আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদ্ধার শেষ, সন্ধান নেই অনেকের

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টার দিকে ধ্বংসস্তূপের সামনে নিখোঁজদের ছবি নিয়ে এই বিক্ষোভ হয়। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা এবং ওই ভবনের গার্মেন্ট মালিকদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেয়া হয়।
এদিকে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান শেষে দুপুরে সেখানে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ করে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও মোনাজাত হয়েছে।
মিলাদ শুরুর আগে স্বজনদের লাশ চেয়ে বিক্ষোভ করেন শ’ খানেক মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, গত ২৪ এপ্রিল ভবন ধসের পর টানা ২০ দিন ধ্বংসস্তূপের সামনে, অধরচন্দ্র বিদ্যালয়ের মাঠে আর বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটোছুটি করেও স্বজনের কোনো সন্ধান পাননি তারা।


বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বেতবুনিয়া গ্রামের জাহিদ গাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার স্ত্রী পারভীন বেগম তৃতীয় তলায় সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
ভবন ধসের খবর শুনে জাহিদ গ্রাম থেকে ছুটে আসেন। কিন্তু স্ত্রীর কোনো খোঁজ পাননি।
নিখোঁজ ছেলের সন্ধান প্রত্যাশী কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের নাজিমউদ্দীন বলেন, রানা প্লাজার সপ্তম তলায় একটি পোশাক কারখানায় তার ছেলে উজ্জ্বল কাজ করতেন। কোথাও তার খোঁজ পাননি।


জীবিত না হোক, ছেলের লাশটি পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা নাজিম বলেন, “উদ্ধার অভিযান শেষ, তাহলে আমার ছেলে গেল কোথায়? আমি কীভাবে তার সন্ধান পাবো?”
রানা প্লাজা ধসে নিখোঁজদের একটি তালিকা করছে জেলা প্রশাসন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্লা জানান, তারা এ পর্যন্ত নিখোঁজ ১০২ জনের নাম পেয়েছেন।
পরবর্তীতে এই তালিকা নিয়ে বিজিএমইএ’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানান তিনি।
গত ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নয় তলা রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই ভবন ধসে নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১২৭ জন।


১ হাজার ১১৫ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারের পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ১২ জন। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে মোট ২ হাজার ৪৩৮ জনকে।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই উদ্ধার অভিযান মঙ্গলবার সকালে শেষ হয়। এরপর ভবনের এলাকাটি জেলা প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এলাকাটি ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে, সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর পাহারায় রয়েছে পুলিশ।

৫৬ শতাংশ জমির ওপর গড়ে ওঠা ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপে এখ কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
উদ্ধার অভিযানের ভারী যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেয়ার পর ঢাকা-আরিচা সড়কে এখন যানচলাচল পুরোপুরি উন্মুক্ত।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.