আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হ্যালো ডক্টর

প্রশ্ন : এমফাইসিমা কি?

উত্তর : ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের ব্যাধির মধ্যে একটি জটিল ব্যাধি হচ্ছে এমফাইসিমা। এমফাইসিমার ফলে ফুসফুসে মাত্রাতিরিক্ত বাতাস জমা হয়। এটি প্রধানত একটি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। কারণ ফুসফুসের ভেতরের দিকে যখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাতাস জমা হয় তখন রোগীর বক্ষ, কাশির সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট প্রকোপ আকার দেখা দেয়। এমফাইসিমা একটি কষ্টদায়ক ব্যাধি।

এ রোগটি মানবদেহে একদিনে বাসা বাঁধে না। দীর্ঘ সময় নিয়ে এটি সৃষ্টি হয়। বাড়তি বাতাস জমা হলে ফুসফুস খুব দ্রুত ফুলে উঠে এবং এর অভ্যন্তরের অংশগুলো অকেজো হয়ে কার্যক্ষমতা হারায়।

প্রশ্ন : এমফাইসিমা রোগে পূরোপুরি বা সম্পূর্ণরূপে

ভালো হওয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে কি?

উত্তর : এমফাইসিমা সম্পূর্ণ ভালো করার কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণ করলে এই ব্যাধিটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

যেহেতু এটি একটি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ তাই ওষুধের দ্বারা শ্বাসকষ্টকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। শ্বাস নেওয়ার এবং ছাড়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। ধূমপান সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। রোগী জীবাণুর দ্বারা সংক্রমিত হলে কার্যকরী থাকতে এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। যানবাহন ও শিল্প কলকারখানায় বিষাক্ত কালো ধোঁয়া থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।

বুকের এঙ্রে দ্বারা চিকিৎসা করে খুব দ্রুত এ রোগটি শনাক্ত করতে পারেন। তাই এমফাইসিমার লক্ষণগুলো দেখা দিলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সচেতনতার মাধ্যমেই এ রোগ হতে পরিত্রাণ পাওয়ার পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন : অ্যাজমা বা হাঁপানি কি কারণে হয়?

উত্তর : মূলত শ্বাসকষ্টজনিত কারণে সাধারণত অ্যাজমা বা হাঁপানির সৃষ্টি হয়ে থাকে। হাঁপানি মানুষের দেহের এক অসহনীয় ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি।

আর এই শ্বাসকষ্টের উপদ্রব হয় নানারকম অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী অ্যালার্জেনের কারণে। তবে ধুলোবালিতেই শ্বাসকষ্টের নীরব ঘাতক বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির অ্যালার্জেনগুলো হচ্ছে_ ধুলাবালি, ফুলের রেণু, মাইটের মল, পরিবেশের ধুলা, পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদি। বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা ধুলাবালি, অফিসের খাতাপত্র বা ফাইলে জমে থাকা ধুলা এবং রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত যে ধুলা উড়ছে তা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের প্রধান উদ্রেককারী। অন্য অ্যালার্জেনের চেয়ে ধুলা খুব সহজে নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে।

ফলে খুব দ্রুত সর্দি-কাশি

এবং শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন : এলার্জির লক্ষণগুলো কি কি?

উত্তর : নাক বন্ধ হওয়া। সাধারণত এক নাক, কখনো কখনো দুই নাকই বন্ধ হয়ে যায়। নাক দিয়ে পানি বা পানি জাতীয় পদার্থ নিঃসৃত হওয়া। মাত্রাতিরিক্ত হাঁচি হওয়া।

নাকে চুলকানি বা নাকের ভেতর কিছু আছে এমন মনে হওয়া। শ্বাসকষ্ট হওয়া। নাকের ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া। মাথাব্যথা ও ঘোরা অনুভব হওয়া। কাশির উপক্রম হওয়া।

চোখ বা শরীরে চুলকানি। শরীরে জ্বর জ্বর বা ম্যাজম্যাজ ভাব হওয়া।

উত্তরদাতা : বক্ষ্যব্যাধি ও অ্যাজমা বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন : ০১৭১১-১৭১৬৩৪

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।