আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিথ্যা বলার অধিকার। ময়ুরী, চাপার পরে এবার এম কে আনোয়ার।। 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আযান বন্ধ হয়ে যাবে'



সিম্পল ম্যাথ। মানবাধিকার = ছাগাধিকার। বাকস্বাধীনতা = মিথ্যা বলার অধিকার। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখনই দেশে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মসজিদে আযান বন্ধ হয়ে যাবে।

(আমার প্রশ্ন: এখন কারা ক্ষমতায়? এখন কি আযান বন্ধ হয়ে গেছে নাকি?) মাদ্রাসা শিক্ষাকে দূর্বল করতে আলেম ওলামাদেরকে পরিকল্পিত ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। ' (আপনি কি আল্লাম সাইদী বা মাউলানা অল কালাম আজাদের কথা বলতেছেন? ক্লিয়ার করলে ভালো হইতো। ) এম কে আনোয়ার বলেন, 'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। (পুরা বক্তব্যের মধ্যে এই একখান ই কামের কথা)। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে ১৮ দল যাবে না।

জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। ' (জনগনের ডেফিনিশন আগে ভালো করে শিখে নেবেন কারন পরের বক্তব্যের সাথে কনফ্লিক্ট করে)। আজ বৃহস্পতিবার হোমনার পাথালিয়াকান্দি মাদ্রাসা মাঠে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আনোয়ার বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে সংবিধান সংশোধনের ম্যান্ডেট দেয় নাই। (আপনাদের দিয়েছিলো নাকি সেই সময়?) জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে (রতনে রতন চেনে)।

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে এসব সংশোধনী আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত হবে। (তাও ভালো সংশোধনী বলেছেন সংবিধান বলেন নাই) সরকারদলের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ (এতক্ষণে অরিন্দম কহিল বিষাদে!! বুঝতে পারছি আপনি জামাতের কথা বলিতেছেন। বাংলাদেশের কোনো দলকে নিষিদ্ধ করতে গেলে আমিও প্রতিবাদ করব) করে তার বাবার মত একদলীয় বাকশাল কায়েম করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ টিকে থাকতে পারে নাই (ইহাও যেমন সত্য, উল্টা টাও সত্য। মিশরের খোজ খবর একটু আধটু রাইখেন)।

আপনারাও পারবেন না। তাই অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের দাবি মেনে নেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান। বিএনপির দুইটা লোক কে আমি বিচক্ষণ ভাবতাম, এম কে আনোয়ার আর মির্জা ফকরুল। এখন দেখি প্রথম জনের অবস্থা রেল গাড়ির মতো। আরেকটা সম্পূরক খবর: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ এক বিবৃতিতে বাংলাদেশসহ চলমান বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সংঘর্ষ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশ-বিদেশে অনেক মায়ের বুক খালি করছে।

মারা যাচ্ছে নারী-শিশুসহ অসংখ্যা নিরপরাধ মানুষ। সম্প্রতি মিশরে সেদেশের নাগকিদের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে আন্দোলনকারী হাজার হাজার মানুষ শাহাদাত বরণ করছে। মূলত: মুসলিম দেশগুলো সংঘাত সহিংসতা জিইয়ে রাখা এবং মুসলমানদের মধ্যে পরস্পরে বিভক্তি সৃষ্টি করাই হলো ইসলামের দুশমন সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদী-খৃষ্টানদের ধারাবাহিক প্ল্যান। তারা পৃথিবীর কোথাও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতেও দিবে না এবং ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলমানদের ভোটে নির্বাচিত সরকারকেও টিকে থাকতে দিবে না। মিশরের পরিস্থিতি এর জ্বলন্ত প্রমাণ।

(ডিফারেন্ট পিপল, ডিফারেন্ট ভিউজ ) । মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত মুরসি সরকারকে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সেদেশের সামরিক সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন দিবে বলে আশা করেছিলাম কিন্তু তারাও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর যে বর্বর গণহত্যা চালিয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন। (ওহে সত্য অনুধাবন করার চেষ্টা করুন) প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মাওলানা আশরাফ বলেন, আপনি উদার বাপের বড় মেয়ে হয়ে কারো কোন ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে দেশ ও দেশের জনগণকে বিভক্তি থেকে মুক্ত রাখবেন এটাই আশা করছি। আজ ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশওকে তাদের টার্গেটে পরিণত করেছে। (সেটা যারা শুধু তারাই বুঝতে পারছে না।

) বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ ইহুদী-খৃষ্টানকর্তৃক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে যেভাবে মাঠ উত্তপ্ত হচ্ছে সময় মত সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে ভবিষ্যতে দেশে সংঘাত সংঘর্ষ অনিবার্য। (ভেরী ডিপ্লোমেটিক স্পিচ!!) ‘হরতাল আন্দোলনকারীদের ঘরে ঘরে গিয়ে হত্যা করুন’ আপনার জনৈক মন্ত্রীর উক্তিসহ কিছু কিছু মন্ত্রী, এমপি ও আমলাদের উস্কানীমূলক লাগামহীন বক্তব্যে ইসলাম ও দেশপ্রেমী জনসাধারণ আপনার সরকারের প্রতি সীমাহীন ক্ষুব্ধ। (ওহে উপরের অময়ার সাহেবের বক্ত্যব্যে কি উস্কানিমূলক কিছু নাই?) তিনি আরে বলেন, যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আপনার মনের ইচ্ছা তো পূরণ হয়েছে।

ইতি মধ্যেই মহামান্য আদালত পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অনেক যুদ্ধাপরাধীদের সাজার রায় প্রদান করেছে। রায় কার্যকরের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি না করে অভিযুক্তদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে উদারতার পরিচয় দিতে পারেন। (আহা আহা.....এই কথাটা বলার জন্য এত ভুমিকার কি দরকার ছিলো? ) এতে দেশও অনিবার্য সংঘাত এবং গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা পাবে, (এইকথাটা মাস চারেক আগে কোন চোরে যেনো বলেছিলো?) জনসাধারণের জান-মালও থাকবে নিরাপদ। আশা করি দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিবেন। (হালকা হুমকি দিলেন হনে হয়? টেনশন নিয়েন না, আগামীতে আপনারাই ক্ষমতায় আসবেন তখন সব কিছু ঠিক ঠাক করে নিয়েন) আরেকটা মিশর দেখার অপেক্ষায় থাকলাম. দুজন মানুষের বক্ত্যব্যে, শব্দে কত মিল...


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.