Everyone is entitled to my opinion.

আস্তিকরা দেখলাম নাস্তিকরা মৃত্যুর পর তাদের দেহ দিয়া কি করবে সেই চিন্তায় ঘুমাইতে পারেতছে না। আপনারা আগে চিন্তা করেন আপনাদের দেহে অবস্হিত মৈরা ভূত হওয়া নাস্তিকগুলার দেহ থেকে আসা যে অনু-পরমানুগুলা আছে সেগুলার কি ব্যবস্হা করবেন। আপনার দেহেও কিছুটা হৈলেও নাস্তিকরা বাস করে। এক কাজ করতে পারেন যেখানে যেখানে নাস্তিকদের পরমানু পাইবেন সেগুলা কাইটা শিয়াল কুকুর দিয়া খাওয়াইয়া দিতে পারেন। একটা সৎ পরামর্শ দিলাম।

নেওন না নেওন আপনাদের ব্যাপার। মানব দেহের এক গ্রাম টিস্যুতে প্রায় ১০০ কোটি কোষ থাকে। আর তার মানে একজন মানুষের ওজন যদি ৭০ কেজি হয় তবে তার দেহে প্রায় ৭০ ট্রিলিয়ন কোষ আছে। দেহের বিভিন্ন ধরেনের কোষের স্হায়ীত্বকাল বিভিন্ন হয়ে থাকে। কোন কোন কোষ বেঁচে থাকে কয়েক ঘন্টা আবার কোন কোন কোষ বেঁচে থাকে কয়েক বছর।

সাধারণতঃ গড়ে আমাদের দেহের সবগুলো কোষ প্রতিস্হাপিত হয় প্রত্যেক সাত বছরে। তার মানে প্রতি বছর প্রতিস্হাপিত হয় ১০ ট্রিলিয়ন কোষ। প্রতিদিন প্রতিস্হাপিত হয় ২৭ বিলিয়ন (২৭০০ কোটি) কোষ। আর প্রতি মিনিটে প্রতিস্হাপিত হয় ১৮.৭৫ মিলিয়ন (১ কোটি ৮৭ লাখ) কোষ। আর আমাদের দেহের প্রতিটা কোষ গড়ে ৭*১০^১৫ বা ৭০০০ বিলিয়ন পরমাণু (৭ লক্ষ কোটি) পরমানু দ্বারা গঠিত।

মৃত্যুর পরে আমাদের দেহের অনু-পরমাণু গুলো প্রতিনিয়ত রিসাইকেল(ড) হয়ে থাক। আমাদের সবার দেহে এই মূহুর্তে যে পরমাণু গুলো দিয়ে তৈরী সে গুলো আমাদের নিজস্ব হয়ে ওঠার আগে হ্য়ত অসংখ্য নক্ষত্র ভ্রমন করে এসেছে বা কোন এক সময় লক্ষ লক্ষ জীব বা প্রাণীর দেহ গঠনে সহায়ক ছিলো। আমরা যখন মারা যাই তখন আমাদের দেহের পরমাণুগুলো আলাদা হয়ে ছড়িয়ে পরে এবং অন্য কোথাও খুঁজে নেয় তাদের প্রয়োজনীয়তা। হয়ত হয়ে ওঠে একটা পাতার অংশ, একটা শিশির বিন্দু, অথবা অন্য কোন মানুষের দেহ। পরমাণুদের এই পথ চলা চিরকালিন।

কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারবে না একটা পরমাণু কতদিন টিকে থাকে। বিজ্ঞানী মার্টিন রিসের মতে সম্ভবত ১০^৩৫ বছর। সংখ্যাটা এতই বিশাল সেটা আর একলাইনে লিখে প্রকাশ করলাম না। ধারণা করা যায়, আপনার-আমার দেহের একটা উল্লেখযোগ্য পরিমান পরমাণু, প্রায় ১০০ কোটির মত,বার্ড্রান্ড রাসেলের দেহ থেকে এসেছে। আরও ১০০ কোটি এসেছে ডারউইন, গৌতম বুদ্ধ, আবু জেহেল, চেঙ্গিস খান, ........ বা অন্য যেকোন ঐতিহাসিক ব্যক্তির নাম আপনি মনে করতে চান তাদের দেহ থেকে।

কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হতে হবে কারণ পরমাণুগুলো রিসাইকেলড হতে অনেকগুলি দশকের প্রয়োজন হয়। আইনস্টাইন, বা আরজ আলীর দেহের পরমাণু গুলো এখনও আপানাদের দেহের অংশ হয়ে ওঠেনি। তবে আপানাদের ছেলের বা নাতির দেহে যে হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন। মূলপোস্টঃ তোমার দেহে বাস করে কারা, ও মন জানোনা; তোমার দেহে বসত করে কয়জনা?
।