আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উড়োচিঠির যতসব উড়ু উড়ু জানালা - পথ

বিদায় - পথের নয়, পথিকের...
পথ, হয়তো তোমার কাছে এই চিঠিটি পৌছাবে না, কারন কোন ডাকপিয়ন জানেনা আমি কতটা চুপি চুপি এটা লিখেছি, আর তার থেকেও নিভৃতে এটাকে উড়িয়ে দিয়েছি। যদি কখনো পেয়েও যাও, ছিন্ন-পত্র ভেবে হয়তো তুমি এই চিঠিটি হারিয়ে ফেলবে আবার উড়িয়ে দেবে আর চিঠিটি ঠোঙ্গা হয়ে উঠবে কোন এক মুড়ি মাখা হাতে। যদি কখনো পড়েও ফেলো, আমি জানি এই চিঠিটি তোমার অনুভুতিতে এতটুকু আঁচড় কাটবে না। তুমি অবিচলের মতো পরে রইবে জবুথবু হয়ে! অবুঝ তুমি, অনুভূতিহীন হয়ে চিঠির শব্দগুলোকে তুলে নিয়ে বর্ণগুলোকে এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলবে, কিছু বর্ণ তোমার চারপাশে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে থাকবে, কিছু হারিয়ে যাবে, মিলিয়ে যাবে আর কিছু কিছু বর্ণ নিজেরাই নিজেদের সাথে মিলে গিয়ে আরো কিছু এলোমেলো শব্দ তৈরি করে ফেলবে, যার ছিটেফোঁটাও তুমি জানতে পারবে না, তুমি শুধু আমার চলাটাই দেখতে, আমি যেখানেই যাই, তুমিও সেখানেই যেতে, আমি যেখানে যেতে উদ্যত হতাম তুমি সেখানে গিয়েই বসে থাকতে.... আমি দেখেছি তোমার ক্ষয়ে যাওয়া কিছু অংশ, আমি তোমার খুবলে যাওয়া একটি অংশ সেদিন ডিঙ্গিয়ে পাড় হতে গিয়ে প্রায় হোঁচট খেয়েই পড়ে যেতাম তোমার নিচেই থাকা চির গহীন অন্ধকারে! পথ তুমি অনেক কিছু জানার ভান করো, কিন্তু কিছুই জানো না, কারন তুমি কেবল একটা পথ। আমি তোমার অধিকারে আছি বলে হয়তো আমার সাথেই তুমি এই অভিনয়টা করে নিজের অস্তিত্ব জাহির করতে, আর আমিও ভান করেছি তুমি যা বলছো সবই ঠিক, তুমি কি জানো তোমার বেশির ভাগ অংশই কখনো লাফিয়ে, কখনো হোঁচট খেয়ে, কখনো হাঁচড়ে পাঁচড়ে পাড় হতে হয়? তুমি আমাকেও জানোনা, তোমাকেও জানোনা! তোমার থেকে পিছলে গেলেই আমাকে হারিয়ে যেতে হবে শুন্যে কোথাও, যেখান থেকে আমি আর তোমাকে খুঁজে পাবো না, শূন্যতার থেকেও ক্ষত-বিক্ষত একটি চলার পথ অনেক আশাব্যঞ্জক।

তাই তোমাকে মায়া করতাম আর টিকে থাকতাম! কিন্তু তুমি আমাকে কখনো বলোনি হারিয়ে গেলে আমি কিভাবে টিকে থাকবো, আমি শুধু তোমার কাছে পথ চলা শিখতাম আর তুমি শিখাতে, আমি হোচট খেতাম,তুমি নির্লিপ্ত থাকতে, তোমার সংরক্ষন ও মেরামতের একটা 'পথ' খুজেছিলাম, কিন্তু প্রতিকার খুজে পাইনি, আমি আমার সামনের তোমার অংশটুকু সম্পর্কে পুরোটাই অজানাগ্রস্থ ছিলাম যা জানার আগ্রহ ছিলো অসহনীয় প্রবল! তোমার আশেপাশে অজস্র পথ এঁকেবেঁকে বয়ে চলেছে, 'একটি পথ, একটি পথিক' প্রকল্পে যারা নিরন্তর ছুটেছে তাদের উর্ধ্বশ্বাস আমার কানে এসে অস্বস্তিকর শব্দ তুলেছে, তাদের আশে পাশে কোন এক পথের বাঁকে বসে থাকা কোন এক অবসরপ্রাপ্ত পথিকের চা-পানের আমন্ত্রন তাদের কানে স্পন্দন তোলেনি, তারা সব কিছু পিছনে ফেলে তাদের একমাত্র পথটি ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটেছে আর উর্ধ্বশ্বাসে ছুটেই চলেছে, পিছনে পা মারিয়ে রেখে গেছে অযাচিত সব কাশফুল, আর তাদের দেহ থেকে খসে পড়া সব সুন্দর অনুভূতি, বিশ্রী সব কটকটে রুমাল, ক্লান্ত একটি স্মৃতি-ফলক আর ঘাম ও তৃষ্ণা। তুমি তো সময়ের হিসেব জানো না অথচ আমি সময়ের হাতে হাত ধরেই চলছি ও চলেছি, তোমার উপর পদচ্ছাপ গুলো ফেলে ফেলে। এখান থেকে আটশ আটাশতম পদক্ষেপ পেছনের গল্পটা কি তোমার মনে পড়ে? সেখানে অনেকগুলো পথ মিলিত হয়েছিলো আর অনেক অনেক পথিক, আমি যখন সেখানে পৌছেছিলাম তখন পড়ন্ত বিকেল, পথিকের ভীড়ে আমি তোমাকেই হারিয়ে ফেলতে বসেছিলাম! এতো ভীড়ে কিছু পথিক আর পথ মিলে গেলো এক হয়ে, তারা একই দিকে যাত্রা নিলো আর সে উপলক্ষে নিয়ম-মাফিক আমরা অনেক ঢোল-ঢাক পিটিয়ে ফাটিয়ে ফেললাম, আর আমিও চাইলাম কিছু পথিকের সাথে তোমাকে মিলিয়ে ফেলতে একই সাথে চলতে, কিন্তু পথিকের সময়গুলো আমার সময়ের সাথে কিছুতেই মিলছিলো না! আমি হন্যে হয়ে খুঁজতে লাগলাম কারো সাথে সময়টাকে মিলিয়ে নিতে, আমাকে এমন ছুটোছুটি করতে দেখেই হিংসুক সময়টা আমার দিকে চোখ রাঙ্গানি দিতে লাগলো আর অনেক দ্রুত গতিতে টিক টিক করতে লাগলো, ওর সাথে হিমশিম খেতে খেতে কারো সাথে মিলিয়ে নেয়ার সুযোগ আর পেলাম না। ঐ পথিকের মেলার আনন্দ ছেড়ে তোমার এই জীর্ণতাকে নিয়েই আমাকে আবার একাকী চলতে হয়েছে! সেদিন হঠাৎ করে আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি, তারপর আবিস্কার করলাম যে খানে আমি হারিয়েছি সে পথটি আরো কদাকার আর অপরিচিত! সেই অপরিচিত পথে আমি হাটছিলাম আর প্রচুর কুয়াশা ছিলো, আলো অন্ধকারে আমি অদ্ভুত সব দৃশ্য দেখছিলাম আর ভয় পাচ্ছিলাম, আমি জানি ভয় পেতে নেই, তবু আমি ভয় পাচ্ছিলাম খুব বেশি, আমি আর পথটির দিকে তাকিয়ে চলতে ভুলে গেলাম আর সময়ের কথা কি বলবো ওটা টিক টিক করে এক মনে চলতেই লাগলো আমার ভিতরে ঢুস ঢাস করে চলতে থাকা হৃদপিন্ডের সাথে ওর সময়টা মিলিয়ে নিয়ে, আমার এতো রাগ হচ্ছিলো ওর নির্লিপ্ত টিক টিক চলা দেখে! এভাবে আলো-আঁধারীতে অপরিচিত রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আমি হঠাৎ একটি ম্যান-হোলে পড়ে গেলাম! আমি জানি কোন কিছু না বুঝলেও এই লাইনটা পড়ে তুমি ফিক করে হেসে দিয়েছো, কারন তুমি আজীবনই মস্ত বোকা ছিলে। এই গভীর ম্যান হোলে পড়ে গিয়েই আমি পুরোটাই এক অসহায় পথিক হয়ে গেলাম, আমার পথিক নামটি পথ হারিয়ে ফেললো! ওখানে পড়ে গিয়েই হাবুডুবু খেয়েছি পথের পথিকদের নগ্ন সব আবর্জনায়, আমি সেই সব স্রোতে ভেসে যেতে লাগলাম, শুধু ভেসে থাকাটুকুই আমার কাজ ছিলো সে সময়, সে সময় আমার সহযাত্রী হলো, ফেলে দেয়া ক্রোধের দেশলাই বিহীন ঘৃণার বারুদ সহ খালি বাক্স, প্রতারণার রঙিন মোড়ক, মিথ্যে আশ্বাসের কচমচে খোসা, খোসাটা ঠিক সেদিন যে ক্যান্ডিটা খেয়েছিলাম বি১ গলিপথের শেষ মাথায় গিয়ে দাড়িয়ে থাকা লোকটি, একটি বিশ্রামকক্ষ দেয়ার কথা বলার সময় আমার মূল্যবান কিছু বিশ্বাস নিয়ে ওই ক্যান্ডিটা ধরিয়ে দিয়েছিল সেটার খোসার মতো।

আমার হাতের কাছেই ভাসছিলো কয়েকটি মুখোশ যেগুলো অকেজো হয়ে গেছে হয়তো অনেক ব্যবহারের পর, তারপর ভেসে যেতেই লাগলাম আর সাথে সাথে ভাসতে লাগলো ফেলে দেয়া যতসব অবাঞ্চিত গোপন চুমু, বিনোদন নির্ভর হাসি, প্রেমিকের কুৎসিত বাসনা, প্রেমিকাদের ছলনার টিস্যুগুলো, নেশার সিরিঞ্জ, আরো সব বর্ননার অযোগ্য ফেলে দেয়া বাসনা ও অনুভূতির প্যাকেট। আমি ক্রমশ হাঁপিয়ে উঠতে লাগলাম আর থামার ব্যর্থ চেষ্টা করতে লাগলাম, আমি নিশ্চিত জানি এই সব আবর্জনা রিসাইক্লিং সিস্টেমে গিয়ে পড়বে আর সেগুলো আবার মোড়ক হবে মুখোশ হবে আর বিপণন সামগ্রী হয়ে পথিক আর আবাসিকের কাছে পৌছে যাবে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে শক্তিশালী বিপণননীতি অবলম্বন করে যেখানে ঐ টয়লেট টিস্যু থেকে শুরু করে আমার মতো স্রোতে ভেসে যাওয়া পথিকটিও পণ্য বলে গণ্য যারা অবশেষে কিনে নিবে তারা কৃত্রিম ভাবে উৎপাদিত চাহিদার সম্মানিত ভোক্তা, আমার অস্থিরতা বেড়ে গেলো, আমি পণ্য হতে চাই না! তাই আমি হাচড়ে পাচড়ে মোটামুটি কোথাও একটু থামতে চাইলাম আর সিনেমার কোন একটা আশাবাদী দৃশ্যের মতোই পেয়ে গেলাম একটি লোহার সিড়ির একটি অংশের দেখা আর কোন মতে সেটাকে ধরলাম আর উঠে এলাম আরেকটি ম্যানহোল বেয়ে উপরে। তারপরে আমি তোমাকে অনেক অনেক খুঁজেছি, চিৎকার করেছি, সাধারণ ডায়েরী করেছি, নিখোঁজ সংবাদ ছড়িয়ে দিয়েছি চারিদিকে কারন তুমি আমার পথ! তুমি আমার অধিকারে ছিলে। তারপর কেটে গেলো অনেক অনেক দিন আমি তোমাকে হারিয়ে দুঃখ পেলাম এবং আতিপাতি খুঁজতে লাগলাম, খুঁজে না পেয়ে হতাশ হলাম আর খুঁজতে লাগলাম, তারপর বিপন্নতায় ভুগে ভুগে ক্লান্ত হলাম অবশেষে নির্লিপ্ত হয়ে আমার জুতোর নিচের পথটিকেই পথ হিসেবে নিয়ে নিলাম, পথিক থেকে অসহায় পথিক, যেখানে আমার পাসপোর্ট-ভিসা সব তোমার কাছে গচ্ছিত ছিলো ভেবে আমি সব সময় আশাবাদী ছিলাম, আর সময়টা সেই আগের মতো টিক টিক করেই যাচ্ছে, এক সময় ওর এই টিক টিক করাটা উপহাস মনে হতো এখন এটাকে কিছুই মনে হয় না কারন আমি নির্লিপ্ত হতে শিখে গেছি, আমি ভেঙে যাই, মরে যাই তারপর ভেঙ্গে যাই না, জীবিত ও হই না, শুধু ঘুরে বেড়াই গতিময় পথটি ধরে। চৌরাস্তার ট্রাফিকটির সাদা হ্যাটের নিচে কালো চুলগুলো এলোমেলো নাকি তার ঘরে পিদিম জ্বালিয়ে অপেক্ষারত কোন এক নারীর, আদুরে হাতের, যত্ন করে আঁচড়ে দেয়া? যতসব এলোমেলো ভাবনা, যত্তসব হিজিবিজি থুরথুরে অপ্রয়োজনীয় কথা ভেবে ভেবে আমি এই সময়টা পাড় করি।

আমি এখন একজন ভবঘুরে পথিক, তোমার পথে কখনো কোন দিক নির্দেশনা ছিলো না, এই পথের প্রতিটি বাকে একটি করে সাইনবোর্ড "ডানে মোড় নিন", "বায়ে মোড় নিন", অমুক সরণি, তমুক সরণি, আমি হেসে হেসে এসব দেখে তোমাকে নিত্য গালাগালি করি তুমি কত সংকীর্ণ ছিলে সেটা বলে বলে। আমার ক্লান্তি গুলো, আমার ফেলে দেয়া অনুভূতিগুলো, আমার অব্যবহৃত স্বপ্নগুলোরও কিছু অংশ হয়তো ইদানিং সেই সব সোয়ারেজ লাইনে প্রবাহিত হয়ে রিসাইকেল হয়ে বিপণন কেন্দ্রে জমা হয়। রেললাইনের পথটি ধরে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে বহুদুর যেখান থেকে আর ফেরার কখনো দরকার হবে না, ক্ষুধা লাগলে পাথর খাবো তবু আর ফিরে আসবো না এই দিক নির্দেশিত নগরে, এমন অবাধ্যতা এমনই অর্থহীন অভিমান নিয়ে চুপচাপ সীমানায় আবদ্ধ হয়ে হয়ে বসে থাকি, ইচ্ছে কখনো ক্ষুধার্ত ছিলোনা, ইচ্ছের বাড়িতে শুধুই জানালা আর অবাধ্য আলো। পথ, ঐ দূরে একটা সাদা মেঘ উড়ে উড়ে বেড়ায়, আমি ওটার উপর চড়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে চাই, তারপর যখন আমার বিশ্রাম নেয়া শেষ হয়ে যাবে তখন মেঘটাকে একটা কাটা দিয়ে ফুটো করে দেবো আর সব বাতাসগুলো বেড়িয়ে গিয়ে মেঘটি চিরদিন চুপসে যাবে, এটা করতে শিখেছি এখানের পথিকদের কাছ থেকে, এরা পকেটে সব সময় ক্যান্ডি রাখে আর মুখোশগুলো এতো নিঁখুত যে তোমার মতো বোকা পথ ধরতে পারবে না কোনটা আমি আর কোনটা অন্য পথিক। আমাকে তুমি শিখিয়েছিলে তোমার মতো নির্লিপ্ত হতে, কারন তুমি কর্কশ, তুমি স্বপ্ন কি জানো না।

তুমি বাস্তবতা অনেক বেশি দেখে ফেলেছিলে! আমি জানি স্বপ্ন কি আমি জানি আরো অনেক কিছু যা তোমাকে কখনো ছুঁয়ে দেবে না এবং এসব সুন্দর অনুভূতির শব্দ তোমার কাছে লিখে আর অনুভূতি গুলোকে বাজেয়াপ্ত করতে চাই না। তোমাকে হয়তো ফিরে পাবো না কখনো, তোমাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি, আসল ব্যাপারটা হলো তুমি আমাকে হারিয়ে ফেলেছো। এসব কিছুর জন্য তুমিই দায়ী!! আমি নিজেকে সামলে নিয়েছি, তোমাকে তুমি সামলে নিজের মতো একটা পথিক খুজে নিও, হয়তো তুমি কোন পথিক স্টেশনে বসে ওয়েটিং রুমে পথিকের অপেক্ষা করছো, হয়তো তুমি অনেক দক্ষ একজন পথিক কে তোমার উপর চলতে দিচ্ছো। আমি জানি আমি অতোটা ভালো পথিক ছিলাম না, তবু আমি তোমার পথিক ছিলাম আমার পদচ্ছাপগুলো তার প্রমান, সেগুলো মোছার ক্ষমতা তোমার নেই, কখনো ছিলোও না। ঐ সামনের পথের বাঁকটা কেমন আমি ঠিক জানি না প্রিয় পথ, তবু প্রথম পথটা তুমি ছিলে, তুমি হাটতে শিখিয়েছিলে, তুমি চলতে শিখিয়েছো, তুমি নির্লিপ্ত হতেও শিখিয়েছো, তাই বাঁকগুলো আসুক অথবা ভাসিয়ে নিয়ে যাক আমি হয়তো সেটা পাড় করে ফেলবো কোন না কোন ভাবে।

এই চিঠিটির জবাব দেওয়ার চেষ্টা করো না, আমি আর তোমার পথের পথিক নই যে তুমি আমার ঠিকানা জানবে। পথ পরিসমাপ্তির প্রতিক্ষায়, ----পথিক
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।