আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদপুরে বন্যা, ৩৫ হাজার



চাঁদপুরে বন্যা, ৩৫ হাজার লোক পানিবন্দি মেঘনা নদীতে পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে। এসব এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মো. মফিজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে মেঘনার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে সোমবার বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হ”িছলো। তিনি বলেন, “পানির প্রবাহ মঙ্গলবার ৭ সেন্টিমিটার কমলেও এই পানিবৃদ্ধি অস্বাভাবিক।

” গত কয়েকদিনে বৃষ্টিপাত ও উত্তরাঞ্চল থেকে ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে মেঘনায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি। হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জানান, মেঘনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার গাজীপুর চর, মাঝির বাজার, মেহের বাজার, চরকোড়ালিয়া, চর মানিকদাসসহ ৭/৮টি চরের বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার ফসলি জমিগুলোও তলিয়ে গেছে। শাহজাহান মিয়া বলেন, “এসব চরের লোকজন পানিবন্দি অব¯’ায় থাকলেও এখনো পর্যন্ত সেখানে সরকারিভাবে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়নি। অনেক পরিবার পানিবন্দি অব¯’ায় জীবন কাটা”েছ।

” তবে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাওগাতুল আলম বলেন, “এখনো পর্যন্ত কোনো এলাকা মেঘনার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। পানির লেভেল এখনো নিচে ও স্বাভাবিক রয়েছে। ” এখানে কোনো ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা। সোমবার বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক পূর্বাভাসে বলা হয়, প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা কবলিত কুড়িগ্রাম, সিরাগঞ্জসহ নয় জেলায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরি¯ি’তির অবনতি হতে পারে। বন্যা কবলিত অপর সাত জেলা হল জামালপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ।

এছাড়া সিলেট জেলায় বন্যা পরি¯ি’তির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। এতে আরো বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি আরো বাড়ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তা আরো বাড়তে পারে। অন্যদিকে গঙ্গার পানি কমছে এবং আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া বাগেরহাট, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ জেলাতেও বন্যা পরি¯ি’তির অবনতির খবর পাওয়া গেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।