আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যশোরে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

‘...বন্ধু কী খবর বল! কতদিন দেখা হয়নি’-কবির সুমনের সুবিখ্যাত গানের এ চরণগুলোয় সাংবাদিকদের চোখে কি জল এনেছিল? হয়তো হ্যাঁ অথবা না। তবে এক অন্যরকম দিন পার করলেন যশোরের সাংবাদিকরা। সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত হয় প্রেসক্লাব যশোরের প্রাঙ্গণ। গত সোমবার আয়োজন করা হয় ঈদ-পূজা পুনর্মিলনী। দুপুরের আলো পড়তেই আসতে থাকেন শতব্যস্ত সাংবাদিকরা।

সঙ্গে নিয়ে আসেন স্ত্রী-সন্তানদের। কর্মব্যস্ত এসব মানুষের সঙ্গে দেখা হয় না কতদিন! কথা হয় কেবল মোবাইল ফোনে, তাও প্রয়োজনে। সেই আগল ভেঙে নতুন-পুরনোর এক মহামিলন ঘটে প্রেসক্লাব ক্যাম্পাসে। কুশল বিনিময়, হাসি-ঠাট্টা আর গল্প-গুজবে মেতে ওঠেন সবাই। সন্ধ্যা নামার আগেই কনফারেন্স রুমে জড়ো হন সাংবাদিক ও তাদের স্বজনরা।

বেজে ওঠে ড্রাম। বাজনার তালে তালে চলতে থাকে গান ও আবৃত্তি। তবে ছিল না কোনো বক্তৃতার ফুলঝুরি। সাংবাদিকদের এই মহামিলনে এসেছিলেন যশোরের এমপি খালেদুর রহমান টিটো, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান। তারা সঙ্গ দেন কিছুক্ষণ।

বর্ষীয়ান সাংবাদিক মসিউল আযম অনেকদিন পর পুরনো আর নতুন সহকর্মীদের মিলনমেলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন। মন্ত্রমুগ্ধ দর্শকের ন্যায় পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন আরেক পুরনো সহকর্মী জমির আহমেদ টুনের সঙ্গে। এই ক্লাবের সাবেক সভাপতি, সম্পাদকসহ প্রায় সবাই এলেন অনুষ্ঠানে। পদ্মপাতায় ঢেলে আহার করেন লুচি, আলুর দম, ডাল আর বুন্দিয়া। মেতে ওঠেন এক অনাবিল আনন্দে।

প্রেসক্লাবের বর্তমান সম্পাদক আহসান কবীর জানান, সাংবাদিকদের কর্মব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময় যেন সবাই উচ্ছ্বাস আর আনন্দে নিজেদের মেলে ধরতে পারেন, সেই চেষ্টা করা হয়েছে। প্রেসক্লাব যশোরের ইতিহাসে এই প্রথম এমন একটি মিলনমেলার আয়োজন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে-জানান তিনি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন যশোরের শিল্পী শিরিন সুলতানা, আসমা দেবযানী, গুরু নজরুল, বাবু আর সাতক্ষীরার বাউল বলাই দাশ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।