আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যশোরে বঙ্গবন্ধুর বিশাল পোট্রেট : দেশের সবচেয়ে বড় ম্যুরাল



যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুবিশাল পোট্রেট। বাংলাদেশে তার এতবড় পোট্রেট আর কোথাও নেই। এ দাবি বঙ্গবন্ধুর এই বিশাল ম্যুরাল নির্মাতা শিল্পী মোহাম্মদ আজিজের। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর যশোরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহিবুল হক এই ম্যুরাল নির্মাণের উদ্যোক্তা। যশোরের সকল অঙ্গনের মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস এই ম্যুরালচিত্র শহরের গরিবশাহ মাজারের পাশে অবস্থিত।

এটি সরকারি কোন প্রকল্প নয়। সব মহলের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর অর্থ সহায়তায় ্ ম্যুরাল নির্মাণ করা হচ্ছে। ম্যুরালের উচ্চতা ১৬ ফুট, আর এর ব্যাক ২২ ফুট। বঙ্গবন্ধুর এ বিশালাকার পোট্রেটের জন্য নানা নকশা আসে। তবে এর মধ্য থেকে নির্দিষ্ট করা হয় আর্কিটেক্ট তাসনিভা রহমান মুমুর ডিজাইনটি।

তিনি এর ফ্রেম ও ব্যাকের ডিজাইন করেন। অর্থাৎ স্থাপত্য অংশটুকু তার। ম্যুরালের দায়িত্ব গ্রহণ করেন শিল্পী মোহাম্মদ আজিজ। তিনি চারুকলা ইনসটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক। বিশালাকার এ পোট্রেটের নির্মাণব্যয় ধরা হয় ৫০ লাখ টাকা।

এখন পর্যন্ত কেবল ম্যুরালচিত্রের নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে এর ফ্রেম ও ব্যাকের কাজ। সেখানে টেরাকোটার কাজ হবে বলে জানান শিল্পী মোহাম্মদ আজিজ। কথা হয় মোহাম্মদ আজিজের সাথে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এত বড় পোট্রেট দেশের আর কোথাও নেই।

প্রায় ২০০ বর্গফুট কাজ করা হয়েছে এখানে। আমার জানা মতে, এটিই দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধুর পোট্রেট। তিনি বলেন, আমি ডাকসু সংগ্রহশালায়, ঝিনাইদহে স্টেডিয়ামে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের, যশোর স্টেডিয়ামে আমেনা খাতুনের ম্যুরালের কাজ করেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের কাজ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। এটি একটি জাতীয় পর্যায়ের কাজ।

এ কাজটি করতে গিয়ে তিনি খুব পরিশ্রম করেছেন। অনেক টেনশন ছিল তার। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে তবেই সম্পন্ন করেছেন তিনি এই বিশালকাজটি। শিল্পী আজিজ জানান, পোট্রেটের বাকি কাজ সকলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। তবে কাজ সুসম্পন্ন না হলেও ১৫ আগস্ট শোকদিবসের কর্মসূচি পালনে তড়িঘড়ি এর বেজমেন্টের কাজ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচির জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সুরবিতানের সভাপতি আবু সালেহ তোতা বলেন, ম্যুরালটি তৈরি হলেও কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। বাকি কাজ আগামী িডেসমবর নাগাদ সুসম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৫ আগস্টে কর্মসূচির জন্য উন্মুক্ত করা হলেও সম্পূর্ণ কাজ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। যোগাযোগ করা হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক যশোরের এডিসি (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার বণিক বলেন, এটি সরকারি কোন প্রকল্প নয়।

সব মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এর নির্মাণ কাজ চলছে। ম্যুরাল নির্মাণে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আরো প্রায় ৪০ লাখ টাকার প্রয়োজন। #

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।