আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নদির নাম পাগলা ৪(ক)



প্রখর রোদের তাপে চিক চিক করছে পদ্মার রুপালী বালি। দুর থেকে দখলে মনে হয় যেন আগুনের হলকা উড়ছে সেথায়। আকাশে একবিন্দু মেঘের বালাই নাই। নাই কোন পাক পাখালির ঝাঁক। মাঝে মধ্যে দু একটা কাক ডাকা ডাকি করছে মাত্র।

সুর্যের প্রখর খরতাপ যেন নিঃস পদ্মার বুক থেকে শেষ পানির বিন্দু টুকুও শুশে নিবে। আজকের পাদ্মার পানির তাপমাত্রা বোধহয় এ যাবত কালের সবথেকে বেশি। মাথার উপরের পানি বেশ গরম হয়ে গেছে। প্রায় তলদেশ ঘেঁশে একটু আগেপিছে হয়ে সাঁতার কাটছে টুন আর পিনা। পানির তাপ খুব বেশি বেড়ে যাবার আগেই প্রাতকালীন খাবারে খোঁজে বেরিয়েছে ওরা।

আজকে দিনের শুরু যেমন মনে হচ্ছে তাতে একটু বেলা বাড়লে আর তীর বর্তী অগভীর পানিতে যাওযা সম্ভব হবে না। চল টুন আজকে আমরা সকালের খাবারটা সব্জি বাগানে সেরে নেই। বলল পিনা। সব্জি বাগান? আশ্চর্য হলো টুন। খুব দ্রুত বুকের কাছের পাখনা নাড়লো পিনা।

লেজের পাখনায় সজোরে ধাক্কা দিয়ে সামনে এগুনো সে। থমকে দাঁড়ালো টুন। সামনে দিকে ঘুরে গিয়ে পাখনা দুলিয়ে দুলিয়ে বললো, হ্যাঁ, সব্জি বাগান। চলো গিয়ে দেখবে চরের পাড় ঘেঁসে পানির অগভীর এলাকায় বেশ কিছু লতা পাতা বা জলজ উদ্ভিদের আবাস রয়েছে। তারি মাঝে কিছু উভচর উদ্ভিদের মাথা পানির উপরে তাদের জানান দিচ্ছে।

পানির নিচে এ ধরনের উভচর গাছের প্রধান কান্ডটা মাটিতে শিকড় গেড়েছে। লতা পাতা আর পানির উপরের গাছের ছায়ায় এই অংশে ভর দুপুরের আগেই সন্ধ্যার মত মনে হচ্ছে। আলো আঁধারীর মাঝে টুন আর পিনা এগিয়ে চলেছে সব্জি বাগানের উদ্দেশ্যে। পরিচিত এলাকায় পিনার চলতে কোন বাধা নেই। তবে নানা রকম গাছ গাছড়ার মাঝে সামনে এগিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল টুনের।

স্বভাবতই পিছিয়ে পড়েছে টুন পিনার থেকে অনেক খানি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।