আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হ্যালো ঢাকা, আমার কথা শুনতে কি পাও তুমি? হ্যালো ঢাকা! দ্বিতীয় পর্ব

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! প্রথম পর্ব নানুজান ২০০৭ সালে হজ্বে গিয়েছিলেন। হজ্বে গেলে মুরুব্বীরা জায়নামাজ তসবীহ আর খেজুর আনেন। আমার নানু ড্রাম ভরে জমজমের পানি আনলেন। আমার মা দুই লিটারের দুটা বোতলে জমজমের পানি নিয়ে আসলেন আর ফ্রীজে রাখলেন।

আমার বাবা সোৎসাহে আমাকে নিয়ে জমজমের পানি তার পরের দিন সকাল বেলা পান করা শুরু করলেন। সমস্যা হলো সেই পানি খেয়ে অফিসে গেয়ে আমার বড় টয়লেটের বেগ পায়। কারন বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু কাউকে কিছু বলতেও পারছিলাম না! দুই তিনদিন পর আমার এক কাজিন এসে বললো,"রুনু ভাই, পেট ভালা যাইতেছে না। কি করি কন তো? জীমেও যাইতে পারতেছি না!" আমি কানে কানে বললাম,"তুই কি জমজমের পানি খাইছিলি?" সে আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকায়।

কারন সে জানে যদি কাউকে ভুলেও বলি জমজমের পানি খেয়ে পেট খারাপ, তাহলেই হয়েছে, কারন নানুর হজ্ব করা দেখে মুরুব্বী লেভেলে এক কঠিন ইসলামী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বয়স যদি আমার কম থাকতো তাহলে শিওর বাবা আমাকে মাদ্রাসায় দিয়ে সেই ইসলামী আবহাওয়া ধরে রাখতেন! এয়ারপোর্টের ড্রাম ভর্তি পানি দেখে এমন মনে হলেও ঢাকা শহরে পা দিয়ে যেটা দেখতে পেলাম, পানির স্বাদ পাল্টে গেছে। জানতে পারলাম এখন নাকি নদীর পানি খাওয়ানো শুরু করেছে। ডীপ টিউবওয়েলের পানি যেভাবে ফিল্টার করা যায় সেভাবে যদি নদীর পানি ফিল্টার করা হয় তাহলে সেটা কাজ করবে না। তাই বিশুদ্ধ পানির মান ধরে রাখা সম্ভব হয় না।

শুরু হয় পেটের সমস্যা জনিত ওষুখের প্রবনতা। বাস্তবে তাই ঘটছে। বিদ্যূৎ থাকছে না। তাই টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে পানির বোতল। ঢাকা শহর টা পাল্টে গেছে, পাল্টে গেছে মানুষগুলো।

বাবা মা আমাদের বিয়েটা মানবে না জানতাম। তাই ফাট্টুকে বললাম," চল, বিয়ে করে ফেলি। তুমি কাজী অফিস ঠিক করো!" ফাট্টু বললো,"নাহ, আমি একা একা থাকতে পারবো না!" : তাহলে তোমার বাবার সাথে একবার কথা বলতে দাও! ফাট্টু রাজী হলো। দুদিন পর চলে গেলাম খুলনা। খুলনায় যাবার জন্য ঈগলের এসি বাসের টিকিট কাটলাম।

বাসটা আসলে একটা পুরোনো চেয়ার কোচ ছিলো। সেদিন ছিলো বাংলাদেশ পাকিস্তানের ফাইনাল ম্যাচ। স্বভাবতই পুরোটা দেশ ক্রিকেট জ্বরে ভুগছে। কিন্তু এই এসি বাসে কোনো সাউন্ড সি্স্টেম নেই যেটা দিয়ে রেডিও চালাবে অথবা নেই কোনো টিভি। বাসটা দেখে তবুও ভালো লাগলো।

কারন আমাদের দেশে সুই থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছুর কাচামাল বাইরে থেকে আমদানী করতে হয় সেখানে এসি বাস মানেই সুইডিশ কোম্পানীর ভলভো নইলে স্ক্যানিয়া অথবা মার্সিডিজ বেন্ঞ্চ। সেখানে দেখলাম ওরা সীট গুলোর নিজেরাই শিট মেটালে বাড়ি দিয়ে বানিয়েছে, এসি একটা সেকেন্ড হেন্ড দিয়ে কুলিং ডাক্ট উপরে একটা সিলিং এর মতো করেছে। পুরো বাসটা দেখে মনে হলো এটা একটা দেশী টেকনোলজী যদিও এসির হাওয়া গায়ে লাগছে না। বাস চলবার কিছুক্ষন পর পিচ্চি গুলো গায়ের জামা খুলে ফেললো, বাকী সবার ত্রাহী অবস্হা গ্রামে। আমার ঘুম খুব বেশী, ঘুম থেকে উঠে দেখি ফাট্টু গরমে হাস ফাস করছে আর বাসে প্রচন্ড গন্ডগোল।

যাই হোক, পুরোটা সন্ধ্যা জার্নি করে যখন ফেরীতে উঠলাম তখন মনে হলো ঢাকা শহর আসলে কতটা উত্তপ্ত! খুলনা শহরে পৌছে মনে হলো ঢাকার আব হাওয়ায় যে গরম ভাবটা চামড়া ভেদ করে ভিতরটা অস্হির করে ফেলে সেটা এখানে নেই। তার মানে বায়ুমন্ডলের একটা সারফেস প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে আছে মূলত কার্বন ডাই অক্সাইড সহ ধূলিকনার কারনে। আর্দ্রতা বেশী থাকবার কারনে ঘাম শুকাচ্ছে না, এদিকে হিট রেডিয়েশনের কারনে পুরো শরীরটা দগ্ধ হচ্ছে। গাছের স্বল্পতা এবং জলাভূমির অভাবটার সাথে যোগ হয়েছে বৃষ্টির স্বল্পতা। যাই হোক, খুলনায় ফাট্টুর এক আত্মীয়ের বাসায় উঠলাম দেখলাম দুটো ছোট ছোট শিশু একটা হলো প্রমা আরেকটা হলো তাসিন।

এতো কিউট দুটো পুচকী বলার মতো না! তাসিন হলো একটু চন্ঞ্চল, সাথে হাটতে বের হলে রাস্তায় বসে থাকা পুচকীদের সমানে পিটায় আর বড় পুচকীটা প্রমা সাজুগুজু আর কথা ফুলঝুরি। যাই হোউক, সকাল হতেই বেরিয়ে গেলাম সাতক্ষীরায় হোন্ডায় চড়ে। নিজ চোখে দেশটাকে অনেকদিন পর দেখার এক অনবদ্য সুযোগ। মাইলের পর মাইল রাস্তা ৪-৫ বছর ধরে আন্ডার কনস্ট্রাকশন হয়তো এদেশেই সম্ভব। যেখানে মন্ত্রী এমপিদের বাড়ির সামনের রাস্তাটা পর্যন্ত হাইওয়ের সাথে পাকা করে ফেলা হয় সেখানে এত বড় রাস্তা মাইলের পর মাইল ভাঙ্গা চোরা।

ছোটখাটো মফস্বল টাইপের জেলা শহর গুলোর একটা বৈশিষ্ট্য হলো রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা মার্কেট আর তার মনুমেন্ট যেগুলো এসব জেলার ঐতিহ্যের একটা মূর্ত প্রতীক হিসেবে দাড়িয়ে থাকে। তবে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমি দক্ষিনের যেকটা জেলা শহর ঘুরেছিলাম মনে হয়েছিলাম উত্তর দিকের জেলা থেকে দক্ষিনের জেলা গুলো অধিকতর সবুজ। কিন্তু এবার এই সবুজের চিহ্ন গুলো অনুপস্হিত। কপোতাক্ষ নদ শুকিয়ে ডোবা হয়ে আছে জায়গায় জায়গায়। ধান চাষ করার মতো উর্বরতা অথবা সিক্ত মাটি পাওয়া যায় না।

বিদ্যূৎ নেই, থাকলেও সেচ দেবার মতো পার্শ্ববর্তী কোনো জলাধার নেই। সাতক্ষীরায় পৌছানোর পর ফাট্টুর মামার বাসায় গেলাম। ফাট্টুর মামার বাসায় ঢুকবার সময় খেলাম ধাক্কা। দরজায় অনেক গুলো জুতো আর স্যান্ডেল। দেখে বুঝা যাচ্ছে ভিতরে হয়তো অনেক মানুষ।

ভিতরে ঢুকে আরও বড় ধাক্কা খেলাম। যতগুলো জুতো স্যান্ডেল দেখেছিলাম তার চেয়ে বেশী মানুষ ওখানে। বেশীর ভাগ খাচ্ছে, যারা খাচ্ছে না তারা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি সালাম দিয়ে এখটা চেয়ারে বসে পড়লাম। তারপর যা হলো স্বতঃস্ফূর্ত।

আমাকে ডেকে এখটা রুমে বসালো। সামনে একটা থালা দিলো। আমি হাত দিতেই কে যেনো পানি নিয়ে এসে পানি ঢাললো। হাত ধোয়ার সাথে সাথে একটা প্লেট এগিয়ে আসলো। আমি প্লেট হাতে ধরতেই প্লেটে ভাত এসে পড়লো।

তরকারী এসে পড়লো। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই, খেতে বলা হলো। একে তো এত মানুষ দেখে হকচকিয়ে গেলাম, তারপর কিছু বুঝে উঠার আগেই খেতে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। মোবাইলে এসএমএস করলাম ফাট্টুকে,"এ আমি কই আইলাম? আমি এখন কোথায়?" কিছুক্ষন পর ফাট্টুর মামা আসলেন, উনি খুব ভালো মানুষ। প্লেটে ভাত একটু কম ছিলো।

দু চামচ ভাত দিয়ে বললো,"ভাত দিবো আর?" আমি থতমত খেয়ে বললাম,"এতো ভাত তো আমি দু বেলা ভরেও খাই না!" আমার কথা শেষ হবার আগেই দেখি গরুর তিনটা পিস সাথে মুরগী তরকারী! আমি বললাম,"মামা, আমি খেতে পারবো না এতো!" এই কথা শেষ হবার আগেই আরেকটা তরকারী প্লেটে আমার শোভা পেতে লাগলো। মামা বললেন,"ঝোল লাগবে?" বুঝলাম কথা বলে লাভ নেই, প্লেট বোগলের কাছে রেখে খাওয়া শুরু করলাম, আর বুঝতে চেষ্টা করলাম আমি এখানে কি জন্য আসছি আর কি দেখছি! খাবার পর্ব চকিয়ে হাটা দিলাম ফাট্টুদের বাসার দিকে। শুনেছি ফাট্টুর বাবা অসম্ভব রাগী। ঘরে ঢুকতেই দেখি বিশাল একটা রুম, আধুনিক। পাশের আলমারী ভর্তি গল্পের বই।

ছোট্ট একটা টেবিলে কিছু পেপার। আমি বসলাম। এমন সময় ফাট্টুর বাবা আসলেন। সদালাপী, আমি হকচকিয়ে ছিলাম। আদতে উনি মোটেও বদরাগী নন, আসলে উনি আমারই কপি।

প্রচন্ড যুক্তিবাদী ঠান্ডা মাথার মানুষ। যুক্তি দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করেন বোঝাতে চেষ্টা করেন। উনার যুক্তি গুলো অসাধারন, আমি হার মানিনি, খুব অল্প সময় কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম, এবং যতটুকু বুঝেছিলাম আমার যুক্তিগুলো তার যুক্তির সমকক্ষ না হলেও কিছুটা উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছে! আমার হাতে সময় খুব কম, আমি এপ্রিলের ২ তারিখ ফিরে আসছি। উনার স্বভাবতই বললেন এত অল্প সময়ে উনি কোনো ডিসিশন নিতে রাজী নন। তবে একটা সত্যি কথা বলবো উনি বাবা হিসেবে উনার মেয়ের জন্য এতটা লিবারেল যেটা আমি নিজেও কল্পনা করতে পারি না।

তবে আমি স্বপ্ন দেখি যেদিন আমি এক কন্যার বাবা হবো সেদিন উনার এই ভাবনা গুলোও কপি করবো! আমি চলে আসি ফাট্টুর মা আর বাবার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে। ফাট্টুর মামা খুব ঘাবড়ে ছিলেন। দেখে মনে হলো উনি ভয়ে ছিলেন যে ফাট্টুর বাবা আমাকে পিটাবে কি না! আমাকে সুস্হ ভাবে বের হতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন," কি হয়েছে?" : উনি আরও সময় চাচ্ছেন, নিজের ব্যাপারে এরকম ডিসিশনটা এত দ্রূত নিতে চান না। মেয়েকে এমবিএ করাতে চান, নিজের পায়ে দাড় করাতে চান, আরেকবার ঠকবার মতো মানসিক সামর্থ্য তার নেই! সেদিন রাতে আমি আর ফাট্টু খুলনা থেকে ব্যাক করি। ফাট্টুর বান্ধবী এ্যান এর বাসায় আমদের বিয়ের ব্যাবস্হা করাই ছিলো।

মার্চের ২৪, ২০১২ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আমদের বিয়ে হয়। বিয়েতে উপস্হিত ছিলো বাদল ভাই, কাজী সাহেব (এই কাজী হলো ডিস্কো কাজী), ব্লগার দূরন্ত স্বপ্নচারী যে উকিল বাবা হইছে, ব্লগার কাম আমার ক্লাস মেট হিমিটি, আরেক ক্লাস মেট ইন্দ্রজিৎ মন্ডল, আমার দিকের সাক্ষ্মী জাহিদ ভাই, ফাট্টুর দিকে সাক্ষী সজীব ভাই, অর্পন নামের কিউট একটা ছেলে, ব্লগার জাকী ফারহান এ্যান আর ওর ভাবী আর ব্লগার সমুদ্র কন্যা! মোহাম্মদপুর জাপান গার্ডেন সিটির বিপরীতে প্রিন্স প্লাজার রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে খাই। আমরা সে রাতেই কক্সবাজার চলে যাই! এদিকে মাসুদ পারভেজ ওরফে দুরন্ত স্বপ্নচারী প্রেস রিলিজের ব্যাবস্হা নিতে চাইলে ফাট্টু রাজী হয়নি, তাই ও ফেসবুকে খুব ছোটোখাটো ভাবে একটা স্ট্যাটাস দেয়। আমার বাসায় সবাই রাজী থাকলেও মা রাজী ছিলো না। উনি কেন রাজী ছিলেন না সেটা অনেক পেচানো কথা।

কারনটা আমি। আমি খুব জটিল মানসিকতা, যতটা হাসি খুশী বা ফানি উপরে দেখলে মনে হয়, আমি এতটা সরল না। তাই আমার কাছে সব সম্পর্কই কেমন যেনো বিভিন্ন অপশন নিয়ে খেলা করে সাজানোর মতো একটা কিছু। তাই মা-ছেলের মধ্যে সেই জটিলতাটুকু পুরো মাত্রায় ঘোলাটে আর আমি নিজে থেকেও এটা সমাধান করিনি। কিছু কিছু ব্যাপারে আমি বড্ড উদাসীন, কিন্তু আমি জানি এগুলো একদিন সমাধান হবে, এবং আশার কথা হলো এগুলো সমাধানের পথেই! কক্সবাজারে আমরা ২৪ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত কাটাই।

কিভাবে এতগুলো দিন কাটলো এখনো স্বপ্নের মতো লাগছে। প্রতিদিন বিকেলে জাহিদ মিয়ার দোকানে ফুচকা আর চটপটি খাওয়া, ভর দুপুরের ইনানী অথবা হিমছড়ি অথবা লাবনী বীচ, আর রাত হলে বার্মিজে শপিং আর তারা গুনা আর ঘরোয়াতে বসে ডিম লাইটে ডিনার! এগুলো বর্ননা করার মতো লেখনী শক্তি আমার নেই, ফাট্টু যদি কোনো দিন লেখে আমি নিজের জন্য এক কপি ছাপিয়ে নেবো। একটা সময় মনে হয়েছিলো আমি অভিশপ্ত। তাই সবকিছু গুছিয়ে এনে আবারও হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে এক গভীর অন্ধকারে। কষ্টের মাঝে খুজেছিলাম এই অভিশাপ থেকে মুক্তির।

ফাট্টু আমাকে নক করে ২০১১ এর এ্প্রিলে। ২৭ দিন পর ওকে বলি আমরা একটা সম্পর্ক গড়তে পারি। তারপরও আমি সম্পর্কের প্রতি আস্হাবহ ছিলাম না। ওকে জানিয়ে ছিলাম আমাকে দিয়ে এরকম ঘর বাধা সম্ভব না। ও আমাকে শিখাতে থাকে ভালোবাসা কাকে বলে।

ও আমার জন্য স্যাক্রিফাইস করেছে অনেক কিছু। আগস্টে বুঝতে পারি, ওর ভালোবাসার অর্থ। ওর খুব ইচ্ছে ছিলো এ্প্রিলের ২৬ তারিখে আমরা বিয়ে করি। আমি তার আগেই ওকে বোয়ে করে ফেলেছি। যে জিনিসটা আমার সে জিনিসটাকে লেখাপড়া করিয়ে নিয়ে একেবারে নিজের করে ফেললাম! এখন আর ভয় নেই, ফাট্টু আর হারাবে না, আমিও না! আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ওকে ভালোবাসবো, এমন সুযোগ আমি আর হাতছাড়া করবো না!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।