আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গিফট

গিফট বা উপহার পেলে যে কেউ খুশি হয়। উপহার দেওয়ার জন্য উপলক্ষ থাকাটা জরুরি না হলেও, আমরা বেশিরভাগ মানুষই উপলক্ষ বুঝেই গিফট জোগাড় করি। বিভিন্ন উপলক্ষে বিভিন্ন রকম উপহার দেওয়া হয়। মানুষের বয়স ভেদেও উপহারের পার্থক্য আছে। এসব জানা কথা।

অজানা কথা হচ্ছে, গিফট কেনা এবং দেওয়ার গল্পগুলো। গিফট দেওয়া এবং নেওয়ার গল্পগুলো নিয়ে একটি বই লিখবেন বলে ঠিক করেছিলেন পাড়ার এক এবং আদি বড়ভাই বকুল। বকুল ভাই সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জেনে রাখা যেতে পারে। বকুল ভাই নিজেকে এলাকার হিরো ভাবেন। তার কাছ থেকে এলাকায় কেউ পালিয়ে বাঁচতে পারে না, ধরা খাবেই।

ডানের গলি দিয়ে বাজারে গেলে বামের গলির মোড়েই তার সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে যাবে। তাই নিরুপায় হয়ে, তীব্র অনিচ্ছা সত্ত্বেও এলাকার ইয়ং ছেলেপেলেরা তার কথায়ই ওঠাবসা করে। কয়েকদিন ধরে বকুল ভাই বেশ ঠাণ্ডাই ছিলেন কিন্তু ইদানীং হঠাৎ খেপেছেন। খ্যাপার কারণ প্রেম। এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়।

সমস্যাটা অন্য জায়গায়। তিনি ঠিক করেছেন তার প্রেমিকাকে একটা গিফট দেবেন। বকুল ভাই গিফট দেবেন- ব্যাপারটা ছড়িয়ে যেতেই ইয়ং পোলাপান সব লাপাত্তা হয়ে গেল। কারণ অভিজ্ঞতা বলে, পোলাপানদের নানাবিধ পেরেশানি দেওয়া। শুধু পেরেশানি দিলেও ঠিক ছিল, এর সঙ্গে ঝাড়ি ফ্রি।

এর আগেরবার প্রেমে পড়ে তিনি পিপলুকে বললেন, কী গিফট দেওয়া যায় রে, ইউনিক কিছু বলবি। পিপলু মাথা খাটিয়ে বলল, আপনার নামের সঙ্গে মিলিয়ে বকুল ফুল দিন! বকুল ভাই ব্যাপক খুশি হয়ে বললেন, যা বকুল ফুল জোগাড় কর। তখন তপ্ত চৈত্রমাস চলছে। বেচারা পিপলু বকুল ফুলের খোঁজে হয়রান, তবু মিলে না বকুল। ওদিকে ফুল পাচ্ছে না জানতে পেরে বকুল ভাই খেপে 'ফায়ার'- এলাকায় ঠেঙ্গানো হবে, ফাজলামো নাকি, ফুল চাই-ই।

কীভাবে, কোথা থেকে আসবে, সেটা নাকি তার বিষয় নয়। এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়েও যদি তাকে ভাবতে হয় তাহলে আমরা ইয়ং পোলাপান আছি কি ঘোড়ার ঘাস কাটতে? ঘটনা সত্য। সেবার ঝড়টা পিপলুর ওপর দিয়েই গিয়েছিল। এবার অবশ্য গিফটের কথা শুনেই এলাকা ইয়ং পোলাপানশূন্য হয়ে গেছে। তবুও সবার শেষ রক্ষা হয়নি।

মোবাইলে ফ্ল্যাঙ্েিলাড করতে গিয়ে ধরা খায় মামুন। মামুনকে দেখেই চেঁচিয়ে ওঠেন বকুল ভাই-

: ওই মামুন, এদিকে আয়।

: জি ভাইয়া।

: শোন, ব্যস্ত আছি বুঝলি- যা তো একটা গিফট নিয়ে আয়। আমার মনের মানুষরে দিমু।

এরপর আর কথা চলে না। কথা চললে বিপদ বেশি। মামুন গিয়ে একটি সুন্দর গিফট এনে হাসিমুখে পাঠিয়ে দিলেন বকুল ভাইয়ের মনের মানুষকে। গিফট সমস্যার সমাধান হয়েছে জানতে পেরে ইয়ং পোলাপানরা ঘর ছেড়ে পাড়ার মোড়ে যথারীতি আড্ডা দিতে এলো। আড্ডার নিয়ন্ত্রণ বকুল ভাইয়ের হাতে।

সবে মাত্র তিনি সূচনা আড্ডা দেবেন, তখনই দেখা গেল মামুনকে কান ধরে টেনে আনছেন তার বাবা। ঘটনা কী? ঘটনা সামান্য, মামুন তার বাবার চশমাটা প্যাকেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে বকুল ভাইয়ের মনের মানুষকে। মামুনের বাবার আল্টিমেটাম, চশমা চাই এখ্খুনি, নইলে কানমলা! তারপর গল্পটা আর জানি না। আমি আবার দৌড়ে খুব ভালো- সবার আগে ভেগে গিয়েছিলাম কিনা!

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।