আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের ব্যভিচারে জড়ানোর প্রবণতা দ্বিগুণ : স্টাডি

তারা বলে সম্ভব না, আমি বলি সম্ভাবনা

স্বল্প আয় করলে পুরুষদের মধ্যে নারী সঙ্গীকে প্রতারিত করার প্রবণতা বাড়ে। এ ক্ষেত্রে প্রতারণাই তার 'পৌরুষ' রক্ষার মুখ্য হাতিয়ার হয়ে ওঠে। গত সোমবার প্রকাশ করা এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রত্যাশী ক্রিস্টিন মাঞ্চ বলেন, 'সঙ্গীর চেয়ে কম আয় করলে সংসারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষদের যে পরিচয়, তা হয়তো হুমকির মুখে পড়ে। ' সম্প্রতি তিনি আমেরিকান সোসিওলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে একটি অভিসন্দর্ভ উপস্থাপন করেন।

এতে তিনি দেখান, এ ধরনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে লাতিন আমেরিকান পুরুষদের মধ্যে বিশ্বাস ভঙ্গের প্রবণতা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। এর কারণ হতে পারে উপার্জন ক্ষমতাকে 'হিসপানিকদের পৌরুষের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য' মনে করা। আবার একই গবেষণায় এও দেখা গেছে, যেসব পুরুষের ওপর তাদের সঙ্গীরা অতিমাত্রায় নির্ভরশীল, তাদের মধ্যেও প্রতারণার প্রবল প্রবৃত্তি থাকে। অর্থাৎ দুই ক্ষেত্রেই নারীদের 'কঠিন' অবস্থায় পড়তে হয়। তবে যেসব নারী তাদের পুরুষ সঙ্গীর চেয়ে বেশি আয় করেন, তাঁদের মধ্যেও প্রতারণার প্রবণতা কাজ করে।

অর্থাৎ নারীদের বেশি আয় সম্পর্ককে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। তবে অর্থের জন্য পুরুষদের ওপর নারীদের নির্ভরশীলতার ক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি একেবারেই বিপরীত। তখন মেয়েদের মধ্যে প্রতারণার প্রবণতা কমে যায়। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতেই নারীদের মধ্যে প্রতারণার প্রবণতা পুরুষদের তুলনায় অর্ধেক। গবেষণায় বলা হয়, 'নারীত্ব অবশ্য উপার্জন ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য দিয়ে নির্ধারিত হয় না।

যৌনতাও এর মাত্রা নির্ধারণ করে না। তাই অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা নারীদের ক্ষেত্রে কোনো হুমকি নয়। ' বরং নির্ভরশীলতা নারীদের আরো বিশ্বাসী করে তোলে। এই গবেষণায় ভালো বেতনের চাকরি না ছেড়েও সঙ্গীর প্রতারণার প্রবৃত্তি দূর করার রাস্তা বাতলে দেওয়া হয়েছে। গির্জা বা মসজিদ-মন্দিরে যাওয়া-আসা বাড়ানো যেতে পারে।

নিয়মিত ধর্মীয় আচার-আচরণ ঠকানোর প্রবৃত্তিকে কমিয়ে দেয়। আবার পড়াশোনাও এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। 'যত বেশি পড়াশোনা করা যাবে, ব্যভিচারে আগ্রহ ততই কমবে। মাঞ্চ বিবাহিত বা একসঙ্গে বাস করে এমন ১০২৪ পুরুষ এবং ১৫৫৯ নারীর ওপর এক বছর ধরে জরিপ চালিয়ে এই বিশ্লেষণ করেন। এতে দেখা যায়, কারণ যাই হোক না কেন, মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের ব্যভিচারে জড়ানোর প্রবণতা অন্তত দ্বিগুণ।

সূ্ত্র: Click This Link


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।