আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরআন পোড়ানোর ঘৃণ্য উদ্যোগ .।

একখান চাবি মাইরা দিচে ছাইরা জনম ভইরা চলতে আছে.।

পৃথিবীতে শান্তি বিনষ্ট করার লোকের অভাব কখনো ছিল না। তবে এ যুগে এদের প্রভাব বেড়েছে। যোগাযোগের সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় যেকোনো দেশের কোনো ঘটনা সাথে সাথে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আমেরিকায় টুইন টাওয়ারসহ একাধিক স্খানে সংঘটিত ৯/১১-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ভয়াবহ শান্তিবিনাশী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ডালাস ব্যাপটিস্ট চার্চের জোনস জেফারস নামে একজন প্যাস্টর (Pastor) ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার কুরআন পোড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। কুরআন পোড়ানোর স্খানও ঠিক করা হয়। একটি গাড়িতে করে এ জন্য প্রচারণা চালানো হলো। এ গাড়ির চিত্র আমরা টিভিতে দেখেছি। এর বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের মুসলিমরা সোচ্চার হয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, জেরুসালেম, ইরানসহ বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। বিশ্ব মুসলিম নেতারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জাতিসঙ্ঘ সেক্রেটারি জেনারেল বান কি মুন, ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল, ভ্যাটিকান, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট, ওআইসি সেক্রেটারি জেনারেল এবং সব ধর্মের নেতারাই এই জঘন্য কাজের প্রতিবাদ করেছেন। সবচেয়ে দু:খের ও বিস্ময়ের বিষয়, আমেরিকান আইনে এ ধরনের জঘন্য উদ্যোগকে বন্ধ করার এবং এ ধরনের শান্তি বিনষ্টকারীর গ্রেফতারের কোনো বিধান নেই। অথচ তাদের আইনে বিদেশী রাষ্ট্র আক্রমণের বিধান আছে।

সিআইএ’র মাধ্যমে অনেক গোপন ও অন্যায় কাজের ব্যবস্খাও আছে। বিমানবন্দরে পোশাক খুলে চেকিংয়ের ব্যবস্খা আছে। কিন্তু এ ধরনের শান্তিবিরোধী ও ধর্মবিরোধী কাজ বন্ধের কোনো ব্যবস্খা নেই। এর কারণ সম্ভবত স্বাধীনতা সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণা। পাশ্চাত্যে অধিকাংশ দেশে এ ধারণা রয়েছে যে, ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা যাবে না।

এর ফলেই পাশ্চাত্য রাসূল সা:-কে অপমান করা, তাঁর মাথায় বোমার মতো করে টুপি পরিয়ে কার্টুন আঁকা এবং কুরআন পোড়ানোর মতো জঘন্য কাজের উদ্যোগ নিতে পারে। পাশ্চাত্যে সরকারগুলো ওই কাজের নিছক নিন্দা ছাড়া আর কিছু করতে পারে না বা করে না। এটা পাশ্চাত্যের আইনব্যবস্খার এক বিরাট দুর্বলতা। এটা অবিলম্বে সংশোধন করা জরুরি। সুখের কথা যে, ১০ সেপ্টেম্বর পাদ্রী জোনস তার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন।

তবে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্খা নেয়া যাবে না বা নেয়া হবে না। ভবিষ্যতে যেকোনো সময় জোনস বা অন্য কোনো উন্মাদ ওই সব দেশে এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে। তা হলে বিশ্ব মুসলিমের কি এ ধরনের আন্দোলনের পরই তা বন্ধ হবে? এ জন্য কি কোনো আইন পাশ্চাত্যে করা হবে না?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।