কবে অহিংস ছিল এটা একটা প্রশ্ন ? সাধারন নির্বাচন হলেই দেশ অহিংস হয়ে উঠবে নাকি ? এটা একটা প্রশ্ন। উত্তর কি হবে সেইটা খুজার জন্য আমী মোটেই উদ্গ্রীব না এই মুহুর্তে। কেন না।

আমরা দেখেছি, তত্তাবধায়কের নাম করে ইয়াজুদ্দিনের খেলা ধুলার সরকার। আমরা দেখেছি, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তিতে এইদেশে নিরিহ সংখ্যালঘুদের উপড়ে হামলার নারকীয় চিত্র। আমরা দেখেছি, খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের মদদে জামাতের সৃষ্টি বাংলা ভাইয়ের চিত্র। আমরা দেখেছি, ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলার চিত্র। ২০০৪ সালে খালেদা জিয়ার ছেলের মদদে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার কথা বাদ যাবে কেন ? এত কিছুর পরে কেন সংলাপ ? ভবিষ্যতে খালেদা জিয়া দুধে ধোয়া তুলসী হয়ে যাবে এর গ্যারান্টি কে দিবে ? আমি বলছি না আওয়ামীলীগ সরকারের ব্যার্থতা নাই।

হা আছে তবে সেটা যদি সাবেক বিএনপি সরকার ও বর্তমান বিরোধীদল বিএনপির সাথে তুলনা করা হয় তাহলে চোখ বন্ধ করে বলতে পারি আওয়ামীলীগের সুচক ভাল হবে। তা হলে কি দাড়ালো ? জনগন যেখানে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রশ্নে সেখানে এই ধরনের আলোচনা করা মানে হচ্ছে বাংলাদেশ কে দ্বিখন্ডিত করা। কার সাথে আলোচনা ? রাজাকারের লালঙ্কারী গড মাদারের সাথে ? কিসের জন্য আলোচনা ? বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার জন্য ? এইগুলো কিন্তু প্রশ্ন। আজকে যে আলোচনার কথা বলা হচ্ছে তা যে শুধু মাত্র ক্ষমতার মসনদে নিরাপদে আসীন হওয়ার কৌশল মাত্র তা বুঝে নিতে বেশি জ্ঞান বুদ্ধির প্রয়োজন হবে বলে মনে করছি না। আজকে যে বিএনপির মাথার উপড়ে ভর করে জামাতে ইসলাম সাইদি কে চাদে দেখা গেছে গুজব ছড়িয়ে বগুড়া জেলায় তান্ডব চালিয়েছে, চাপাই নওয়াবগঞ্জে শত কোটি টাকার বিদ্যুত প্লান্ট পুড়িয়ে দিয়েছে, বাশখালীতে হাজার হাজার সংখ্যালঘু পরিবার কে করেছে গৃহহীন করে জালিয়ে দিয়েছে তাদের ঘড়বাড়ি।

নির্বিচারে হত্যা করেছে নিরাপরাদ জনতাকে, রাষ্টের অহংকার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যাদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে তাদের বন্দুকের বাটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে আমার স্বাধীন দেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের। সেই ইন্দন দাতা বিএনপির সাথে কিসের জন্য আপোষ করতে হচ্ছে ? কার জন্য আপোষ ? এটা কি জনগনের পালস ? এটা কি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পরিবার পরিজনের পালস ? নাকি শুধু মাত্র ক্ষমতার রাজনীতির জন্য ? আজকে ভাবার সময় এসেছে, পশ্চিমা বিশ্বের চাপে পড়ে এটা কি রাজনীতির ভুল সিদ্ধান্ত না ? বাংলাদেশ নামক রাষ্টের মালিক কে ? বাংলাদেশের জনগন নাকি পশ্চিমা দেশের দুতেরা ?এই গুলো প্রশ্ন। আমি বলতে চাই, বিএনপির সাথে যেকোন আলোচনার আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ কে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে হবে। জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশের দুতেরা বলছে, যে আলোচনা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান নয়। আমি বলি হা আলোচনার দরকার আছে।

তবে সেটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাথে খালেদা জিয়া কিভাবে রাজনীতি ছেড়ে দিবে সেই আলোচনা হতে পারে। কিন্তু খালেদা জিয়া বাংলাদেশে রাজনীতি করবে সেটার বৌধতা দিতে কোনভাবেই বিএনপি বা খালেদা জিয়ার সাথে কোন আলোচনা হতে পারে না। গনভোট দিন, জনতার পালস বুঝে নিন। গত তিন মাস আগের বিএনপি আর বর্তমান বিএনপির মধ্যে তফাত কতটুকু হয়েছে তা জেনে নিন। তার পরে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিন।

নয়া পল্টনে আর গুলশানে কয়েক হাজার লোকের মিছিল মানেই কিন্তু বৃহত কোন শক্তির প্রতিফলন হতে পারে না। আজকে আমি বা আমার মত অনেকেই বিরক্ত। তার কারন আর কিছুই না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে শাহবাগে যে গনজাগরন হয়েছে সাধারন জনতার। সেই গনজাগরন কে বিভিন্ন কৌশলে প্রশ্নবিদ্ধ করে সোজা কথায় গু বানিয়ে দিয়েছে এই বিএনপি ও খালেদা জিয়া।

আমার জানার ইচ্ছা ছিল, শাহবাগে যে গনজাগরন হয়েছে তা কি বাংলাদেশ দখল প্রশ্নে ? নাকি শাহবাগের তরুনেরা চেয়েছিল যে বাংলাদেশের সরকার হইবে তারা ? না এমন কিছুই না। শুধু মাত্র পাকিস্তানের প্রেতাত্তাদের ফাসির দ্বাবীতে এই তরুনেরা রাজপথে নেমেছিল। কিন্তু কি ঝুটলো এদের কপালে ? অপবাদ, গুজব আর বিশ্রি কিছু গালমন্দ। যা বাংলাদেশের এলিট শ্রেনীর রাজনীতিবিদেরা করতে পারে এর ধারনা শাহবাগী তরুন দের ছিল না। আজকে সেই ধারনা যখন চোখের সামনে হাতে কলমে এনে দিয়েছে।

তখন মনে করি চুপ থাকার সময় শেষ এখন প্রতিবাদ করে ঘুরে দাড়ানোর সময় এসেছে। আর আমরা তাই করবো। তাই আওয়ামীলীগের প্রতি আমার বিনিত আবেদন ভেবে দেখুন, লক্ষ কোটি তরুন এর মনের পালস বুঝার জন্য চেষ্টা করুন। খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার পথ খুজুন। এটাই হচ্ছে আলোচনা।

এর বাইরে আর কিছুই না। কারন খালেদা জিয়া হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাক্তি যিনি যতক্ষন বাংলাদেশের রাজনীতিতে থাকে ততক্ষন সহিংসতা থাকবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।